বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দুই সদস্য ইলান ডি বাসো এবং কার্স্টেন লক। এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের কাছে একটি চিঠি লেখেন তারা এবং ১৪ ডিসেম্বর পাঠানো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর সহিংসভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে। আমরা মনে করি, যখন কোথাও প্রধান বিরোধী দলগুলোকে হয়রানি করা হয়, তাদের কর্মীদের নির্যাতন করা হয়, গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়, তখন সেখানে অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
চিঠিতে তারা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসাবে আখ্যায়িত করে বোরেলের প্রতি এ নিয়ে উদ্বেগ জানানোর আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বলেছে, তারা বাংলাদেশে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের গণগ্রেফতার এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগের কারণে উদ্বিগ্ন।
জোসেপ বোরেলকে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা আরও বলেন, আমরা ৫ নভেম্বর এক্সে (টুইট) বাংলাদেশে গণগ্রেফতার সংক্রান্ত আপনার পোস্টটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। সেখানে আপনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে আমরা ভয় পাচ্ছি যে, বাংলাদেশ সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজছে না।
ইইউ পার্লামেন্টের ওই দুই সদস্য চিঠির শেষে জোসেপ বোরেল ও তার অফিসকে ১৪ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টারি রেজুলেশনে বর্ণিত সুপারিশগুলো জরুরিভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বোরেলকে বলেন, আপনি যদি এই বিষয়ে আপনার অফিস কী কী করছে তার রূপরেখা দিতে পারেন, তাহলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে, আমরা আপনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের আহ্বান জানাচ্ছি।
চার দেশের ১৪ জনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: অগণতান্ত্রিক আচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে মধ্য আমেরিকার চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশগুলো হলো নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভাদর। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪ জন নিকারাগুয়ার, ৪ জন গুয়াতেমালার, ৩ জন হন্ডুরাসের এবং ৩ জন এল সালভাদরের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে যারা জেনেশুনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে অবমূল্যায়ন করেছে, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে, বা গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং এল সালভাদরে দুর্নীতির তদন্তে বাধা দিয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস-নর্দার্ন ট্রায়াঙ্গেল এনহেঞ্চড এনগেজমেন্ট অ্যাক্টের ৩৫৩ নম্বর ধারা সংশোধিত অনুসারে তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা মার্কিন ভিসা পাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
আপনার মতামত জানানঃ