ফেব্রুয়ারি থেকেই বাড়তে শুরু করবে বিদ্যুৎ চাহিদা আর এবার গরমে সেটি সতের হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে বলেই ধারণা দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দরকার হবে বিপুল পরিমাণ তেল, গ্যাস এবং কয়লা। চলমান ডলার সংকট, গ্যাস সংকট এবং আর্থিক চাপের মধ্যে এবার প্রয়োজনীয় জ্বালানি আমদানি করে চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বোরো ধান চাষের জন্য সেচ, রমজান মাস এবং গ্রীষ্মের গরম এবার বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্যোক্তা, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন বর্তমান বাস্তবতায় এ বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড হলো ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। গত বছর ১৯শে এপ্রিল উৎপাদন হয়েছিল এ পরিমাণ বিদ্যুৎ। এ বছর গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে বলে ধারণা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে ২৫ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট।
অর্থ সংকটে পিডিবি
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি যত বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে তার সমস্ত বিদ্যুৎ এবং আমদানির অংশ একক ক্রেতা হিসেবে কিনে নেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। পিডিবি আবার বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে সেই বিদ্যুৎ বিক্রি করে। কিন্তু ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার (আইপিপি), রেন্টালসহ জ্বালানির ধরন এবং কেন্দ্র ভেদে যে দামে বিদ্যুৎ কিনতে হয়, পিডিবিকে তার চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রির কারণে একটা বড় অর্থ সংকট তৈরি হয়েছে পিডিবির।
এই অর্থ সংকটের কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সময়মতো বিল পরিশোধ করতে পারেনি পিডিবি। বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে পাওনা প্রতি মাসে পাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় দেড় বছর ধরে বকেয়া পড়ে আছে।
বাংলাদেশে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) সভাপতি ফয়সাল কে খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, বকেয়া টাকা না পেয়ে ঋণ করে তাদের চলতে হচ্ছে। অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মারাত্মক সংকটে পড়েছে।
“আমাদের পাওনা জমেছে গত দেড় বছর ধরে। আমরা অনেক জায়গায় বক্তব্য রেখেছি। এখন বকেয়াটা ত্রিশ হাজার কোটি রেঞ্জে চলে গেছে। তবে বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে যেখানে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে বিল জমেছে সেটা ক্লিয়ার করে দেবে। কিন্তু এই সমাধানেও ক্যাশ ফ্লোর সংকট রয়ে যায়। আমাদের উচ্চ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল লোন নিতে হচ্ছে। যারা যারা বড় কোম্পানি আছে স্ট্রং ব্যালেন্স শিট আছে তারা হয়তো লোনটা পে অফ করতে পারছে। তারপরেও আমরা কৃতজ্ঞ যে সরকার বন্ডের উদ্যোগটা নিয়েছে।”
বেসরকারি উদ্যোক্তারা বকেয়ার পরিমাণ ত্রিশ হাজার কোটি টাকা বললেও পিডিবির সূত্র বলছে দেনার পরিমাণ ২৭ হাজার কোটি টাকা। বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করার কারণে পিডিবির এই আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি ভর্তুকি হিসেবে পরিশোধ করার কথা থাকলেও টাকার সংকটে সরকার পিডিবির সমস্ত ভর্তুকি দিতে পারেনি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হিসেব বলছে, গত দুই বছরে আর্থিক সংকট প্রকট হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি এবং বকেয়া পরিশোধের জন্য বিশেষ বন্ড ইস্যু করতে শুরু করেছে সরকার। এছাড়া সামনে ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি থেকে একটা সময় বের হয়ে আসতে হবে বিদ্যুৎ খাতকে।
“সাবসিডি দিয়ে কখনোই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। এই যে ধরুন এখন যে সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে, আইপিপিগুলোকে পেমেন্ট করতে গিয়ে পিডিবিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সুতরাং এটাতো একটা কস্ট রিফ্লেকটিভ ট্যারিফ অনিবার্য। দাম সমন্বয় এবং উৎপাদন খরচ কমিয়ে এই দুটোকে সমন্বয় করে আমরা একটা জায়গায় আশা করি অদূর ভবিষ্যতে যেতে পারবো।”
ডলার সংকট এবং এলসি জটিলতা
