সাধারণত প্রকৃতির পরিবর্তন আচমকা হয়না। খুব ধীর পদ্ধতিতে পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু একটি মহাসাগর প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আটলান্টিক মহাসাগর বা অতলান্ত মহাসাগর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এর আয়তন ১০৬,৪৬০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৪১.১ মিলিয়ন বর্গমাইল); এটি পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রায় এক পঞ্চমাংশ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। ইউরোপীয় ধারণা অনুযায়ী, এটি “পুরাতন পৃথিবীকে” “নতুন পৃথিবীর” থেকে আলাদা রাখে।
আটলান্টিক মহাসাগর বড় হচ্ছে। বড় থেকে আরও বড় হচ্ছে। ক্রমে পৃথিবীর স্থলভাগ সরছে। আর তার জেরেই আটলান্টিক মহাসাগর বড় হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়া। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন আটলান্টিক মহাসাগর কিন্তু তার জন্মের পর থেকেই ক্রমে বড় হচ্ছে।
টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়া যে তার বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে এটা মেনে নিয়েও তাঁদের কাছে এই টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়া ঠিক কীভাবে আটলান্টিককে বড় করে তুলেছে তা পরিস্কার হয়ে উঠতে পারেননি। আটলান্টিক মহাসাগর একটু একটু করে বড় হচ্ছে। আর তা প্রতিবছর হচ্ছে।
প্রতিবছর বড় হচ্ছে আটলান্টিক। অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগর ক্রমে ছোট হচ্ছে। সেটাও হচ্ছে প্রতিবছর। প্রশান্ত মহাসাগর বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ মহাসাগর। তার গভীরতাও সবচেয়ে বেশি। সেই মহাসাগর ছোট হয়ে যাচ্ছে। আর অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বড় হচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগর।
আটলান্টিক মহাসাগর প্রতিবছর বড় তো হচ্ছে, কিন্তু কতটা করে? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন প্রতিবছর দেড় ইঞ্চি করে বড় হচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগর। আর এই বড় হওয়ার গতি চিরদিন অক্ষুণ্ণ থাকবে। এভাবেই এটি বড় হতে থাকবে।
আমেরিকার তলায় থাকা টেকটনিক প্লেট এবং ইউরোপ ও আফ্রিকার তলায় থাকা টেকটনিক প্লেট নিজেদের মধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। সেটাও একটা বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরের এই বৃদ্ধির।
যেমন লোহিত সাগরকে মনে করা হয়ে সেটি তার শৈশবস্থায় রয়েছে। সেটি বড় হয়েই চলেছে। আর এমন একটা দিন আসবে যেদিন সেটি আটলান্টিক মহাসাগরের মত বড় একটি মহাসাগরে পরিণত হবে
আপনার মতামত জানানঃ