Author: ডেস্ক রিপোর্ট

রহস্যময় এই পৃথিবীর কতটুকুই বা জানি আমরা! আদৌ কি এসব রহস্য ভেদ করা সম্ভব? বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও মানুষের কৌতূহলী মনের বদৌলতে অনেক রহস্যেরই সমাধান সম্ভব হয়েছে এবং অনেক রহস্য সমাধানে প্রচেষ্টা চলছে। সম্প্রতি এমনই নতুন এক রহস্যের উৎপত্তি হয়েছে বরফে ঘেরা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে। খ্রিষ্টপূর্ব চার হাজার বছর আগে শীতল এই মহাদেশটি ছিল সবুজে ঘেরা। ৫০ কোটি বছর আগের ক্যামব্রিয়ান ফসিল অর্থাৎ পশুপাখির দেহাবশেষের জন্য বিশ্ববিখ্যাত ছিল এই মহাদেশ। তার মানে বোঝা যায়, মানুষের বসতি নিয়ে নিশ্চয়তা না থাকলেও এক সময় পশুপাখির বিচরণক্ষেত্র ছিল এ ভূমি। এমনকি তখনকার তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যথেষ্ট রহস্য ও কৌতূহলপূর্ণ এ পিরামিডগুলোর নির্দিষ্ট…

Read More

বৃক্ষের ইন্দ্রিয়ক্ষমতা নিয়ে এ পর্যন্ত বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণাই পরিচালিত হয়েছে, তবে শব্দের প্রতি উদ্ভিদের সাড়া কেমন তা নিয়ে এখনো কোনো নির্ভরযোগ্য উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। উদ্ভিদের বাড়ন্তকালে সুর-সংগীত তাকে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে অনেক কথাই আমরা শুনি, এরপরও কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারা একটু অদ্ভুতই বটে। গাছ ঘ্রাণ বা গন্ধ শুঁকতে পারে, এই ব্যাপারটি আমাদের যতটুকু আশ্চর্যান্বিত করে, গাছ শুনতে পায়, তা ভেবে আমরা ততটা অভিভূত হই না। বরং এটিকে স্বাভাবিক বলেই ধরে নিই। ধ্রুপদি কিংবা আধুনিক গান শুনে ঘরের এক পাশে রাখা চারা গাছটির বড় হয়ে ওঠার গল্প আমরা অনেকেই শুনি। তবে এ ধরনের অধিকাংশ গল্পই মূলত…

Read More

বিভ্রান্তিকর বিবৃতি যাচাইয়ে টুইটার সম্প্রতি ফ্যাক্ট-চেকিং অপশন সংযোজন করেছে। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ট্রাম্পের বিরোধ বেঁধেছে এবং অপপ্রচারের বিষয়টিও সামনে এনেছে। টুইটার ও ট্রাম্পের মধ্যকার এ বিরোধ প্রযুক্তিগত অগ্রসরতার নেতিবাচক ফল মনে হলেও এটি আদৌ কোনো নতুন বিষয় নয়। প্রাচীন গ্রিসেও সত্য, জ্ঞান ও গণতন্ত্র সম্পর্কে নিজস্ব কঠিন কঠিন বিতর্কের চল ছিল। আজকে প্রাচীন দার্শনিকরা বেঁচে থাকলে বলতেন, এটি কেবলই টুইট নিয়ে ঝগড়া নয়, বরং সত্যের মূল্য দেয়া সমাজে বাস করতে মৌলিক পছন্দ তৈরিবিষয়ক আমাদের প্রশ্নের মুখোমুখি করা একটি মুহূর্তও বটে। এ প্রশ্নের এথেনীয় অ্যাপ্রোচ প্রশ্নহীন ও অমূল্যায়িত অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য কীভাবে খোদ গণতন্ত্রকেই নাজুক করতে পারে,…

Read More

বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আহত হওয়া দুই নেতা- স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানকে নিয়ে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে দলটির ভেতরে। শনিবার আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমান উল্লাহ আমানকে খাবার ও ফলমূল পাঠানো এবং পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হবার পর ডিবি অফিসে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ‘আপ্যায়ন’ করার ঘটনাটি শুধু দলের মধ্যেই নয়, সারাদেশই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধির হাসপাতালে গিয়ে মি. আমানের সাথে কথা বলার ভিডিও এবং ডিবি অফিসে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মধ্যাহ্ন ভোজের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তোলে। ঘটনার…

