Author: ডেস্ক রিপোর্ট

উইঘুর কৃষক রোজিকারি তোহতি একজন শান্ত মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিন সন্তান নিয়ে জীবন তার। ধর্মের প্রতি একেবারেই আগ্রহী নন। অথচ একদিন তার চাচাতো ভাই মিহরিগুল মুসা হতবাক হয়ে জানলেন যে তোহতিকে “ধর্মীয় চরমপন্থার” জন্য পাঁচ বছরের জন্য কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। “আমি কখনই ভাবিনি যে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে,” মুসা বলেছেন, যিনি এখন নরওয়েতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। “আপনি যদি তাকে দেখে থাকেন তবে আপনারও একই অনুভূতি হবে।” মুসা তালিকা থেকে জানতে পেরেছিল যে তোহতির ছোট ভাই আবিলিকিম তোহতিকেও “সামাজিক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য জনগণকে জড়ো করার” অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তোহতির প্রতিবেশী, নুরমেমেট দাউত নামে একজন কৃষককে “তর্ক…

Read More

পুরুষশাসিত সমাজে মেয়েকে বড় করার জন্য ৩৬ বছর ধরে নিজেকে একজন পুরুষের ছদ্মবেশে রেখেছিলেন ৫৭ বছর বয়সী এক নারী। এমনি এক অবিশ্বাস্য গল্প ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় স্বামীকে হারান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের বাসিন্দা এস পেচ্চিয়াম্মাল। তখন তার বয়স মাত্র ২০ বছর। তিনি যে গ্রামে থাকেন, সেই কাটুনায়াকানপট্টিতে পুরুষদের আধিপত্য বেশি। পুরুষতান্ত্রিক সেই সমাজে অল্প বয়সে বিধবা হয়ে যাওয়া এক তরুণীর ওপর কুনজর পড়তে শুরু করে। গ্রামের মানুষের কটাক্ষ, পুরুষদের লালসার চোখ যেন তাকে আরো বেশি আতঙ্কিত করে তোলে। এই কঠিন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। সেই সমাজে একজন বিধবা নারী হয়ে তার…

Read More

বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে মাদকের দিকে ঝোঁকার প্রবণতা বাড়ছে। কয়েকটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আর্থিক নিরাপত্তা ভোগ করা পেশাজীবী নারীদের অনেকেই ঝুঁকছেন মাদকের দিকে। আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে মাদকসেবী কিশোরীর সংখ্যা। গৃহবধূরাও হচ্ছেন মাদকাসক্ত। ঢাকা আহছানিয়া মিশন (নারী) মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ২০১৮ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৪০ জন নারী মাদকসেবী। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী ১২৫ জন, গৃহিণী ১৫১ জন, চিকিৎসক তিনজন, সাইকোথেরাপিস্ট একজন, বেসরকারি চাকরিজীবী ১৭ জন, শিক্ষক তিনজন, মডেল পাঁচজন, যৌনকর্মী চারজন, বেকার ১৬ জন, ব্যবসায়ী ১০ জন, ডিজে একজন এবং এয়ারহোস্টেস তিনজন। কোন পেশার নারীরা মাদকাসক্ত বেশি? নিউজবাংলার সূত্র মতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন…

Read More

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার। তবে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে অবৈধ মাদক চোরাকারবারের শীর্ষ তালিকাভুক্ত পৃষ্ঠপোষককে। জেলার মাদক চোরাকারবারিদের ১৬ জন পৃষ্ঠপোষকের তালিকায় প্রথম নামটিই আরফানুল হক রিফাতের। গত শুক্রবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৭ মে, যাচাই-বাছাই ১৯ মে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে।…

Read More

১৯৪৬ সালের ৫ জুলাই; সেদিন মনুষ্য জাতির কাছে আবির্ভূতা হলেন ‘বিকিনি’, ‘এক্সক্লুসিভলি ফর লেডিজ’। আপাতত পুরুষদের জন্য এমন কোনো বস্ত্র আবিষ্কার হয়নি, তাই কেবল নারীর ভূষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইল, স্বল্পবসনা এই আবিষ্কার, আরও ভালোভাবে বললে বলতে হয় সৃষ্টি। ফ্রান্সের এক ডিজাইনারের হাতেই সৃষ্টি হয় বিকিনি’র। লুইস রেয়ার্ড সর্বপ্রথম দেখালেন ‘টু-পিস’ পোষাকে একজন মহিলার দর্শনের নন্দনতত্ত্ব, আর তার সঙ্গে অবশ্যই জুড়তে হয় সাহসিকতার কথাটিও। সুইমিং পুলে শরীরে কেবল দুটি পিস কাপড়ে নারী শরীরের মাছ হয়ে ওঠার গল্প কথার শুরু তো সেই দিন থেকেই। এই বিকিনি শব্দটি কোথা থেকে এসেছে জানেন? মাইক্রোনেশিয়ার ছোট্ট দেশ মার্শাল আইল্যান্ড মূলত অনেকগুলো দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। সেখানে…

