Author: ডেস্ক রিপোর্ট

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এলিট ফোর্স র‌্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরই বাংলাদেশের নানা প্রসঙ্গে দেশটি যেভাবে মন্তব্য করেছে তাতে এই ঘটনা দিয়ে যে কেউ চাইলে মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বাগধারার অর্থ বোঝাতে পারবে। কখনও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কখনও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে, তো কখনও বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস আজ বুধবার সকালে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রায় ৪৫ বছর আগের গুমের ঘটনা ও সামরিক শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তার কাছে স্মারকলিপি দেয় ‘মায়ের কান্না’ নামের একটি সংগঠন। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর…

Read More

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ডলার সংকটের ক্ষত এখন বেশ জোরেশোরেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সামনের দিনগুলোয় বিষয়টি বড় ধরনের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এ নিয়ে তাদের বক্তব্য হলো একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলেও এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। আবার ডলার সংকটে এখন প্রয়োজনমাফিক জ্বালানি আমদানি করা যাচ্ছে না। বিদ্যমান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ভুগছে জ্বালানি সংকটে। প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তা বাংলাদেশের সার্বিক ঋণমানে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি এ ঋণের বোঝা একপর্যায়ে রাষ্ট্রের ওপর এসে বর্তানোরও বড় আশঙ্কা রয়েছে। জড়িয়ে যাচ্ছে ঋণের জালে বৃহৎ ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য…

Read More

মুঘল আমলে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ঠাঁই হতো রাজদরবারে। এদের কেউ ছিলেন জন্মগতই বৃহন্নলা, আবার অনেককে কৃত্রিমভাবে ‘খোজা’ করা হতো। এই লোকগুলোকে বিবেচনা করা হতো মুঘল সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বিশ্বস্ত কর্মচারী হিসেবে। তারা মূলত মুঘল বাদশাহদের হেরেমের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতেন। হেরেমে বসবাস করা রাজপরিবারের নারী সদস্য এবং অন্যান্য দাসীরা যাতে কোনোভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার না হন, সেজন্য নিয়োগ করা হতো তৃতীয় লিঙ্গের এই লোকদের। এমন প্রচলন তুরস্কের অটোমান সুলতানদের প্রাসাদেও ছিল। মুঘল আমলে হেরেমে কাজ করে তৃতীয় লিঙ্গের অনেকেই প্রভূত ক্ষমতা, সম্মান ও সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। প্রাসাদ-রাজনীতিতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। কিন্তু তাদের এই সুসময় একসময় শেষ হয়ে যায়। ব্রিটিশরা…

Read More

উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা, হামলা, মামলা, আটক, গুলি ও ভয়কে পাশ কাটিয়ে বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশটি হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। মূলত সমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে মতভেদের সূত্রপাত। সমাবেশ নয়াপল্টনে করতে চেয়েছিল বিএনপি শুরু থেকেই। নিরাপত্তার কথা বলে সরকার নয়াপল্টনে করতে দিতে রাজি হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। এ নিয়েই কথা ও মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের শুরু। বিএনপি কার্যালয়ের সমানে পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু ও কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পরও বিএনপি কর্মীরা কোনো সহিংসতার পথ না ধরে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করেছে গোলাপবাগে। সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা এবং সমাবেশস্থল নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে ব্যাপক মানুষের সমাবেশ ঘটেছে। সমাবেশের স্থান…

Read More

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীন ও বাংলাদেশ কীভাবে শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে আছে? কারণ এশিয়ার এসব দেশে শ্রম তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা। সেই বাস্তবতা বদলে দিতে পোশাক শিল্পে রোবটিক্স প্রযুক্তি যোগ করার কাজে জোট বেঁধেছে জার্মানির প্রযুক্তি কোম্পানি সিমেন্স এজি এবং মার্কিন ডেনিম কোম্পানি লেভি স্ত্রস। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পোশাক সেলাইয়ের জন্য বাংলাদেশ বা চীনের মত দেশের শ্রমিকদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বাজারে ফেরাতে চাইছে কোম্পানিগুলো। স্যান ফ্রান্সিসকোর সিমেন্স ল্যাবের প্রকল্প প্রধান ইউজেন সোলোজাওয়ে বলেন, “পোশাক হচ্ছে সেই লাখ কোটি ডলারের শিল্পখাত, যা এখনও অটোমেটেড হয়নি।” রয়টার্স লিখেছে, পোশাক উৎপাদন প্রক্রিয়ার রোবট ব্যবহারের এই প্রযুক্তি নিয়ে ২০১৮…

