Author: ডেস্ক রিপোর্ট

পৃথিবীর ইতিহাসে মহান শাসকদের অন্যতম আকবর দি গ্রেট। মুঘল সম্রাটদের সেরা সম্রাটের পুরো নাম জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর। নিজের শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে সম্রাট আকবর ইতিহাসকে যতটা প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন, ততটা খুব কম ভারতীয় শাসকই করতে পেরেছিলেন। তাকে ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে ধরা হয়। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট ছিলেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন। ইতিহাস বইতে ‘মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক’ হিসেবে তাঁর ছবিটিই উঠে এসেছে বারবার। দিল্লি, আগ্রা জুড়ে অসংখ্য কীর্তি তাঁর। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান সেসব জায়গায়। এদেরই মাঝে আগ্রার ওয়াজিরপুরের পাশে, সিভিল লাইনস কমলা নগরের ঠিকানায় দাঁড়িয়ে আছে আরও একটি স্থাপত্য। হলুদ-সাদা রঙের…

Read More

মাঝ আকাশে বিমানের ছাদ ভেঙে যাওয়া মানে সকল যাত্রীর নিশ্চিত মৃত্যু। তবে বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ভাঙ্গা ছাদ নিয়েই সফলভাবে অবতরণ করেছিলেন অভিজ্ঞ পাইলট রবার্ট। আমেরিকান আলোহা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩৪৩ বিমানটিতে থাকা ৮৯ জন যাত্রীর সবাই বেঁচে থাকলেও ভাঙ্গা ছাদের সাথে উড়ে গিয়েছিলেন একজন ফ্লাইট ক্রু। হলিউড সিনেমায় মাঝ আকাশে বিমান ধ্বংসের অনেক দৃশ্য আমরা দেখেছি। তবে বাস্তবে বিমান ধ্বংসের লোমহর্ষক কাহিনী একেবারেই অন্যরকম। সেই দিনের ভয়াবহ কাহিনী নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। ঝলমলে আবহাওয়া। টার্বুলেন্সের বালাই নেই কোনো। বিমানের জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে বহু নিচে ভেসে বেড়াচ্ছে রাশি রাশি পেঁজা তুলো মেঘ। কেউ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে প্রত্যক্ষ করছেন এই দৃশ্য। কেউ আবার…

Read More

মহাকাশে প্রতিনিয়ত কত কিছুই না হয়ে চলেছে। পৃথিবীর এক কোণে বসে তার ১ শতাংশও মানুষের চোখে পড়ে না। টেলিস্কোপে চোখ রেখে, গবেষণাপত্রের পাতা উল্টে কিছু কিছু মহাজাগতিক ঘটনা মানুষ জানতে পারে বটে, কিন্তু সিংহভাগই থেকে যায় অজানা। এক বিন্দু আলো পৌঁছাতে যেখানে ১৬০ বছর লেগে যায়, সেখান থেকেও বিপদ ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর মত গ্রহে। সম্প্রতি নাসার চন্দ্র মান মন্দির এমনই পর্যবেক্ষণ এর কথা জানাল। চন্দ্রর মহাকাশ গবেষকদের দাবি, মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নক্ষত্রই রয়েছে এইসব বিপদের মুলে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, এই সব নক্ষত্র যখন ধ্বংস হয়ে সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটায়, তখন সেই বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিটকে বেরোয় তীব্র এক্স রশ্মি। সেই একশ…

Read More

সিডনিভিত্তিক জ্বালানিবিশেষজ্ঞ টিম বাকলি বলেছিলেন, এই চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশকে পাঁচ গুণ বেশি দাম দিয়ে আদানি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে এবং ‘চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের টাকায় এশিয়ার সাবেক শীর্ষ ধনীর পকেট ভরার চুক্তি’। তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ রক্ষার আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছিলেন, ‘এটি কোনো চুক্তি নয়, বরং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী আদানিকে বাংলাদেশের দেওয়া উপহার।’ রামপাল চুক্তি ছিল একটি বিতর্কিত ও সমালোচিত চুক্তি। সুন্দরবনের কাছে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের এই চুক্তিটির সমালোচনা ছিল প্রধানত দুটি কারণে। এর পরিবেশগত ঝুঁকি এবং এতে অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে ভারতীয় কোম্পানিকে বিদ্যুৎ সরবরাহের অযৌক্তিক সুবিধা দেওয়া। এখন দেখা যাচ্ছে, বিদ্যুতের দাম, বিদ্যুৎ ক্রয়ে…

Read More

পাবনায় নির্মানাধীণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্যের আরও একটি চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে এসে ভেড়ে দুই হাজার ৫২২ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে রুশ পতাকাবাহী ‘এম ভি ইয়ামাল ওরল্যান’ জাহাজটি। জাহাজটিতে ১৭ জন রাশিয়ান নাবিক রয়েছেন। মালামাল খালাস করে জাহাজটি ভারতের উদ্দেশ্যে বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং এজেন্টের খুলনার ব্যবস্থাপক অপারেশন সাধন কুমার চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, ‘গত মাসের ২৮ তারিখ জাহাজটি রাশিয়ার নোভরোসিস্ক বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ছেড়ে আসে। জাহাজটিতে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১…

