ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক নেতার টুইট বার্তাকে ত্রুটিপূর্ণ ও বিকৃত হিসেবে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ হিসেবে ট্যাগ করায় ভারতে টুইটার অফিস পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ মে) টুইটারের এই পদক্ষেপের জেরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবশালী এই প্ল্যাটফর্মের নয়াদিল্লির অফিসে যায় পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা টুইটার কর্তৃপক্ষের হাতে নোটিশ তুলে দিতে চেয়েছিলেন। সেজন্যই টুইটারের অফিসে গিয়েছিলেন। করোনার জন্য লকডাউন চলছে বলে টুইটার অফিস বন্ধ ছিল। কর্মীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। ফলে পুলিশ সেখানে টুইটার কর্তৃপক্ষকে পায়নি। এক পুলিশ অফিসার সেখানে ম্যানেজারদের নাম জানতে চান।
কংগ্রেস টুলকিট বিতর্ক
সম্প্রতি কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, তারা করোনা আক্রান্তদের সাহায্য করবে। টুলকিট দেবে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারপর গত সপ্তাহে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র একটা টুইট করেন। তাতে কংগ্রেসের লেটারহেডে কিছু নির্দেশ ছিল। তার মধ্যে লেখা ছিল, কংগ্রেসের প্রতি সহানুভূতিশীল সাংবাদিকদের সাহায্য করতে হবে। কংগ্রেস যে কাজ করছে, তা প্রচার করার জন্য বলতে হবে ইত্যাদি। এরপর সম্বিত পাত্রের মন্তব্য, কংগ্রেস টুলকিট আসলে একটা পিআর কর্মসূচি। সেখানে বন্ধু সাংবাদিকদের সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে।
কংগ্রেসের দাবি, এই লেটারহেড জাল। তারা পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে। টুইটার কর্তৃপক্ষকেও তারা এই কথা জানিয়েছিল। তারপর টুইটার কর্তৃপক্ষ সম্বিত পাত্রের টুইটের নীচে লিখে দেয়, ‘ম্যানিপুলেটিভ মিডিয়া’। তারপরই টুইটারের কাছে সরকারি নোটিশ যায়।
সরকারের দাবি
মোদী সরকারের দাবি, টুইটারকে এই নিয়ে তিনটি নোটিশ দেয়া হলো। এর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। হইচই করারও কোনো জায়গা নেই। পুলিশি তদন্ত শেষ হয়নি। তার আগেই টুইটার সম্বিত পাত্রের টুইটকে ‘ম্যানিপুলেটিভ মিডিয়া’ আখ্যা দিয়ে দিয়েছে। তার মানে তাদের কাছে অতিরিক্ত তথ্য আছে। যার ভিত্তিতে তারা এই কাজ করেছে। সেটা কী জানতে চাওয়া হয়েছে।
কংগ্রেসের বক্তব্য
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সূরযেওয়ালা বলেছেন, বিজেপি নেতা জাল লেটারহেড দিয়ে ওই টুইট করেছেন। অন্তত ৬জন মন্ত্রী সেটা রিটুইট করেছেন। ছত্তিশগড় পুলিশ ইতিমধ্যে এ নিয়ে মামলা রুজু করেছে। অলট নিউজ দেখিয়ে দিয়েছে, এটা জাল লেটচারহেড। তারপর টুইটার কর্তৃপক্ষ যখন ওই টুইটকে ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া বলে দিয়েছে, তখন সরকার নড়ে গেছে। এতদিন ভারতে যা হয়নি, এবার তাই হলো। টুইটার সহ সামাজিক মাধ্যমকে ভয় দেখানোর জন্য পুলিশ পাঠানো হলো।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৯০৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