Read More

হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (যিনি পি.কে. হালদার নামে পরিচিত) ভারতে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা করেছিলো। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেটের কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলার কাছে এখবর নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, পি কে হালদারসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া কোলকাতা থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্রও আটকের খবর নিশ্চিত করে। ঢাকার একটি ব্যাংক ও অপর একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি…

Read More

অপরাধী যত বড় ও ঘৃণ্য অপরাধই করুক না কেন, বাংলাদেশের সংবিধান তাকে আইনের আশ্রয় কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে না। বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ ধারায় স্পষ্ট করে বলা আছে, ‘বিশেষত, আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।’ গত এপ্রিলে কুমিল্লায় র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত মোহাম্মদ রাজুর বাবা সন্তানের মৃত্যুর পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সন্তান অপরাধ করে থাকলে দেশে আইন ছিল, আদালত ছিল। সেখানে তার বিচার করতে পারত। কোনো যাচাই-বাছাই তদন্ত ছাড়া আমার ছেলেকে র‍্যাব মেরে ফেলল!’ তিনি আরও জানান, তিনি মামলা…

Read More

ইতিহাসের তথ্যপ্রমাণ বলে, রঘু ডাকাত জন্মেছিলেন অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে, অবিভক্ত বাংলার এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। জন্মসূত্রে তার নাম রঘু ঘোষ। সে প্রায় দুশো বছর আগের কথা। সুতানুটি, গোবিন্দপুর, কলিকাতায় তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবপ্রভুরা। আর বাংলার গ্রামদেশে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে নীলকর সাহেবদের দল। নীল চাষে জমির উর্বরতা নষ্ট হতো। অন্য ফসল ফলত না আর। কিন্তু সেসব কথা লালমুখোরা শুনবে কেন! যেসব চাষিরা নিজেদের জমিতে নীল চাষে আপত্তি জানাত, তাদের পেয়াদা দিয়ে তুলে আনত তারা। চলত মারধর, অত্যাচার। বাদ যেত না চাষিদের পরিবার পরিজনেরাও। শোনা যায়, রঘু ডাকাতের বাবাও ছিলেন এমনই একজন সাধারণ কৃষক। নীল চাষে রাজি না হওয়ায় নীলকরের…

Read More

মঙ্গল গ্রহ নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বেশ কৌতূহল দেখা যাচ্ছে মানুষের মাঝে। সম্প্রতি মঙ্গলের একটি ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে তুলকালাম। হুবহু মিশরের র‌্যামসেস পিরামিডের মতো ‘দরজা’র খোঁজ মিলেছে মঙ্গলে! সম্প্রতি নাসার কিউরিওসিটি রোভারে যে ছবি ধরা পড়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে মঙ্গলের একটি পাহাড়ের গা কেটে যেন দরজার মতো বানানো হয়েছে। এই ছবি সামনে আসার পর থেকে কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা বলছেন, এই ছবিই প্রমাণ করছে যে এক সময় লালগ্রহে ভিন্‌গ্রহীদের উন্নত সভ্যতা ছিল। ভিন্‌গ্রহী শিকারি স্কট সি ওয়ারিং-ও একই দাবি করেছেন। ইউএফও সাইটিংস ডেইলি-তে ওয়ারিং দাবি করেছেন, ‘‘মঙ্গলে যে ভিন্‌গ্রহীরা ছিল, এই স্থাপত্যই তার নিদর্শন। পাহাড়ের গায়ে দরজার মতো যে প্রবেশ পথ…

Read More

বাজারে এখন শুধু ভোজ্য তেলের দামই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই বাড়ছে৷ দামবৃদ্ধির এই চাপ টের পাচ্ছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা৷ দ্রব্যমূল্যের চাপে অনেকেই এখন ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন৷ আবার কেউ কেউ ব্যয় ঠিক রাখতে গিয়ে প্রতি মাসেই ধারদেনা করছেন৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থা চলতে থকলে অপুষ্টির শিকার হতে পারে দেশের বড় একটি অংশ৷ বাড়তে পারে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা৷ অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন৷ কেউ সঞ্চয় ভেঙে খরচ চালাচ্ছেন৷ আর দাম বাড়ায় অনেকেই পছন্দের খাবারে এনেছেন পরিবর্তন৷ যেমন গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে৷ কেউবা আগের চেয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়ে চাপ সামলাচ্ছেন৷ এমন একজন হলেন সুমাইয়া ইমলাম৷ তিনি ঢাকার একটি সরকারি…

Read More