গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকালের সংবাদদাতা এম.এম তারিক হাসান লিটু দুই শিক্ষক ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ এনে সদর থানায় একটি জিডি করেছেন।
লিটু বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্য প্রফেসর শাহজাহান, প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসএম গোলাম হায়দারের বিরুদ্ধে এ জিডি করেছেন।
সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শাজাহান ফয়সাল জামানের বিষয়ে বলেন, দাদার মৃত্যুর খবর বলার পর আমরা তাকে ছেড়ে দিই। এজন্য তাকে এক দিন সময় দেওয়া হয়।
লিটুর বিষয়ে সাবেক ওই ভিসি বলেন, সে আমাদের শিক্ষার্থী। তাকে কেন আমরা হুমকি দেব।
প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, যেহেতু তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন, সেহেতু পুলিশ তদন্তে এলে পুলিশকে তথ্য দেওয়া হবে। তবে তারা বিগত দিনে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে সংবাদ পরিবেশন করেছে, তাতে তথ্যের অমিল রয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাকে হলুদ সাংবাদিক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়নি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস.এম গোলাম হায়দার হুমকির বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি তদন্ত কমিটির সদস্য। তদন্ত বোর্ডে আমি সব সময় ছিলাম না। তবে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করার সময় খুলনা-৬ আসনের এমপির স্ত্রী তার অধীনে চাকরি করতেন বলে স্বীকার করেন।
ভিসি ড.এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, সাংবাদিকের জিডির বিষয়টি তার জানা নেই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই সঠিক তথ্য জানার জন্য দুই সাংবাদিককে তদন্ত কমিটিতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে কী ঘটেছিল, তা তিনি জানেন না।
আপনার মতামত জানানঃ