মহামারি সংক্রমণের দেড় বছর পার হয়েছে। ঋণের জালে জড়িয়ে এবং সঞ্চয় হারিয়ে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী দৈনন্দিন জীবন চালাতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। করোনাকালে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে আড়াই কোটি মানুষ। চলমান করোনা মহামারিতে দেশে মোট শ্রমশক্তির অনেক লোক কর্ম হারিয়েছেন। চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন অনেকে। অনেক প্রতিষ্ঠান করোনার ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা মহামারিকালে যেখানে সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে, সেখানে দেশে নতুন করে কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে গেছে। দেশে এখন কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) সংখ্যা প্রায় ১ লাখ। যা ছয় মাস আগেও ছিল প্রায় ৯৪ হাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২১ সালের জুন ভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৯১৮টি। দেশে মহামারি শুরুর আগে গত বছরের মার্চে কোটি টাকার আমানতের হিসাব ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি। অর্থাৎ মহামারিতে ১৭ হাজার ২৯৩টি কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। শুরু হয় লকডাউন-বিধিনিষেধ। বন্ধ হয়ে যায় বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। মহামারির কারণে গোটা বিশ্বের মতো দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অনেকে কাজ হারিয়েছেন আবার অনেকে কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেও আমানতকারীর সঙ্গে কোটি টাকা জমার হিসাবের সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট ১২ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৬টি হিসাব খোলা হয়। যেখানে জমা ছিল ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
মোট হিসাবের শূন্য দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ কোটিপতিদের। চলতি বছরের জুন শেষে কোটি টাকার হিসাব দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৯১৮টিতে। এসব হিসাবে জমা ছিল মোট ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ৪৪ শতাংশই কোটিপতি হিসাবধারীদের।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনা মহামারির মধ্যেও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে দেশের ব্যাংক খাতে ১০ হাজার ৫১ জন নতুন কোটিপতি ব্যাংক হিসাবে যুক্ত হয়েছে। এসময় কোটিপতি হিসাবগুলোতে আমানত বেড়েছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। এদিকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ২৮টি এবং আমানত বেড়েছে ৩৯ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকে কোটিপতি হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। এসব হিসাবে আমানত ছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।
তবে কোটি টাকার হিসাব মানেই সব ব্যক্তি হিসাব নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তারও কোনো সীমা নির্দিষ্ট নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাবও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের জুন মাস শেষে এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ হাজার ৬৯৪টি। তিন মাস আগেও ছিল ৭৪ হাজার ২২৯টি। পাঁচ কোটি এক টাকা থেকে ১০ কোটি পর্যন্ত জমা হিসাবের সংখ্যা ১১ হাজার ১৩টি, মার্চে ছিল ১০ হাজার ৪৯৯টি। ১০ কোটি এক টাকা থেকে ১৫ কোটির টাকার হিসাব রয়েছে তিন হাজার ৫৯৯টি, ১৫ কোটি এক টাকা থেকে ২০ কোটির মধ্যে এক হাজার ৭৩২টি, ২০ কোটি এক টাকা থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ১৮৫টি, ২৫ কোটি এক টাকা থেকে ৩০ কোটির মধ্যে হিসাব রয়েছে ৮৩৯টি, ৩০ কোটি এক টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৪২৫টি এবং ৩৫ কোটি এক টাকা থেকে ৪০ কোটির মধ্যে ৩১৪টি হিসাব রয়েছে। ৪০ কোটি এক টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব দাঁড়িয় ৫৯০টি। আলোচিত সময়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২৭টিতে। যা চলতি বছরের মার্চে ছিল এক হাজার ৩৭০টি।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল পাঁচ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এর পর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪ জন, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০২০ সালে ডিসেম্বর শেষে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে।
১২ বছরে দেশে কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারীর সংখ্যা তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে।
দেশে কোটিপতির প্রকৃত হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করে না। ফলে কত মানুষের কোটি টাকা রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায় না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, করোনার কারণে কিছু মানুষ যেমন গরিব হয়েছে, তেমনি ধনীরা আরও বেশি ধনী হয়েছেন।
কোভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। জরিপে যারা সাধারণত দারিদ্র্যসীমার উপরে বসবাস করেন কিন্তু যে কোনো অভিঘাতে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারেন, তাদের নতুন দরিদ্র হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
বাড়ছে নতুন গরিবের সংখ্যাও
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে তা রোধে সরকার ওই মাসের ২৬ তারিখ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এতে দেশ লকডাউনের মতো অবস্থায় চলে আসে। কৃষি খাতে শস্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও বিপণন কার্যক্রম সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চালু থাকলেও অন্য প্রায় সব খাতের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এতে চাকরিচ্যুতি, বেতন/মজুরি হ্রাস, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে অনেকের, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের আয় কমে যাওয়ায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এবং দারিদ্র্যহার বেড়ে যায়।
