স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৩ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ১৯ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
তিন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে পুলিশ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদের জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারদায় ৩৭তম বিসিএস-পুলিশ ব্যাচের শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আশা করি বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে এবং আমরা গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের জীবনের শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।”বাংলাদেশের পুলিশকে জাতির পিতা ‘স্বাধীন দেশের পুলিশ’ বলেছিলেন উল্লেখ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ সপ্তাহে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে জাতির পিতার দেওয়া ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, “জাতির পিতা বলেছিলেন- ‘একটা কথা ভুললে চলবে না তোমাদের, তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও, তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও, তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা, জনগণকে ভালোবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা’। “অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটা কথা এবং নির্দেশনা জাতির পিতা দিয়ে গেছেন। আজকে নবীন পুলিশ অফিসাররা তোমরা শপথ গ্রহন করেছে, সেই শপথ নিয়েই তোমাদের চলতে হবে। সেই সাথে জাতির পিতার নির্দেশনাগুলোও তোমাদের মেনে চলতে হবে।”
পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক : পাবনার এসপি
জাগো নিউজ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
পাবনার নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম বলেছেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। কাজেই সাংবাদিকদের কাছে তথ্য এড়িয়ে যাওয়া বা সাংবাদিকদের তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা করার কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, দেশ ও সমাজ থেকে সব ধরনের অপকর্ম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের ন্যায় সাংবাদিকদের ভূমিকাও অতুলনীয়। শনিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে পাবনা জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম। জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ডিএসবি) শামিমা আখতার মিলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম)মাসুদ আলম, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পলিশ সুপার ফিরোজ কবির, রিজার্ভ ফোর্সের সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিভিন্ন পিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নবাগত পুলিশ সুপার বলেন, সাধারণ জনগণ যাতে কোনো পুলিশ সদস্য দ্বারা হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে হবে।
মাদকসেবন : দিনাজপুরে ৬ পুলিশ সদস্য বহিষ্কার
ইত্তেফাক
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
দিনাজপুরে জেলা পুলিশের ৫০ জন সদস্যের মাদকাসক্তের বিষয় স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করে ৬ জন সদস্যের শরীরে মাদক গ্রহণের নমুনা পাওয়ায় তাদেরকে চাকরি থেকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ডিসেম্বর মাসের বিজয় দিবসের পর থেকে জেলার কর্মরত পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা শুরু করা হয়। সদস্যদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ৫০ জনকে মাদক সেবন সন্দেহে তাদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করে ৬ জন পুলিশ সদস্যের শরীরে মাদক সেবনের নমুনা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের এ ধরনের রিপোর্ট পাওয়ার পর গত বছর ৩১ ডিসেম্বর ওই ৬ পুলিশ সদস্যকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কারকৃত ৬ সদস্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিল। পুলিশ সুপার জানান, তিনি এই জেলাকে মাদক মুক্ত করতে নিজের ঘরে সদস্যদের মাদকাসক্তের বিষয় শনাক্তের কার্যক্রম গত ডিসেম্বর মাসে শুরু করে ছিলেন। এখন তিনি জেলার সকল দপ্তরকে তাদের দপ্তরের অধিনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করে মাদক গ্রহণ করেন কি না এবিষয় নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান।
‘কুমিল্লায় পুলিশের সব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা হবে’
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কুমিল্লার নবাগত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেছেন, পুলিশের সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। পুলিশের বদলিজনিত বিষয়ে অর্থ লেনদেন কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। সব ধরনের জনহয়রানি বন্ধ করা হবে। শনিবার বিকালে যোগদানের পরই সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পুলিশ সুপার নতুন দুটি স্লোগান প্রকাশ করেন। বিট পুলিশিংয়ের জোয়ারে, পুলিশ সুপার যাবে আপনার দুয়ারে; মাদক ছাড় না হয় কুমিল্লা ছাড়ো- নামে স্লোগান প্রকাশ করা হয়। তিনি কুমিল্লা জেলা পুলিশকে আরও মানবিক এবং পেশাদার হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, ডিআইও১ মাইনুদ্দিন খান, ওসি ডিবি আনোয়ারুল আজিম প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকরা জেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার এসব বিষয় সুরাহাসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
মাদক সেবনের দায়ে চাকরি গেল ৬ পুলিশের
আমাদের সময়
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
দিনাজপুরে মাদক সেবনের অভিযোগে ৫০ পুলিশ সদস্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়ায় ছয় কনস্টেবলকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বিজয় দিবসের পর থেকে জেলার কর্মরত পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সদস্যদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫০ জনকে মাদক সেবনের সন্দেহে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে তাদের মধ্যে ছয়জনের মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) চাকরি থেকে তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ সদস্যদের মাদক গ্রহণ শনাক্তের কার্যক্রম গত ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। জেলার সকল দপ্তরকে অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মাদক গ্রহণের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
