স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২০, সোমবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
৩৪ বছরে তাকে ধরতে দায়িত্ব পেয়েছেন ১২০ পুলিশ কর্মকর্তা
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কোম্পানিতে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন নুরুল ইসলাম। সেখান থেকে ১০ হাজার টাকা ও একটি বাইসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ১৯৮৬ সালে কোম্পানি তাঁর বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় মামলা করে। তখন থেকে তিনি পলাতক। ১৯৯৪ সালে আদালত তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। ৩৪ বছর পর অবশেষে মাগুরা শহর থেকে নড়াইলের লোহাগড়া থানা-পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
মো. মাহফুজুল হক বলেন, গাজীপুরের আদালত ১৯৯৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ওয়ারেন্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করতে এ পর্যন্ত ১২০ জন পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন।
গৃহবধূকে যৌনকর্মী হিসেবে চালান
শিবগঞ্জ থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে এক গৃহবধূকে উল্টো যৌনকর্মী হিসেবে আদালতে চালান দেওয়ার অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গত রবিবার বিকেলে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি নথিভুক্ত হয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে কলেজছাত্র রামিম হাসান রিমনের সঙ্গে বাদীর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রিমনের পরিবার রাজি না থাকায় বাদী তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের পরও রিমন বাদীর মেয়ের সঙ্গে ফোনে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। এরই এক পর্যায়ে স্বামী বাড়িতে না থাকায় রিমন গত ২৪ নভেম্বর দুপুরে বাদীর মেয়ের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় পিরব ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম রিমন ও বাদীর মেয়েকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে শিবগঞ্জ থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমার রায় দুজনকে আটক করে নিয়ে যান। থানায় গিয়ে ঘটনার শিকার গৃহবধূ ও তার মা অভিযুক্ত রিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। উল্টো রিমনের সঙ্গে ওই গৃহবধূকেও দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে (পতিতাবৃত্তি) আদালতে চালান দেওয়া হয়। পরে আদালত দুজনকে জামিন দেন।
বাদীর অভিযোগ, শিবগঞ্জ থানার এসআই রতন কুমার রায় ১০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে তার মেয়েকে পতিতা হিসেবে চালান দিয়ে তাঁদের সম্মান নষ্ট করেছেন। এ কারণে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অভিযুক্ত রিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়েরের কথা বললে এসআই রতন কুমার রায় বাদীর মেয়েকে চড়-থাপ্পড় মেরে হাজতে ঢুকিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।
এ ব্যাপারে ওসি বদিউজ্জামান জানান, তার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা অভিযোগ করছে। যে নারী মামলা করেছেন তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। তাঁকে জনগণ ধরে থানায় দিয়েছিল।
এসআই রতন কুমার বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা আইনগতভাবেই করেছি। অভিযুক্ত মেয়ে যে খারাপ তার স্বীকারোক্তি স্থানীয় লোকজন আমার কাছে দিয়েছে।’
শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে মেয়েটি পতিতাবৃত্তির মতো ঘটনায় জড়িত নন। তিনি স্বামীর বাড়িতেই থাকেন।
কোমরে বিশেষ বেল্টে থাকবে সব সরঞ্জাম
উন্নত বিশ্বের আদলে সাজছে পুলিশ
প্রথম ধাপে দেয়া হবে ১০ হাজার বেল্ট
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বাংলাদেশ পুলিশে সংযোজন হচ্ছে হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং। উন্নত বিশ্বের পুলিশের আদলে সাজাতে আজ (১৬ ডিসেম্বর) এ কার্যক্রম শুরু হবে। হ্যান্ড ফ্রি পুলিশিং মানে- অপারেশনে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের হাত খালি থাকবে। অস্ত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি থাকবে কোমরে বাঁধা বিশেষ বেল্টে। এ বিষয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, বাহিনীতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতেই এ উদ্যোগ। প্রথম পর্যায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ১০ হাজার সদস্যকে দেয়া হবে এ টেকটিক্যাল বেল্ট। এরমধ্যে ডিএমপিতে ৭ হাজার ও সিএমপিতে ৩ হাজার সদস্যকে এ বেল্ট দেয়া হবে। এসব বেল্ট কনস্টেবল থেকে শুরু করে এসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা ব্যবহার করবেন। আপাতত অপারেশনাল ফোর্স, ফুট ও মোবাইল পেট্রোল টিম ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের টেকটিক্যাল বেল্ট দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশের পুলিশ সদস্যদের মাঝে এই বেল্ট বিতরণ করা হবে। পুলিশ সদর দফতরের লজিস্টিক বিভাগ সূত্র জানায়, টেকটিক্যাল বেল্টে ৬টি চেম্বার থাকছে। এসব চেম্বারে ক্ষুদ্র অস্ত্র, হ্যান্ডকাপ, ওয়্যারলেস সেট, ৫০০ মিলিলিটার পানির বোতল ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য ‘পজ মেশিন’ রাখার ব্যবস্থা আছে। পরবর্তীতে টেকটিক্যাল বেল্টে বডি অন ক্যামেরা, টর্চলাইটসহ প্রয়োজনীয় আরও কিছু সরঞ্জাম যুক্ত করা হবে। পরিবর্তন আনা হবে ওয়্যারলেস সেটেও। টেকটিক্যাল বেল্টে যে সেটটি যুক্ত করা হবে, সেটি হাতে নিয়ে কথা বলতে হবে না। কানে হেডফোন এবং পোশাকের কলারে থাকবে অথবা বোতামে থাকবে স্পিকার। কোমরের বেল্টে অস্ত্র ছাড়া বাকি সবকিছু থাকবে। বেল্ট হয়ে পিস্তলের জন্য নির্ধারিত চেম্বারটি চলে যাবে পুলিশ সদস্যদের ডান পাশের ঊরুতে।
কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক মারধরের মামলায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদ গ্রেপ্তার
প্রথম আলো
বিভাগ: গণমাধ্যম
কুষ্টিয়ায় সংবাদ সংগ্রহে বাধা ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় করা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর তাঁকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
৬ ডিসেম্বর রাতে দীপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সদ্য বিলুপ্ত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর রাত নয়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় এসবি পরিবহন কার্যালয়ের সামনে দেবেশসহ কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সাদ আহমেদসহ আসামিরা মোটরসাইকেলে করে হকিস্টিক, লাঠিসোঁটাসহ এসবি কাউন্টারের সামনে যান। তারা বাস কাউন্টারে ভাঙচুর চালান। দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান সেই দৃশ্য ধারণ করতে থাকেন। সাদ সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন। দেবেশ ও ক্যামেরাম্যান হারুন উর রশীদকে মারধর এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। সাংবাদিক দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাম্যান হারুন উর রশীদকে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Case against photojournalist Kajol: HC unhappy as IOs’ fail to place explanation over probe delay
The Daily Star
Category: Digital Security Act
The High Court today expressed grave dissatisfaction as neither the investigation officers nor the Cyber Tribunal gave any explanation to it over the delay in concluding investigation into two cases filed against photojournalist Shafiqul Islam Kajol under the Digital Security Act. The court sought the explanation three weeks back. None of the investigation officers or the Cyber Tribunal has submitted any report to this court on whether the investigation officer has taken permission from the Cyber Tribunal to probe the cases 75 days after filing those, which is very “unfortunate”, the HC bench of Justice M Enayetur Rahim and Justice Md Mostafizur Rahman noted. Justice Enayetur Rahim said the investigation officers were asked to appear before the bench again with the explanation today (Tuesday). But, the IOs did not appear, nor submitted the explanation before the court, the judge said during hearing two bail petitions filed by accused Kajol in connection with the cases. The HC bench asked the IOs to appear before it on Thursday to give the explanation. It also fixed Thursday for hearing the bail petitions and asked Deputy Attorney General Sarwar Hossain Bappi to communicate to the IOs so that they appear before the court on that day.
Kushtia BCL unit former GS arrested for assaulting journalist
New Age
Category: Media
Police arrested former leader of Bangladesh Chhatra League raiding Babupara area of Alamdanga upazila in Chuadanga early Tuesday, in a case filed over assaulting a television journalist and a camera person.
The arrested is Saad Ahmed, 32, son of Mowla Mondol, a resident of Patikabari area of Kusthia. He was general secretary of BCL Kushtia district unit. A team of detective branch of police conducted a drive in the area and arrested Saad at about 4:00am, Kushtia detective branch of police sub-inspector Ashraful Alam said. He would be produced before court on Tuesday, the SI added. On December 5, Deepto Television’s Kushtia district correspondent Debesh Chandra Sarker and its camera person Harun-Ur-Rashid was attacked by Saad and some of his fellow BCL men while covering demonstration staged by the Kushtia district unit BCL over vandalising the under-construction sculpture of Sheikh Mujibur Rahman. The correspondent filed a case with the Kushtia police accusing Saad Ahmed in this connection.
আপনার মতামত জানানঃ