যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ভারতফেরত সাতজনসহ ১০ করোনা রোগীকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে তাদের আটক করে পুলিশ। তাদেরকে যশোরে নিয়ে আসা হয়েছে।
গত শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরের মধ্যে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তারা। এরপর অভিযোগ উঠে, হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দাবি ছিল, মাত্র দু’জন রোগী পালিয়েছিলেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্রাদার তারক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গত শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে ভারত ফেরত কিছু রোগী ভর্তি করা হয়। এরপর রোববারও রোগী আসেন। সব মিলিয়ে দু’দিনে দশজন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের সবাইকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্টার মতে, ভর্তি রোগীরা হলেন যশোর শহরের বিমান অফিস মোড়ের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭), খালধার রোডের বিশ্বনাথের স্ত্রী মালা দত্ত (৫০), সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (১৯), একই গ্রামের একরামের স্ত্রী রোমা (৩০), প্রতাপকাঠি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মমিন, রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৫০), বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫), ঝিনাইদাহ জেলার কালীগঞ্জের মনোতষের স্ত্রী শেফালি রানী, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহম্মদের সানার ছেলে আমিরুল সানা ও একই জেলার রূপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল (১৭)।
তাদের পালিয়ে যাওয়ার পর দেশজুড়ে ভারতের নতুন ধরন নিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি কোনো পরিবারে থাকে, তার মাধ্যমে প্রথমে তার পরিবার এবং আশপাশের লোকজনও আক্রান্ত হতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছিলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ১০ রোগী ছাড়পত্র না নিয়ে চলে গেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন ভারতফেরত করোনা রোগী রয়েছে। ওই পাঁচজনের মধ্যে খুলনার দুজন, যশোর, সাতক্ষীরা ও রাজবাড়ী জেলার একজন করে রোগী রয়েছেন। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই ১০ জনের নাম-ঠিকানা ছিল। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ভবিষতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৯৫৫
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