Author: ডেস্ক রিপোর্ট

সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছর ১ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে রেলওয়ে। গত পাঁচ বছরে লোকসানের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। ধারাবাহিক এ লোকসানের জন্য রেলের অনিয়ম-দুর্নীতিকে দায়ী করেছে খোদ রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন ৩৯৪টি ট্রেন পরিচালনা করে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি অর্থ ট্রেনগুলো পরিচালনায় ব্যয় হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির। রেলের দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করা না হলে, রেলের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবং যাত্রীসেবার মান না বাড়ানো হলে লোকসান কমানো কষ্টকর হবে। সম্প্রতি রেল পরিষেবার মানোন্নয়ন ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি সম্পর্কিত এক আলোচনা সভায় এ…

Read More

বাংলাদেশ সব সময় বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকা দেশ। তবে সম্প্রতি বিদেশের সঙ্গে লেনদেনে বাংলাদেশের চাপ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি ব্যয়ের পার্থক্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক বড় অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। রেমিট্যান্স আয়ের মাধ্যমে এই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থাকে। পরিমিত বাণিজ্য ঘাটতি আর বাড়তি রেমিট্যান্স আয়ের কারণে অনেক সময় চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকে। কিন্তু এ বছর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয়ও কমেছে। ফলে চলতি হিসাবের ঘাটতি পৌঁছেছে রেকর্ড পর্যায়ে। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ের লেনদেনের ভারসাম্য (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কী উল্লেখ আছে প্রতিবেদনে? প্রতিবেদনে দেখা গেছে,…

Read More

রাজশাহীতে জ্বালানি তেল নিয়ে চরম অরাজকতা শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটির পর হঠাৎ পেট্রোল-অকটেন হাওয়া হয়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় তেল সরবরাহ কম হওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন পাম্প মালিকরা। এজন্য মাত্র ২ লিটার করে প্রতিজনের কাছে বিক্রি করছে অনেক পাম্প। ফলে জ্বালানি তেল কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকারও হচ্ছেন অনেকেই। তবে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বলছে, তেলের কোনো সংকট নেই। পাম্পগুলো কেন তেল পায়নি সেটি তাদের কাছে প্রশ্ন করেন। রাজশাহী জেলা পেট্রোল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, জেলায় ৪৮টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। পাম্পগুলোতে পর্যাপ্ত তেল আসছে না গত তিন মাস থেকেই। ঈদের ছুটির কারণে এই সংকট আরও বড় আকার ধারণ…

Read More

১৯৬৮ সালের এই ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বইয়ের রাস্তা। প্রায় ২৩ জন ফুটপাথবাসীকে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছিল অভিযুক্ত রমন রাঘব বা ‘সাইকো’ রাঘব। তদন্তে জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে এই হত্যালীলা চালিয়েছিল রাঘব। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর রাঘবকে যাবজ্জীবন কারদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। ১৯৯৫ সালে কিডনির রোগে ভুগে জেলেই মৃত্যু হয় রমন রাঘবের। তার জীবনী নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়েছে বলিউডে। এর পর আসে স্টোনম্যান কিলারের কথা। ভারতের অপরাধমূলক ঘটনার মধ্যে অন্যতম এটি। ১৯৮৫ সালের মুম্বই এবং ১৯৮৯ সালের কলকাতা (পড়ুন ক্যালকাটা)। মুম্বইয়ে প্রায় ১২ জন এবং কলকাতায় ২৩ জন ফুটপাথবাসী এবং কাগজকুড়ানির মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। দু’টি ঘটনার…

Read More

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান, করোনায় বাংলাদেশে মারা গেছেন সরকারি হিসাবের ৫ গুণ বেশি মানুষ। প্রসঙ্গত, সারাবিশ্বে করোনা মহামারিতে আনুষ্ঠানিক মৃত্যুর সংখ্যার পাশাপাশি প্রকৃত প্রাণহানির আনুমানিক সংখ্যা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সরকারি হিসাবে করোনাভাইরাস মহামারিতে গত দুই বছরে বাংলাদেশে যত মানুষ মারা গেছেন, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা তার চেয়ে আনুমানিক প্রায় পাঁচ গুণ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২০ ও ২০২১ সালে এক লাখ ৪১ হাজার মানুষ মারা গেছেন, যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া মৃত্যু সংখ্যার প্রায় পাঁচগুণ। অধিদপ্তরের হিসেবে, ওই সময়ে করোনাভাইরাসে মোট ২৮ হাজার ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনটি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন…

