ইরাকে মাটির তৈরি বহু পুরনো একটি মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ডাই কার অঞ্চলে সন্ধান পাওয়া মসজিদটি ৬০ হিজরি অর্থাৎ ৬৭৯ খ্রিস্টাব্দের দিকে উমাইয়া যুগে তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে।
যেহেতু ইসলামের প্রাথমিক যুগের সুনির্দিষ্ট ইতিহাস আমাদের অনেকটাই অজানা, এ কারণে ওই সময়ের একটি মসজিদের সন্ধান পাওয়ার ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকের দক্ষিণে অবস্থিত জি কার প্রদেশের আল-রাফায়ি শহরে মাটি খুঁড়ে উমাইয়া শাসনামলের এই মসজিদ আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। যুক্তরাজ্য ও ইরাকের একদল প্রত্নতত্ত্ববিদের যৌথ অনুসন্ধানে মসজিদটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একদল প্রত্নতাত্ত্বিকের সঙ্গে স্থানীয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের সহায়তা আবিষ্কৃত হয়েছে ১,৩০০ বছর পুরনো মাটির তৈরি ওই মসজিদ। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, এটি ৬০ হিজরী তথা ৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়েছিলো।
মসজিদটির প্রস্থ আট মিটার বা ২৬ ফুট ও দৈর্ঘ্য পাঁচ মিটার বা ১৬ ফুট। মাঝখানে ইমামের দাঁড়ানোর জায়গাসহ মোট ২৫ জন মুসল্লি একসঙ্গে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানায় খননকাজে জড়িত প্রত্নতাত্ত্বিক দল।
তবে, মাটির তৈরি এই মসজিদটি কালের প্রবাহে পানি ও বাতাসের সংস্পর্শে ক্ষয়ে গেছে। যুক্তরাজ্য ও ইরাকের একদল প্রত্নতত্ত্ববিদের যৌথ অনুসন্ধানে মসজিদটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন বিভাগের প্রধান আলী শালঘাম মসজিদটির আবিষ্কারকে “গুরুত্বপূর্ণ ও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা” বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি জানান, ইসলামের প্রাথমিক যুগে নির্মিত এই মসজিদটি প্রাকৃতিক কারণে ক্ষয়ে যাওয়ায় এর থেকে বেশি কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরাকি নিউজ এজেন্সিকে শালঘাম বলেন, “আমরা মসজিদটি সম্পর্কে খুব কম তথ্য প্রকাশ করতে পেরেছি। কারণ পানি, বাতাস ও বৃষ্টিতে ক্ষয়ের কারণে ইসলামের সূচনালগ্নের এই স্থাপনাটির সামান্য কিছু ধ্বংসাবশেষ বাকি রয়েছে।”
তবে তিনি জানান, এই নিদর্শন আমাদের ইসলামের প্রাথমিক যুগের ইতিহাসে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ওই সময়ের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি।
এসডব্লিউ/এসএস/১১২৫
আপনার মতামত জানানঃ