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এখন বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আমদানির প্রয়োজন হয়। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এই আমদানি হয়ে থাকে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পাশাপাশি এখন বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো তেল আমদানি করতে পারে। এছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এখন অনেক কয়লা আমদানি করতে হয়। তেল ও কয়লা এবং গ্যাস আমদানির জন্য প্রচুর ডলার খরচ হয়।
পিডিবির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৮টি। যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৭৭৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে তেল ভিত্তিক ৪৭টি কেন্দ্রের ক্ষমতা ৫ হাজার ৩৬০ মেগাওয়াট। বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর জানাচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তেল আমদানি করা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বিপিসির কাছ থেকে কিনতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফয়সাল কে খান বলছেন আগামী তিন মাসের উৎপাদন নিশ্চিত করতে ডলারের সাপোর্ট জরুরি ভিত্তিতে দরকার।
“সামনের দিকে আমরা খুবই চিন্তিত আছি আগামী কয়েকমাস নিয়ে। আগামী মাসগুলিতে আইপিপিগুলোর অবশ্যই উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের তেল আমদানি করতেই হবে। বেশিরভাগ বেসরকারি এইচএফও (ফার্নেস অয়েল) প্ল্যান্ট নিজেরা আমদানি করে অথবা বিপিসি থেকে সাপ্লাই নেয়। এই মুহূর্তে যে সমস্যাটা হয়ে গেছে ঠিক আইপিপিগুলো যেমন আমদানি করতে সমস্যা ফেইস করছে ডলার নিয়ে বিপিসিও একই সমস্যা ফেইস করছে। বিপিসিও আমাদেরকে তেল দিতে পারছে না যখন আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করছি।”
উদ্যোক্তারা বলছেন ডলার সংকট এবং এলসি জটিলতা না কাটলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে এ বছর। মি. খান বলছেন আগামী তিন মাসের জন্য বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর তেল আমদানির জন্য আড়াইশ থেকে তিনশ মিলিয়ন ডলারের একটা সাপোর্ট তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চাইছেন। তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো চাহিদা পূরণ করতে জরুরি ভিত্তিতে এই বিশেষ সুবিধা প্রয়োজন।
“আমরা যখন ব্যাংকে যাচ্ছি এলসি খুলতে তারা তখন বলছে মার্জিন (নগদ জমা) দিয়ে এলসি খুলতে হবে।এটাতে আবার ক্যাশ ফ্লোতে চাপ পড়ছে। তারপরে আবার যখন এলসি সেটেলমেন্টের সময় আসছে তখন তারা ১২০ টাকার নিচে কোনো উপায় দেখছিনা আমরা। অথচ আমাদের রেভিনিউ আসে সোনালী ব্যাংকের ডলার রেটে যেটা এখন ১১০-১১১ টাকার মতো। আমরা যতই তেল আমদানি করছি ততই লস খাচ্ছি।”
জ্বালানি এবং আমদানি নির্ভরতা
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়েক বছর আগেও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে গ্যাস নির্ভরতা পঞ্চাশ শতাংশের কম। নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ এখন এলএনজি আমদানির মাধ্যমে গ্যাস সংকট মেটানোর চেষ্টা করছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বাইরে এখন তেল ও কয়লার ব্যবহার বেড়েছে। এই তেল এবং কয়লার সিংহভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
পিডিবির তথ্য অনুযায়ী ভারত থেকে আমদানি, আদানির বিদ্যুৎসহ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এখাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জ্বালানি খরচ হয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে একটা বড় অংশই তেল ও কয়লা বিদ্যুতের জ্বালানি খরচ।
বিশ্লেষকরা বলছেন আমদানি নির্ভরতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি খরচ বাড়ছে এবং সেটা সরাসরি ডলারের ওপর চাপ তৈরি করছে। বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনা দেখে বিশ্লেষকরা বলছেন বাংলাদেশ দিনে দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ছে যেটি ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। আমদানি নির্ভরতার সংকট কেমন হতে পারে তার একটা দৃষ্টান্ত হলো ২০২২-২৩ সাল।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী জ্বালানি আমদানির জন্য অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় ওই বছর। ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকনোমিক্স এন্ড ফিনান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের লিড এনার্জি এনালিস্ট শফিকুল আলম বলেন, সামনের দিনে একটা পরিকল্পনা করতে হবে যাতে খরুচে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ব্যবহার কমানো যায় বা ধীরে ধীরে ফেইজ আউট করা যায়।