Read More

বিয়ে না করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে পাস হওয়া ইন্দোনেশিয়ার ফৌজদারি আইন দেশটির পর্যটকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ে না করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট একটি ফৌজদারি আইন পাস করেছে। সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে যৌন-সম্পর্কিত আইনটি পাস হয়। এ আইন শুধু ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের জন্য নয়, দেশটিতে ভ্রমণ করতে যাওয়া অবিবাহিত বিদেশি পর্যটকেরাও এর আওতায় পড়বেন বলে জানানো হয়েছিল। তবে এবার দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন আইনের আওতায় যৌন নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন না পর্যটকেরা। ইন্দোনেশিয়ার বালি…

Read More

আইনের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রচলন শুরু হওয়ার আগে ইংল্যান্ডে মধ্যযুগ ও রাণী ভিক্টোরিয়ান যুগে স্ত্রী কে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা একটি জনপ্রিয় কার্যক্রম ছিল। এই কাজগুলো বেশিরভাগই ঘটতো ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলগুলোতে। অনেকে মনে করেন এই প্রথার উৎস অ্যাংলো-স্যাক্সন সময়কাল থেকে। তবে এটি ১৭ শতক থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত প্রচুর প্রচলিত বিষয় ছিল। এমনকি বিংশ শতাব্দীতে এসেও স্ত্রী বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। যে স্বামী তার স্ত্রীকে নিলামে তুলতো তাকে প্রথমে স্ত্রীকে পণ্য হিসেবে নথিভুক্ত করতে হতো। তারপর সেই নারীকে একটি জনসভার মাঝে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হতো। নিলামগুলো সাধারণত সরাইখানা, মেলা বা বাজারের মতো সর্বজনীন স্থানে করা হতো। কিছু পুরুষ তাদের স্ত্রীদের…

Read More

ব্যাংক যে হারে সুদ দিচ্ছে, তার তুলনায় মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। এতে প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এখন ব্যাংকে অর্থ রাখা মানেই লোকসান। এমনিতেই ব্যাংকের ওপর মানুষের আস্থা কম। এ অবস্থায় আমানত রেখে ঠকলে মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা আরও কমে যাবে। বিশ্বব্যাপী একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সংকটের সময় সাধারণত মানুষ ব্যাংকে অর্থ রাখে না, বরং জমি বা বাড়ির মতো অনুৎপাদনশীল খাতে তারা ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। এতে অর্থনীতিতে সংকট আরও বাড়ে। যেভাবে সাধারণ মানুষ ঠকছে অর্থনীতির তত্ত্ব অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় সুদের হার কম হলে তখন প্রকৃত সুদের হার ঋণাত্মক হয়। এখন যেমন হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক…

Read More

আট বছর আগে শুরু হওয়া ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত ১১ হাজারেও বেশি শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। পাশাপাশি দিনের পর দিন ক্ষুধার জ্বালায় কাতরাচ্ছে ইয়েমেনের অসংখ্য নিরীহ মানুষ। এদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে দেশটির শিশুরা। বিগত আট বছরের গৃহযুদ্ধ সেখানে এমন পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, নিহত ও পঙ্গু হওয়ার সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘হাজার হাজার শিশু জীবন হারিয়েছে। এ ছাড়া কয়েক লাখ শিশু প্রতিরোধযোগ্য রোগ ও অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।’ ইউনিসেফ বলেছে, প্রায় ২২ লাখ…

Read More

সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ না নারী—কার গুরুত্ব বেশি, তা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক রয়েছে। তবে জীববিজ্ঞানের প্রেক্ষিতে, যুক্তি দিয়ে বিচার করলে এ-কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই পুরুষ বা নারী কোনো একটি লিঙ্গ পৃথিবী থেকে মুছে গেলে থমকে যাবে বংশবিস্তারের শৃঙ্খল। তবে এমনটাই হতে চলেছে আগামীতে। পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ ‘মুছে’ যেতে পারে পুরুষরা। বরং, জীবিত থাকবে কেবলমাত্র নারী। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই বংশবিস্তারে রেশ পড়ায় মানুষও একধাপ এগিয়ে যাবে অবলুপ্তির দিকে। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন গবেষকরা। কিন্তু হঠাৎ কেন পুরুষদের অস্তিত্ব মুছে যাবে বলে মনে হচ্ছে গবেষকদের? প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র বলছে, ক্রমশ কমছে পুরুষ…

Read More