Read More

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় কোচবিহার জেলায় বিএসএফের গুলিতে গত দুবছরে অন্তত নয়জন ভারতীয় নাগরিক মারা গেছেন বলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভিযোগ করেছে। তারা বলছে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলায় ভারতীয় নাগরিকদের গুলি করে হত্যার সংখ্যা কমে এলেও কোচবিহার তা অব্যাহত রয়েছে। হত্যা ছাড়াও নিয়মিতই সীমান্ত অঞ্চলের কৃষকদের হেনস্থা করা, এমনকি তারা কোন ফসল চাষ করতে পারবে সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে বিএসএফ বলে অভিযোগ ঐ সংগঠনের। বৃহস্পতিবার সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ কোচবিহারের জেলাশাসকের কাছে একটা স্মারকলিপি দিয়ে বলেছে বিএসএফের হেনস্থা যদি বন্ধ না হয়, তাহলে কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে তাদের চাষের জমি সরকার কিনে নিক। এ বিষয়ে চেষ্টা করেও বিএসএফের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ…

Read More

অ্যানোমালোকেরিস এই সামুদ্রিক প্রাণীটি ছিলো ৬০ সেন্টিমিটার লম্বা। এদের বড় একজোড়া চোখ ছিলো এবং মাথার সম্মুখে একজোড়া সাঁড়াশীর ন্যায় বাহু ছিলো। এর নামের আক্ষরিক অর্থ “অড শ্রিম্প”। যা এর বড় শরীর দেখলে অস্বাভাবিকতা টের পাওয়া যায়। স্টেগোসরাস স্টেগোসরাস হল এক গোষ্ঠীর বর্মধারী ডাইনোসর। উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমভাগ ও ইউরোপের পর্তুগাল থেকে এদের অস্থির যে জীবাশ্ম আবিস্কৃত হয়েছে সেগুলি আজ থেকে মোটামুটি ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ১৫ কোটি বছর পুরনো। অর্থাৎ জুরাসিক যুগের শেষের দিকে এদের অস্তিত্ব ছিল। এরা অর্নিথিস্কিয়া বর্গের এক অত্যন্ত সুপরিচিত ডাইনোসর গোষ্ঠী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মরিসন ফর্মেশনের নিচের দিকের স্তর থেকে এর কয়েকটি প্রজাতির…

Read More

কথিত আছে, গালে গভীর ক্ষতচিহ্ন এবং উসকোখুসকো দাড়ির জন্যই মানুষের দরজা থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল বস্টনের রাজাকে। এক-দুবার নয়, একাধিকবার। আর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি একটা সময় তাকে ঠেলে দিয়েছিল হতাশার দিকে। যে রাজাকে নিয়ে কথা হচ্ছে, একটা সময় গোটা বিশ্বজুড়ে রাজত্ব করলেও, আদতে তিনি কোনো সম্রাট নন। তখনও পর্যন্ত তিনি কেবলমাত্র একজন নিতান্তই সেলসম্যান। বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করাই ছিল তার কাজ। তবে সাধারণ বিক্রয়কর্মী থেকেই তিনি হয়ে উঠেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম উদ্যোগপতি এবং উদ্ভাবক। হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম মিলিয়নেয়ার। ‘জিলেট’। এই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডটির সঙ্গে আমরা সকলেই কম-বেশি পরিচিত। মূলত, শেভিং ক্রিম এবং রেজারের জন্য পরিচিত হলেও,…

Read More

গত সোমবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনায় যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার ঢাকার খিলগাঁও, রামপুরা, বাড্ডা, বনশ্রী, বেইলি রোড, তেজগাঁও, মহাখালী, লালবাগ, ইস্কাটন, বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের ঝাঁঝাল গন্ধ পেলে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিতাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঈদের ছুটিতে গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়ায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে চাপ বেড়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন লিকেজ দিয়ে গ্যাস বের হতে থাকে। পরে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়া হলে রাতের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তাই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। কিন্তু আসলেই কি আতঙ্কিত হওয়ার…

Read More

আসিফ মহিউদ্দীন লিখেছেন, আস্তিক মানুষদের একটি বহুল প্রচলিত যুক্তি হচ্ছে, ঈশ্বর না থাকলে আইনস্টাইনের মত প্রখ্যাত বিজ্ঞানী কেন ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন? অর্থাৎ, আইনস্টাইনের ঈশ্বর বিশ্বাসকে আস্তিকগণ ব্যবহার করতে চান ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে। যা একটি লজিক্যাল ফ্যালাসি, যাকে বলে প্রাধিকারের কুযুক্তি। মানে হচ্ছে, আইনস্টাইন ঈশ্বরে বিশ্বাসী হোক কিংবা না হোক, তাতে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ হয় না। তারপরেও, এই লেখাটির উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র একটি মিথ্যাচারের জবাব দেয়া। যেই বহুল প্রচলিত মিথ্যাচারটি হচ্ছে, আইনস্টাইনকে ঈশ্বরে বিশ্বাসী বানাবার চেষ্টা বা ধার্মিক ধর্মপ্রাণ বানাবার মিথ্যা চেষ্টা। সেই সময়ে এবং পরবর্তী সময়েও, পুরো পৃথিবীর সবচাইতে প্রভাবশালী পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে আরেকজন প্রখ্যাত জার্মান ইহুদী দার্শনিক এরিখ গুটকিন্ড নিজের…

Read More