অবশেষে শেষ হলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অনেক প্রতীক্ষার পর নাম ঘোষণা করা হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কনজারভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি
কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ায় আগামীকাল যুক্তরাজ্যের সরকার গঠনের আমন্ত্রণের জন্য বালমোরালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে সাক্ষাৎ করবেন লিজ ট্রাস। এর ফলে তিনি মঙ্গলবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন।
দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস আর সাবেক অর্থমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের গত কয়েক সপ্তাহের ব্যাপক তিক্ততা ও বিভক্ত নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়েছে।
সেই নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে শীর্ষে উঠে আসেন লিজ ট্রাস। ৮১ হজাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট।
কনজারভেটিভ পার্টির ভোটের ফল ঘোষণার পর লিজ ট্রাস তার প্রথম ভাষণে বলেছেন, ব্রিটিশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং কর কমানোর জন্য বলিষ্ঠ পরিকল্পনা রয়েছে তার।
লিজ ট্রাসের জয়ে ব্রিটেনে অবসান ঘটল বরিস জনসনের শাসনের। টানা কয়েক মাস ধরে নানামুখী কেলেঙ্কারি এবং সমালোচনার পর গত জুলাই মাসে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন।
লিজ ট্রাসের জয়ে ব্রিটেনে অবসান ঘটল বরিস জনসনের শাসনের। টানা কয়েক মাস ধরে নানামুখী কেলেঙ্কারি এবং সমালোচনার পর গত জুলাই মাসে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন।
রয়টার্স বলছে, সোমবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিজয়ী প্রার্থী ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের সাথে দেখা করতে স্কটল্যান্ডে যাবেন। সেখানে নতুন নেতাকে সরকার গঠন করতে বলবেন রানি।
বেশ কিছু কেলেঙ্কারির কারণে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বরিস জনসন। এরপরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। কনজারভেটিভ দলের প্রায় দুই লাখ সদস্য ভোটার ছিলেন।
প্রায় দুই মাস ধরে চলা নেতা নির্বাচনের এই প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত ধাপের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। তাদের মধ্যে লিজ ট্রাসই এগিয়ে ছিলেন।
৪৭ বছর বয়সী লিজ ট্রাস বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা ছিলেন গণিতের শিক্ষক এবং মা নার্স। ট্রাস অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেন তিনি। এরপর তিনি রাজনীতিতে নামেন। ট্রাস প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। তবে তিনি প্রাথমিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার বিরুদ্ধে ছিলেন।
পরে ব্রেক্সিটের নায়ক হিসাবে আবির্ভূত হওয়া বরিস জনসনকে সমর্থন করেন ট্রাস। ব্রিটিশ মিডিয়া প্রায়ই লিজ ট্রাসকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করে থাকে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৮৪০
আপনার মতামত জানানঃ