কারাবন্দি হেফাজত নেতাদের মুক্তি চেয়েছেন সংগঠনের নেতারা। হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিসে দেখা করে বন্দি নেতা-কর্মীদের নিজেদের জিম্মায় জামিনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছে। দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলা বৈঠক শেষে কোনো পক্ষই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
মূলত বর্তমানে একপ্রকার অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে এই সংগঠনটি। তবে সংগঠনটির ভবিষ্যৎ যাই হোক গত কয়েক বছরে এ সংগঠনটির কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডের জের ধরে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে যেমন প্রভাবিত করেছে, তেমনি প্রভাবিত করছে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমাজজীবনকেও।
রাজনীতি না করার শর্তে জামিন
বৈঠকে হেফাজত নেতারা সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে, বন্দি নেতাদের মুক্তি দেওয়া হলে তারা কওমি মাদ্রাসায় কোনো ধরনের রাজনীতিতে জড়াবে না।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেফাজত নেতাদের জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে আমরা আরও অলোচনা করব, যা হবে আদালতের মাধ্যমেই করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর কেন্দ্র করে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতার মামলায় সারাদেশে টানা গ্রেফতার অভিযানসহ নানামুখী চাপে পড়ে হেফাজত। এসব মামলায় হেফাজতের ৩০ নেতাসহ সারাদেশে এক হাজার ২৩০ জনেরও বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, বন্দিদের অনেকেই ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে আছেন। বন্দিরা জেলে থাকায় তাদের পরিবারগুলো সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বন্দিদের সঙ্গে পরিবারের লোকজনের সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহিয়াসহ সংগঠনের ৬ জন সিনিয়র সদস্য অংশ নেন। অন্য নেতারা হলেন-দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (দেওনার পীর), হেফাজত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রীস ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ শাখার ডিআইজি নাফিউল ইসলাম, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের প্রধান একেএম হাফিজ আক্তার, র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল মশিউর রহমান এবং সিআইডির একজন প্রতিনিধিসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি না করার বিষয়ে সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অঙ্গীকার বা এ বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না সে প্রসঙ্গে প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে এ প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব বিষয়সহ অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। আমি সব বিষয়ে আপনাকে বলব না।
সূত্র মতে, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন কমিয়ে আনা ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির উদ্যোগের অংশ হিসাবে এই বৈঠক হয়েছে। হেফাজত নেতাদের মুক্তির বিষয়ে সরকারের তরফে বেশকিছু শর্তারোপ করা হয়েছে। হেফাজত নেতারাও সেগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানতে চাইলে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, আমাদের যেসব নেতাকর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন আমরা তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছি। লিখিতভাবে আমরা দাবিগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছি। তিনি বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখবেন বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলাদাভাবে আমরা কারও ব্যাপারে কথা বলিনি। যারাই জেলে রয়েছেন সবার মুক্তি আবেদনই আমরা জানিয়েছি।
হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, কারাগারে স্বজনদের সাক্ষাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে হয়রানি না করতে মৌখিকভাবে কথা হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈঠকে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালে করা সব মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ওলামায়ে কেরামদের মুক্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। এ ছাড়া তিনি বন্দিদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হেফাজতে ইসলামের উৎস
আট বছর আগে ঢাকায় শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের এই বিশাল সমাবেশ অনেককেই বিস্মিত করেছিল কারণ মাদ্রাসা কিংবা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক ঘরানার বাইরে হেফাজতে ইসলামের এমন শক্তি সম্পর্কে তখনো বহু মানুষের মধ্যে কোন ধারণাই ছিল না।
গত প্রায় আট বছর ধরে নানা ঘটনায় আলোচিত হেফাজতে ইসলা । সংগঠনটির ঘোষণা করা তের দফা কর্মসূচিও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা সময়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
এসব দাবির মধ্যে ছিল ধর্ম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে আইন করা, নারীদের পোশাকে বিশেষ করে হিজাব উদ্বুদ্ধ করা, নারী নীতি ও শিক্ষা নীতির কথিত ইসলাম বিরোধী ধারাগুলো বাদ দেয়া, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ভাস্কর্য বা মঙ্গল প্রদীপের মতো বিষয়গুলোর বিরোধিতা, নাটক সিনেমায় ধর্মীয় লেবাসের লোকজনের নেতিবাচক চরিত্র বন্ধ কিংবা কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবির মতো বিষয়গুলো।
তাদের তের দফার একটিতে বলা হয়েছে তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্লগার, নাস্তিক-মুরতাদ ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপতৎপরতা ও প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। আর এটি এমন সময় করা হয়েছিল যখন শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি চলছিল।
২০১০ সালে বর্তমান হেফাজত যাত্রা শুরু করলেও ভিন্ন ভিন্ন নামে এই ধারার সূচনা হয়েছে আরও অনেক আগেই। কওমি মাদ্রাসার আলেমদের প্রধান স্রোত-বিভিন্ন ইস্যুতে তারা নানা প্লাটফর্ম করেছে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ছিল। তাসলিমা নাসরিন ইস্যুতে হয়েছে। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পরেও হয়েছে।
