ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কারও প্রাণহানি হয়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তবে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা ও প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনের ১২ হাজার ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
আজ সোমবার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফের দুই হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১০ হাজার ঘরবাড়ির। তবে প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। অন্য কোনো জেলায় মোখার প্রভাব পড়েনি। ফসলেরও ক্ষতি হয়নি। ফসল আগেই কেটে নেওয়া হয়েছিল।
হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, জানতে চাইলে এমানুর রহমান বলেন, কেউ মারা যাননি। আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাড়ে সাত লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। স্বেচ্ছাসেবীরা তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো বাড়িঘর থেকে হাঁটাদূরত্বে হওয়ায় লোকজনকে সরিয়ে নিতে সরকারের কোনো ব্যয় হয়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হেনেছে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রের একটি অংশ বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ওপর দিয়ে গেছে। তবে সাগর থেকে মাটিতে এসে মোখা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। এ কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
গতকাল রোববার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর বেলা ২টা ২০ মিনিটে সেন্ট মার্টিনে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয় ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার। দেশের অন্য উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতি ছিল এর চেয়ে অনেক কম।
মোখা ছিল ব্যতিক্রমী
গত দুই যুগে দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে শক্তির তুলনায় না হলেও চরিত্রের দিক থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা ছিল ব্যতিক্রম। কেননা, দেশে এর আগে সিডর, আইলা বা ইয়াসের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলো আঘাত হানার সময় উপকূলে তীব্র বাতাস, জলোচ্ছ্বাস ও বৃষ্টি একই সঙ্গে ছিল। কিন্তু গতকাল রোববার দুপুরে মোখা যখন উপকূলে আঘাত করেছিল, দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে রীতিমতো তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত থেকে শুরু করে পূর্ব এশিয়াজুড়ে ওই তাপপ্রবাহ ছিল।
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থানের সময়ের দিক থেকেও ঘূর্ণিঝড়টি ব্যতিক্রম ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ বছরের মধ্যে যে কটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত করেছে তার মধ্যে মোখা সবচেয়ে কম সময় ভূখণ্ডে অবস্থান করে। ঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে যাওয়ার সময় ছিল মাত্র ৬ ঘণ্টা। ঝড়টির কেন্দ্র মূলত মিয়ানমারে আঘাত করে। এর অংশ বিশেষ সেন্ট মার্টিনের ওপর দিয়ে যায়।
সেন্ট মার্টিনে এটার প্রভাব শুরু হয় দুপুর ১২টায়। আর সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে যায়। অন্যদিকে ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টি ১৮ ঘণ্টা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ছিল। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর ছিল ১৬ ঘণ্টা, ২০০৯ সালে আইলা ছিল ৩০ ঘণ্টা, ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ছিল ২৮ ঘণ্টা। আর ২০২২ সালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব ছিল ১০ ঘণ্টা।
গত দুই যুগে দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে শক্তির তুলনায় না হলেও চরিত্রের দিক থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা ছিল ব্যতিক্রম। কেননা, দেশে এর আগে সিডর, আইলা বা ইয়াসের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলো আঘাত হানার সময় উপকূলে তীব্র বাতাস, জলোচ্ছ্বাস ও বৃষ্টি একই সঙ্গে ছিল। কিন্তু গতকাল রোববার দুপুরে মোখা যখন উপকূলে আঘাত করেছিল, দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে রীতিমতো তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত থেকে শুরু করে পূর্ব এশিয়াজুড়ে ওই তাপপ্রবাহ ছিল।
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থানের সময়ের দিক থেকেও ঘূর্ণিঝড়টি ব্যতিক্রম ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ বছরের মধ্যে যে কটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত করেছে তার মধ্যে মোখা সবচেয়ে কম সময় ভূখণ্ডে অবস্থান করে। ঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে যাওয়ার সময় ছিল মাত্র ৬ ঘণ্টা। ঝড়টির কেন্দ্র মূলত মিয়ানমারে আঘাত করে। এর অংশ বিশেষ সেন্ট মার্টিনের ওপর দিয়ে যায়। সেন্ট মার্টিনে এটার প্রভাব শুরু হয় দুপুর ১২টায়। আর সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে যায়। অন্যদিকে ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টি ১৮ ঘণ্টা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ছিল। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর ছিল ১৬ ঘণ্টা, ২০০৯ সালে আইলা ছিল ৩০ ঘণ্টা, ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ছিল ২৮ ঘণ্টা। আর ২০২২ সালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব ছিল ১০ ঘণ্টা।
গত শুক্রবার রাত থেকে পূর্বাভাসগুলোতে বলা হচ্ছিল, উপকূলে আঘাত হানার সময় প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতি থাকতে পারে, ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে পারে উপকূল। দেশজুড়ে হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। দেশ-বিদেশের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা ও আবহাওয়া গবেষকদের এমন সব পূর্বাভাসের পুরোটা শেষ পর্যন্ত সত্য প্রমাণিত হয়নি। বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেলেও অন্যান্য এলাকায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি। জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কাও কেটে গেছে।
এসডব্লিউএসএস/১৬০৫
আপনার মতামত জানানঃ