Read More

আজ ৮ মে পালিত হবে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২২। থ্যালাসেমিয়া রক্তস্বল্পতাজনিত বংশগত রোগ। বাবা-মা উভয়ে যদি ত্রুটিপূর্ণ জিন বহন করেন তাহলে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশে এই রোগের বাহকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাপক জনগোষ্ঠী এখনো এই রোগ সম্পর্কে সচেতন নয় এবং বাহক নির্ণয় হয়নি। ফলে বাহকের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে। এবারের থ্যালাসেমিয়া দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হচ্ছে—‘থ্যালাসেমিয়া: নিজে জানি, যত্নবান হই এবং অপরকে সচেতন করি’। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে। বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রতিষ্ঠিত কোনো ডাটা নেই। তবে আমাদের পর্যবেক্ষণ, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ থেকে ১২ শতাংশ মানুষ…

Read More

করোনার প্রভাব কাটিয়ে দুই বছর পর মাঠে ফিরেছে রাজনীতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সরকারবিরোধী প্রধান দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা এবার নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করেছেন। আগামী ডিসেম্বরের সম্মেলন ঘিরে দলে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। আর ঝিমিয়ে পড়া কর্মীদের চাঙা করতে এবারের ঈদে এলাকায় ছুটে গেছেন বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে কাজ শুরু করেছে শাসক দল আওয়ামী লীগ৷ আর বিএনপি কাজ করছে বৃহত্তর ঐক্য গঠন নিয়ে৷ এদিকে জাতীয় পার্টিও পিছিয়ে নেই৷ আপাতত কোনো জেটে যেতে চায় না দলটি বরং আগামী নির্বাচনে নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি…

Read More

ঈদের আগে হঠাৎ করেই বাজারে তেলের সংকট দেখা দেয়। ক্রেতারা দোকান ঘুরেও পাচ্ছিলেন না সয়াবিন তেল। ঈদের পর গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিলমালিকদের বৈঠকের পর সয়াবিন ও পাম অয়েলের নতুন দাম নির্ধারণ করে সরকার। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ ও খোলা সয়াবিনের প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। এর আগে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিনের দর ছিল ১৬০ টাকা। খোলা তেল ছিল ১৩৬ টাকা লিটার। অর্থাৎ আগের চেয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলে লিটারপ্রতি ৩৮ টাকা ও খোলা তেলে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বেড়েছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকা। আগে পাঁচ…

Read More

বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকের পর সব ধরনের তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা বিক্রি হলেও এখন থেকে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৯৮ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বাড়নো হয়েছে খোলা তেলের দাম। আগে খোলা তেল ১৩৬ টাকায় প্রতি লিটার বিক্রি হলেও নতুন দাম অনুযায়ী ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। অর্থাৎ খোলা তেলে দাম লিটার প্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ৪২ টাকা বাড়িয়ে পাম তেলের দাম করা হয়েছে ১৭২ টাকা। যা আগে ছিল লিটার প্রতি ১৩০ টাকা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফাচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বোতলজাত সয়াবিন…

Read More

অন্ধকার গলিতে লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় তিনশ’ মানুষ। তার মধ্যে যেমন পক্ষাঘাতগ্রস্ত বয়স্করা আছেন, তেমনই আছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশুরাও। প্রত্যেককেই টেনে-হিঁচড়ে বের করে আনা হয়েছে বাড়ি থেকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গোটা অঞ্চল কেঁপে উঠল আগ্নেয়াস্ত্রের ঝলকানিতে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ল অজস্র শরীর। মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল ৩২৩টি প্রাণ। বলার প্রয়োজন পড়ে না, এই গণহত্যার প্রেক্ষাপট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তবে পোল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া কিংবা নেদারল্যান্ডস নয়; নাৎসিদের এই নৃশংসতার সাক্ষী হয়েছিল ইতালি। অবাক হচ্ছেন? সেটাই স্বাভাবিক। বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল মুসোলিনির ইতালি। লড়াই করেছিল মিত্রপক্ষের বিরুদ্ধে। তারপরও ইতালিতে নাৎসি সর্বাধিনায়কের এমন নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর কারণ কী? শুরু থেকেই বলা যাক এই…

Read More