স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৭ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ২ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
সাংবাদিক সফিকুলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট, মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই
প্রথম আলো
বিভাগ: গনমাধ্যম
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ফটোসাংবাদিক সফিকুল ইসলাম কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানী শেরেবাংলা নগর থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপর মামলায় সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম কাজল হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। ওই মামলার তার জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে সেদিন হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিন দিয়েছিলেন সাংবাদিক কাজলকে। পাশাপাশি এর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার অপর দুই মামলায় জামিন প্রশ্নের রুল শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। সফিকুল ইসলাম কাজলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, এই দুই মামলায় জামিন পাওয়ায় সফিকুল ইসলাম কাজলের আইনগত কোনো বাধা নেই।
কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তি চান জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞ
কালের কন্ঠ
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
শারীরিক পরিস্থিতি অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে অনতিবিলম্বে বরেণ্য কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞ। গতকাল বুধবার বিকেলে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা ওই আহ্বান জানান। বিশেষজ্ঞ তিনজন হলেন সাংস্কৃতিক অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার কারিমা বেনুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান এবং সর্বোচ্চ মানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকারবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার লালেং মোফোকেং। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কভিড মোকাবেলায় নেওয়া উদ্যোগগুলোকে বিদ্রুপ করে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে ফেসবুকে ‘করোনাকালীন জীবন’ শীর্ষক কার্টুন প্রকাশের পর গত মে মাসে কার্টুনিস্ট কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। কভিড মোকাবেলা নিয়ে প্রপাগান্ডা ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘কার্টুন ও রাজনৈতিক বিদ্রুপসহ সরকারের নীতি সমালোচনা করা মতপ্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অধিকার হিসেবে অনুমোদিত। এগুলো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়।’
ঢাবিতে ‘সংবাদপত্রে বিজয়গাথা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী
যুগান্তর
বিভাগ: গণমাধ্যম
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘সংবাদপত্রে বিজয়গাথা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। প্রদর্শনী চলে বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে স্থান পায় মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন দুর্লভ ছবি ও সংবাদপত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবিরসহ সংগঠনের নেতারা। এবারের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে শতাধিক আলোকচিত্র স্থান পায়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা কিভাবে পত্রপত্রিকায় প্রতিফলিত হয়েছিল, তার সচিত্র প্রতিবেদন নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও তথ্য আদান-প্রদান চলমান থাকবে।
সন্ত্রাসীর গুলিতে পুলিশের এএসআই আহত
প্রথম আলো
বিভাগ:রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীর গুলিতে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য উজ্জ্বল হোসেন খান (২৮) রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য। পরে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় হামলাকারী ইব্রাহিম চৌধুরীকে পিস্তল, ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, রায়েরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে রায়েরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই উজ্জ্বল হোসেন নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য সেখানে অভিযান চালান।
পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সন্ত্রাসী ইব্রাহিম চৌধুরী গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তবে পুলিশের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এএসআই উজ্জ্বলের হাত ও পিঠে গুলি লাগে।
পুলিশ সার্জেন্টকে তল্লাশি করতে গিয়ে…
আমাদের সময়
বিভাগ:রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশের এক সার্জেন্টকে তল্লাশি করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন মো. আকবর হোসেন বাবু নামের এক ভুয়া পুলিশ। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে পল্লবীর সেকশন-১০-এর এ-ব্লক এলাকায় মসজিদ-ই-বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গতকাল বুধবার পল্লবী থানায় মামলা করেছেন ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ) কর্মরত ভুক্তভোগী সার্জেন্ট মো. মনিরুল হাসান। মো. মনিরুল হাসান জানান, কর্মস্থল থেকে সাত দিনের ছুটি নিয়ে গত রোববার পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশন এলাকার বাসায় যান তিনি। গত মঙ্গলবার রাতে মিরপুর-১০ শাহ্ আলী মার্কেটে কেনাকাটা শেষে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন মনিরুল। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে পল্লবীর ১০ নম্বর সেকশন এলাকায় মসজিদ-ই-বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সামনে আসতেই আকবর হোসেন তার রিকশা থামিয়ে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন এবং সার্জেন্টকে জোর করে রিকশা থেকে নামিয়ে দেহ তল্লাশি করার চেষ্টা করেন। এ সময় সার্জেন্ট মনিরুল হাসান নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার পরিচয়পত্র দেখান এবং আকবরের পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরে বেগতিক অবস্থার মধ্যে পড়ে পালানোর চেষ্টা করেন আকবর। এ সময় আশপাশের লোকজনের সাহায্যে দৌড়ে তাকে ধরে ফেলেন সার্জেন্ট মনিরুল হাসান। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পল্লবী থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান তিনি। খবর পেয়ে পল্লবী তানা পুলিশ আকবর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
Journalist Kajol gets bail in both cases against him under Digital Security Act
The Daily Star
Category: Digital Security Act
The HC bench of Justice M Enayetur Rahim and Justice Md Mostafizur Rahman granted bail to Kajol following two separate petitions filed by him seeking bail in the cases lodged with Hazaribagh and Kamrangirchar police stations. Kajol’s lawyer Jyotirmoy Barua told The Daily Star that there is no legal bar for his client to get released from jail following the HC verdict.
The HC bench granted bail to Kajol in the cases as the investigation officer did not take permission from the Cyber Tribunal to probe the cases after 75 days of filing them.
The court said it will give a directive to the inspector general to take necessary steps to train the investigation officers about the provisions of the laws and the rules for investigation of relevant cases.
আপনার মতামত জানানঃ