১১ জুন ২০২০ জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের আগে একাধিক বেসরকারি গবেষণা সংস্থার গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে দেশে দারিদ্র্যহারে উল্লম্ফন ঘটেছে।
ওই বছর ১০ মে এক ভার্চুয়ালি সেমিনারে উপস্থাপিত বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণার ফলাফলে জানা যায়, করোনার কারণে দেশে নতুন করে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ গরিব হয়েছে। এতে নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। গরিব মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ কোটির বেশি।
এর প্রায় এক মাস পর অর্থাৎ ৭ জুন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ভার্চুয়ালি মিডিয়া ব্রিফিং উপলক্ষ্যে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দেশে দারিদ্র্যহার ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৭ লাখের উপরে।
আর ৮ জুন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটিতে ৫ কোটি ১০ লাখ নিম্নমধ্যবিত্তের মধ্যে ১ কোটি ১৯ লাখ দরিদ্র হয়েছে। গত বছর আগস্টে প্রকাশিত আইসিডিডিআর’বি এবং অস্ট্রেলিয়া ওয়াল্টার এলিজা হল ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণায় বলা হয়, করোনা মহামারি ঠেকাতে সরকার ঘোষিত দুমাসের সাধারণ ছুটিতে ৯৬ শতাংশ পরিবারের গড় মাসিক উপার্জন হ্রাস পায়; ৯১ শতাংশ নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল মনে করে এবং ৪৭ শতাংশ পরিবারের আয় দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়।
গত ২৩ জানুয়ারি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) আয়োজিত ‘দারিদ্র্য ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে দেশজুড়ে থানা পর্যায়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, করোনা মহামারির প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের ২০ এপ্রিল পিপিআরসি ও বিআইজিডির এক জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে এ নতুন দরিদ্র শ্রেণির সংখ্যা জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে, ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত যা ছিল ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জরিপে যারা সাধারণত দারিদ্র্যসীমার উপরে বসবাস করেন কিন্তু যে কোনো অভিঘাতে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারেন, তাদের নতুন দরিদ্র হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
জরিপে আরও বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যেখানে শহরাঞ্চলে নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৯ শতাংশ, সেখানে গ্রামাঞ্চলে তা ছিল ৪৪ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে অনেকে লাভবান হয়েছেন, যা ব্যাংকে রাখছেন। আবার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় নেয়া ঋণের একটা অংশও ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখা হতে পারে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যে টাকা খাটাচ্ছে না। এই টাকাগুলোই ব্যাংকে আসছে আমানত হিসেবে।
তারা বলেন, মহামারির মধ্যেও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক। একই সঙ্গে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের আয়বৈষম্য ব্যাপক হারে বেড়েছে। যখন আয় বাড়ে সঙ্গে সঙ্গে আয়বৈষম্য বাড়ে, তখন উচ্চআয়ের মানুষের অর্থের যোগান বেড়ে যায়
এখন বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে না। এক সময় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ২১ থেকে ২২ শতাংশ উঠেছিল। গত অর্থবছরে এটা ৮/৯ শতাংশে নেমে এসেছে। যখন বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হয়, তখন উদ্বৃত্ত অর্থ থেকে যায়। ওই অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকে কিন্তু সবাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয়, কারণ এখানে ঝুঁকি থাকে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রের বিভিন্ন শর্তের কারণে সবাই যেতে চায় না। তাই সহজে ব্যাংকে আমানত হিসাবে জমিয়ে থাকে। এসব কারণেই বড় আমানতকারীর সংখ্যা বাড়ছে বলে তারা জানান।
আরও বলেন, ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি মানে টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে না, কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। এর ফলে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে।
দেশে আশঙ্কাজনকভাবে গরিবের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে তারা বলেন, কোভিডকালে সামাজিক সুরক্ষা নামমাত্র ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এটিকে এখন অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। শহরের দরিদ্র শ্রেণি এবং নতুন দরিদ্রদের জন্য বর্তমানে থাকা সুরক্ষা কর্মসূচির পাশাপাশি কার্যকর ও প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ আরো কর্মসূচি হাতে নেওয়া উচিত।
আরও বলেন, আমাদের পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের কর্মহীনতার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এমনিতেই দেশের শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ কম। আর কোভিড-সৃষ্ট এই অবস্থা নারীদের শ্রমবাজার থেকে আরো ছিটকে ফেলছে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৭৫২
আপনার মতামত জানানঃ