একইভাবে ২০০১ সালে ফতোয়া-বিরোধী রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য ইসলামি আইন বাস্তবায়ন কমিটি হয়েছিল। ২০১১ সালে নারী নীতি প্রণয়নের বিরুদ্ধে হরতাল আন্দোলন ছিল। ওই সময় হেফাজতের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও তারা জাতীয়ভাবে ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে ২০১৩ সালে।
নারী বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু কিংবা ধর্ম অবমাননার ইস্যুতে নানা নামে কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এ ধারাটি অনেক কাল ধরেই সামনে এসেছে বিভিন্ন ভাবে। ১৯৯৪ সালে তাসলিমা নাসরিন ইস্যুতে বড় ভাবে সংগঠিত হয়ে ব্যাপক শক্তি প্রদর্শন করলেও তা পরে বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি তারা।
যদিও মূলত এ ঘটনার জের ধরেই তাসলিমা নাসরিনকে দেশ ছাড়তে হয়। এছাড়া লেখক সালমান রুশদীর লেখায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এবং পরে ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ জুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনগুলো।
পরবর্তীতে ফতোয়ার মাধ্যমে নারী নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে নারী সংগঠনগুলোর সোচ্চার হওয়ার বিপরীতে সারাদেশে নতুন করে সংগঠিত হয়েছিলো কওমি ধারার সংগঠনগুলো।
বিশেষ করে ফতোয়া নিয়ে আদালতের রায় নিয়ে বেশ সোচ্চার হয়েছিল খতমে নবুয়ত আন্দোলনের মতো সংগঠনগুলো। ধর্ম অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে তারা মাদ্রাসাগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছিল নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে গত দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।
তবে ইসলামপন্থী এ ধারাটির এমন সক্রিয় কর্মকাণ্ডের ইতিহাস আরও অনেক প্রাচীন। বিভিন্ন সময়ে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার এ ধারা সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে যার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ খেলাফত আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন কিংবা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকেই ধর্ম অবমাননা বিরোধী আন্দোলন।
অরাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য নিয়েই এ ধারাটি বারবারই নানা ইস্যুতে বা ঘটনায় সোচ্চার হয়েছে যার ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়েছে আজকের হেফাজতে ইসলাম। তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই কিন্তু কবি দাউদ হায়দার ধর্ম অবমাননার দায়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। এই আলোচনাগুলো বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল ১৯৭৪ সালে, যখন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ছিল। তখন অন্য জায়গাগুলো থেকেও তারা সমর্থন পেয়েছে। এখন আজকের দিনে যেসব দাবি ইসলাম বা ধর্ম বিরোধী লেখকদের ফাঁসি দিতে হবে; এগুলোর সাথেই কিন্তু তখনকার দাবির মিল আছে।
হেফাজতের রাজনৈতিক অবস্থান
নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন দাবি করলেও হেফাজতে ইসলাম যাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে তাদের অনেকেই নানা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। কাদিয়ানীদের অমুসলিমদের ঘোষণার মতো দাবিগুলোর প্রশ্নে তারা রাজনীতিতে জড়িত ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর সমর্থনও পেয়েছে। তাদের কমিটিতেও জায়গা পেয়েছিলেন বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা।
বরাবরই ধর্ম কেন্দ্রিক ইস্যুগুলোতে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে সক্রিয় থাকা মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠনগুলো কখনো কখনো ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনে সোচ্চার হলেও বরাবরই সরকারের সঙ্গেও সু সম্পর্ক বজায় রেখে আসছিল।
কিন্তু হেফাজত রাজনীতি করেনি বা রাজনৈতিক সংগঠন নয় এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিনাত হুদা। তিনি বলছেন হেফাজতের রাজনৈতিক লক্ষ্য ও বৈশিষ্ট্য তাদের কার্যকলাপেই পরিষ্কার হয়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে তছনছ করবেন এবং নাশকতায় জড়িত হবেন আর বলবেন যে সেটা রাজনৈতিক নয় সেটি তো হতে পারে না। পহেলা বৈশাখ নিয়েও তো তাদের বক্তব্য কম দেখিনি। বাঙালির শাশ্বত সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও এরা ফতোয়া দিয়েছে। ফতোয়া দেয় তারাই যারা ধর্মকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করে।
তার দাবি হেফাজতের দাবি দাওয়া এবং কর্মসূচির মধ্যে স্পষ্ট ছিলো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা। তারা সরকারকে বিপদে ফেলতে চেয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময়ে সহিংসতার মাধ্যমেও।
তিনি বলেন তের দফা দাবি আর ক্রমাগত সহিংসতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করে বাংলাদেশকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের চরিত্র দিতে চেয়েছিলো হেফাজত।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে এবং ঢাকায় সম্প্রতি যে নাশকতা এবং সংঘাত হয়েছিল, তা হেফাজতের রাজনৈতিক উত্থানের দিকেই ইঙ্গিত দেয়। সম্প্রতি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জায়গায় হেফাজতের কর্মসূচি সহিংস রুপ নিয়েছিল।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আলোচনায় এসেছেন বিভিন্ন সময়। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে তার বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় গত বছর ২৬শে মার্চ থেকে তিন দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এবং ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে।
এসব ঘটনায় ২৫টির বেশি মামলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনার জন্য হেফাজতকে দায়ী করা হলেও মামলাগুলোতে সংগঠনটির নেতাদের নাম দেয়া হয়নি। সরকার সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠনই এমন অভিযোগ তোলে। মূলত এই ঘটনার মধ্য দিয়েই হেফাজতে ইসলামের পতন ঘটে।
এসডব্লিউ/এসএস/২১০০
আপনার মতামত জানানঃ