অন্য অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও ইসরায়েল ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরেই কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা নেই। বরং ফিলিস্তিনিদের পাল্টা জবাব নিয়ে চিন্তায় ভাঁজ পড়েছে তার কপালে। এর সমালোচনা ক’রে তিনি প্রত্যক্ষ সমর্থন জানালেন ইসরায়েলকে। যার ফলে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আগ্রাসন আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র মতে, গত কয়েকদিনে ইসরায়েলের হামলায় ১৪ শিশুসহ অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০০ জনেরও বেশি। বিপরীতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাল্টা রকেট হামলায় মারা গেছেন সাতজন, আহত ১০০ জনের কাছাকাছি।
অথচ ফিলিস্তিনের অর্ধশতাধিক নিরীহ মানুষের বদলে ইসরায়েলের সাতজনের মৃত্যুতেই বেশি চিন্তিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ট্রাম্পের সুরে কথা বললেন বাইডেন
ট্রাম্পের মতো বাইডেনও মনে করছেন, ইসরায়েল কেবল আত্মরক্ষার খাতিরেই ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে, মাত্র একদিন আগেই বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার কারণেই আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল হামলার শিকার হচ্ছে।
ট্রাম্প জানান, তার শাসনামলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বজায় ছিল, কারণ তখন ইসরায়েলের শত্রুরা জানত, যুক্তরাষ্ট্র শক্তভাবে ইসরায়েলিদের পাশে রয়েছে আর তারা হামলার শিকার হলে মোক্ষম জবাব দেয়া হবে। কিন্তু বাইডেনের আমলে বিশ্ব ক্রমেই সহিংস এবং অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এর কারণ বাইডেনের দুর্বলতা এবং ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের অভাব, যা আমাদের মিত্রদের নতুন হামলার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তার সঙ্গে সুর মেলান জো বাইডেন। উপরন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে সরাসরি ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরায়েলের দিকে হাজার হাজার রকেট ছোড়া হলে তা থেকে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।
নেতানিয়াহুর সাথে ফোনালাপ
বুধবার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত এক বিবৃবিতে জানানো হযেছে, নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে জো বাইডেন ‘স্থায়ী শান্তি পুনরুদ্ধারে’ উৎসাহ দিয়েছেন। পাশাপাশি, ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং তার জনগণকে রক্ষার ‘বৈধ অধিকারের’ প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অটল সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেরুজালেম এবং তেল আবিবের বিরুদ্ধে হামাস ও অন্য ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ রকেট হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জো বাইডেন। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জেরুজালেমের মতো শহর অবশ্যই শান্তিপূর্ণ থাকতে হবে, এমন বিশ্বাসের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
মূলত ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান লড়াইয়ে বাইডেন যে সরাসরি ইসরায়েলিদের পক্ষ নিয়েছেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৮১৬
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