জাগো নিউজ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বরিশাল নগরীতে পুলিশি নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ছে। রেজাউল করিমের বাবা মো. ইউনুস মুন্সির অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলেন তার ছেলে রেজাউল করিম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যান। পরে তিনি জানান রেজাউল করিমের কাছ থেকে ১৩৮ গ্রাম গাঁজা এবং চার পিস নেশাজাতীয় ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা হয়েছে। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে রেজাউল করিমকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা মাদক আইনে মামলা করেন এসআই মো. মহিউদ্দিন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। মো. ইউনুস মুন্সি বলেন, ‘এসআই মহিউদ্দিন ধরে নেয়ার সময় রেজাউল সুস্থ ছিলেন। তার শরীরে মারা যাওয়ার মতো কঠিন কোনো রোগ ছিল না। তবে শুক্রবার আদালতের সোপর্দের সময় তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিল। আদালতের নির্দেশে তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে রেজাউলের মৃত্যু হয়।’
প্রসঙ্গ লাকিংমে চাকমা – ১
অপহরণ ও পুলিশের অবহেলার শিকার
সমকাল
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
অপহরণের পর অন্তত ছয় দিন লাকিংমে চাকমাকে আশপাশের গ্রামে লুকিয়ে রেখেছিল অপহরণকারীরা। অভিযুক্তদের একজন আতাউল্লাহ, যিনি পরে মিথ্যা জন্মসনদ দিয়ে মেয়েটিকে ধর্মান্তর ও বাল্যবিয়েতে বাধ্য করেছিলেন, তার বক্তব্য থেকেও এটা নিশ্চিত হওয়া যায়। লাকিংমের বাবা লালাঅং চাকমার দাবি, পুলিশ অবহেলা না করলে ওই ক’দিনের মধ্যে তার মেয়েকে উদ্ধার করা যেত। তাহলে মেয়েটিকে এমন অসময়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া লাগত না।
লাকিংমে অপহৃত হয়েছে গত বছরের ৫ জানুয়ারি। অপহরণের পর অপহৃতকে উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লাকিংমে চাকমার ওপর ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার তথ্যানুসন্ধানকারী শিক্ষক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও আদিবাসী নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে প্রথমে লাকিংমে চাকমার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শিলখালি গ্রামে যায়। এরপর গাড়িতে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত আতাউল্লাহর বাড়ি মাথাভাঙ্গা গ্রামে গিয়ে তার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলে। আতাউল্লাহ তখন বাড়িতে ছিলেন না। তার মা রহিমা খাতুন ও বড় ভাই মনির উদ্দিন জানান, আতাউল্লাহ উখিয়ায় আছেন। তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন সেদিন। তিন দিন পর ৩১ ডিসেম্বর আতাউল্লাহকে খুঁজে পাওয়া যায় টেকনাফ বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন রমজান আলী মার্কেটের ‘রহমানিয়া থাই ফ্যাশন’ নামে একটি দোকানে। এই দোকানেই কয়েক মাস ধরে চাকরি করছেন তিনি।
আতাউল্লাহর দাবি, তিনি লাকিংমেকে অপহরণ করেননি। ঈশা ধর্মান্তরে আগ্রহী একটি চাকমা মেয়েকে বিয়ে করতে চায় কিনা জানতে চেয়ে গত বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের কোনো একদিন ফোন করে তাকে। পরে ভিডিওকলে লাকিংমেকে দেখে পছন্দ হলে গত ১১ জানুয়ারি টেকনাফে আসেন তিনি এবং সেদিনই মেয়েটিকে নিয়ে কুমিল্লায় চলে যান। সেখানে ২১ জানুয়ারি মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করার পর বিয়ে করেন। আতাউল্লাহর দাবি, ‘লাকি চেয়েছে বলেই আমি তাকে বিয়ে করেছি।’ কথা বলার সময় লাকিংমেকে ‘লাকি’ বলছিলেন তিনি। লাকিংমে নিজেই এসব সওয়াল-জবাবের বাইরে চলে গেছেন। হত্যা কিংবা আত্মহত্যা যা-ই হোক, অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্কের কারণে ২৩ দিন ধরে তার লাশ পড়ে আছে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে। আতাউল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজনের দাবি, বিউটি পার্লারে যেতে না দেওয়ায় তর্কাতর্কির একপর্যায়ে স্বামী একটি থাপ্পড় মারার কারণে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর লাকিংমে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। লাকিংমের পরিবার বলছে, তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তার মা কেচিং চাকমার বক্তব্যে হত্যা করা না হলেও তার মেয়েকে অবশ্যই আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগ স্পষ্ট।
মাদারীপুরে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের র্যালি পন্ড
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মাদারীপুরে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে একটি র্যালি বের করলে সদর থানার পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ সেখান থেকে ৮ জনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহীন মৃধা ও সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জাকিরের নেতৃত্বে সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি র্যালি শহরের পুরানবাজার থেকে চৌরাস্তা যাওয়ার পথে চৌরাস্তার কাছে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় র্যালিটি পন্ড হয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৮ নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তারা হলেন সুমন, হাসান, ছোট জাকির, রুহুল আমিন বেপারি, শামীম শেখ, খালিদ বেপারি, আবুল হাসান বেপারি প্রমুখ। শাহীন মৃধা বলেন, পুলিশ আমাদের র্যালিতে বাধা দেয় এবং ৮ নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। মাদারীপুর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমাদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তার ওপর ছিল। তাই তাদের মধ্য থেকে ৮ জনকে আটক করে নিয়ে আসি।
আপনার মতামত জানানঃ