১৪ বছর আগে ইসরায়েল-বিরোধী এক পোস্ট শেয়ার করে বরখাস্ত হয়েছেন গুগলের বৈচিত্র্য বিভাগের প্রধান কামাউ বব।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
কামাউ বব নামের ব্যক্তির ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ইহুদিদের ‘যুদ্ধ এবং হত্যার’ ক্ষুদা রয়েছে। ২০০৭ সালে ব্লগে শেয়ার করা এই মন্তব্যটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতাকে কেন্দ্র করে বিগত সপ্তাহে আবারও সামনে এসেছে। যা ইতিমধ্যে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
বব লিখেছিলেন, ‘আমি যদি ইহুদি হতাম তবে নিজের প্রতিরক্ষায় যুদ্ধ এবং হত্যার জন্য আমার অতৃপ্ত ক্ষুধা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতাম। আত্মরক্ষা নিঃসন্দেহে একটি প্রবৃত্তি, তবে অন্যের কষ্টের প্রতি আমার ক্রমবর্ধমান সংবেদনশীলতা দেখে আমি ভীত হই। ‘
তিনি ১৯৩৮ সালে ইহুদিদের বিরুদ্ধে নাৎসি পোগ্রোম ক্রিস্টালনাচট এবং হলোকাস্টের শিকার অ্যানা ফ্র্যাঙ্কের স্মৃতি জাগিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, গাজা, লেবানন এবং পশ্চিম তীরে মুসলমানদের প্রতি কেন ইসরায়েলের সমবেদনা নেই?
বৃহস্পতিবার গুগলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে কামাউ বব আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের সঙ্গে আর থাকছেন না।
‘আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের এক সদস্যের লেখা এমন পোস্টের তীব্র নিন্দা জানাই। যা ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষদের মনে ব্যাথার সৃষ্টি করেছে’, যোগ করেন তিনি।
গুগলের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, লেখাটি সন্দেহাতীতভাবে বেদনাদায়ক। ইতিমধ্যে নিজ অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন লেখক। সে আমাদের বৈচিত্র্য বিভাগের সঙ্গে আর থাকছেন না।
সমাজে ইহুদি বিরোধীদের কোনো জায়গা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি এমন সময়ে এলো যখন চারদিকে ইহুদি বিরোধী হামলা ক্রমশ বাড়ছে। আমরা ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছি এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
বব প্রায় তিন বছর ধরে বৈচিত্র্যের প্রধান ভূমিকায় ছিলেন। বব গুগলের ‘বৈশ্বিক নেতৃত্বের বৈচিত্র্য কৌশল এবং গবেষণা এবং জর্জিয়া টেকের কম্পিউটারে ইক্যুইটির জন্য নক্ষত্র কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র পরিচালক। এর আগে তিনি ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনে মার্কিন সরকারের হয়ে কাজ করেছিলেন।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২১৪৫
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