“আমরা যদি গত অর্থবছর দেখি তাহলে তেলের ব্যবহারটা পঁচিশ শতাংশের মতো ছিল এবং এর পেছনে আমাদের খরচ হয়েছে পুরো বিদ্যুৎ খাতের খরচের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাইস ওঠানামা করে, উদাহরণ স্বরূপ ২০২২ সালে যখন প্রাইস সিগনিফিকেন্টলি জাম্প করলো, তখন কিন্তু আমরা আমদানি করতে পারলাম না। সেটা আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। ক্রমেই কিন্তু আমরা আরো বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছি কারণ আমাদের পুরো সিস্টেমটা আমদানি নির্ভর হতে যাচ্ছে।”
তেলের বাইরে বড় পরিমাণে কয়লাও আমদানির করতে হচ্ছে। এ বছর গ্রীষ্মে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা আছে। গত বছর কয়লার মূল্য পরিশোধ করতে বিলম্বের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের সবচে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। টানা ২৫ দিন এটি বন্ধ থাকায় দেশজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হয়।
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, তাদের এলসি খুলতে জটিলতা নেই কারণ চীন থেকে সেটা করা হয়। এছাড়া এ বছর কয়লার দাম গত বছরের তুলনায় কমে এসেছে ফলে সমস্যা কিছুটা কম হবে বলে তিনি মনে করেন।
“বৈদেশিক মূদ্রার একটা বড় অংশ খরচ হয় জ্বালানি সংগ্রহের জন্য। সেটা যদি ডোমেস্টিক গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো যায় তাহলে অনেকটা লাঘব হবে। এ বছর বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় জ্বালানির সঙ্গে সমন্বয় করে যেভাবে পরিকল্পনা করেছে আশা করি সমস্যা হবে না।”
গত অর্থবছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার জন্য খরচ পড়েছে ১২ হাজার ৭শ কোটি টাকার বেশি। এ বছর গরমের দিনে ৫ হাজার মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা আছে বিদ্যুৎ বিভাগের। এর জন্য প্রয়োজন হবে প্রতি দিন প্রায় ৫০ হাজার টন কয়লা।
লোডশেডিং করতে হবে
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে এবার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হতে পারে সাড়ে সতের হাজার মেগাওয়াট। পুরো জ্বালানি আমদানি করতে না পারলে কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে করতে হবে লোডশেডিং।
এখনো গ্যাসের অভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আবার বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসে থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কেন্দ্র ভাড়া দেয়ার জন্য ব্যয় বাড়ছে পিডিবির। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন জানান বিদ্যুৎ বিভাগ যেভাবে পরিকল্পনা করছে তাতে এ বছর ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
সর্বোচ্চ চাহিদার সময় গরমে ৫শ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হতে পারে বলেও ধারণা দেন মি. হোসাইন। তবে যদি জ্বালানি আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি মূল্যে নতুন কোনো সংকট তৈরি হয় সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫শ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানান তিনি।
অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের আর্থিক পরিস্থিতি এবং ডলার সংকট মিলিয়ে এ বছর বিদ্যুৎ চাহিদা কীভাবে সামাল দেয় সরকার সেটি দেখার বিষয়। সক্ষমতা থাকার পরও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারাটা সরকারের কাঠামোগত সমস্যা হিসেবেই দেখেন তিনি।
“বাংলাদেশের এ সরকারের সবচে বড় সাফল্যের জায়গা একটা হলো বিদ্যুতের সক্ষমতা বৃদ্ধি। আবার এ সরকারের সবচে বড় বিপদের জায়গাই হলো সেই অর্থে একটা খুবই ভ্রান্ত বিদ্যুৎ বা জ্বালানি নীতি। কী একটা অদ্ভুত দেশ! আগে খাম্বা ছিল বিদ্যুৎ ছিল না, এখন বিদ্যুতের সক্ষমতা আছে আমরা সেগুলোকে চালু রাখতে পারি না।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতার ভেতরে বিদ্যুৎ খাতকে আগামী দিনে একটা কেইসস্টাডি হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
আপনার মতামত জানানঃ