Read More

প্রায় ৯,০০০ বছর পূর্বে প্রাচ্যের কৃষকেরা সর্বপ্রথম বন্য বিড়ালকে পোষ মানাতে সক্ষম হন। তারই কয়েক শত বছর পর মিশর ছাড়িয়ে সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বিড়াল ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শুধুমাত্র অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ব্যতীত সর্বত্রই বিড়াল দেখা যায়। চীনে প্রায় ৫,৩০০ বছর পূর্বের কিছু মৃৎশিল্পে চমৎকারভাবে বিড়ালের ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়, যেগুলো আকারে বর্তমানের সাধারণ বিড়ালের মতই। যদিও খ্রিস্টপূর্ব ২৪৬৫-২১৫০ অব্দে বিড়ালকে একটি পবিত্র প্রাণী হিসেবে মানা হতো, তবুও ঐ সময়ে তেমন কেউ বিড়াল পালতো না। বিভিন্ন মন্দিরে বিড়ালের পূজা করা হতো। ইঁদুর ধরে বলে বিড়ালকে অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতার অধিকারী পশু বলে বিবেচনা করা হতো। এখন বিশ্বব্যাপী ৬০০ মিলিয়নেরও বেশি বিড়াল রয়েছে, প্রায় ২০০…

Read More

ক্যালিগুলা সিজারের আসল নাম ছিল গায়াস জুলিয়াস সিজার জার্মানিকাস। কেউ তাকে রোমের ঐতিহাসিক সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সাথে মিলিয়ে ভুল করবেন না। কারণ, জুলিয়াস সিজার ছিলেন ক্যালিগুলার মহা-মহা-পিতামহ। ১২ খ্রিস্টাব্দের ৩১ আগস্ট রোমের সিজার ক্লডিয়ান পরিবারের নতুন সদস্য হিসেবে জন্ম নেন গায়াস সিজার। এই গায়াস সিজার পরবর্তীতে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম পাকাপাকিভাবে লিখিয়ে নেন রোমের ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত এবং অত্যাচারি শাসক হিসেবে। তার শাসনামলের পুরোটা সময় জুড়ে তিনি জনতার মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করে শাসন করেছিলেন। ‘মগের মুল্লুক’ কথাটির বাস্তবিক পরিণতি হয়েছিল ক্যালিগুলার রোমে। তিনি ছিলেন তার পিতা মহান জার্মানিকাস এবং মাতা আগ্রিপিনার ছয় সন্তানের মাঝে তৃতীয়। তিনি যখন জন্ম নেন তখন…

Read More

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভে পুলিশি বাধার এএফপির খবর প্রচার করেছে বৃটেনের গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়েছে, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তার মিত্ররা গত বছর থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দাবিতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ করে চলেছে। শনিবার বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ রাস্তাগুলো থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ফারুক আহমেদ বলেন, কিছু কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আমরা টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট…

Read More

বিএনপি’র মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। রাজধানীজুড়ে ছিল বাড়তি নজরদারিও। সমাবেশের আগের দিন রাত থেকেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ঢাকায় আসা প্রতিটি গাড়িতেই মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করা হয়। কোথায় যাচ্ছেন, কার কাছে যাচ্ছেন, যাত্রীদের প্রশ্ন করা হয়। যাত্রীদের মুঠোফোন ঘেঁটে দেখা হয়েছে। মোবাইলের কললিস্ট ও খুদে বার্তাও যাচাই করা হয়। অনেকের ডায়াল কলের নম্বর ধরে ধরে ফোনও করা হয়। এমনকি ফোনে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে তা জব্দ করে পুলিশ। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অনেককে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনা হয়। পরে তাদের পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে…

Read More

রাজধানী ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে। এছাড়া মহাসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারে বিএনপির অভিযোগের বিষয়টিও পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠেছে। ওই ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনও স্থান নেই। এছাড়া বাংলাদেশে আলাদা করে কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না বলেও জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠছে। বিরোধী দল বিএনপি তাদের জনসভা…

Read More

যুদ্ধক্ষেত্রে নারীর অসামান্য বীরত্বের সাক্ষ্য দেয় ইতিহাস। শত্রুর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়ে বীরত্ব দেখিয়েছেন এমন নারীর সংখ্যাও কম নয়। সাধারণ নারী থেকে প্রতিশোধের নেশায়ও তাদের কেউ কেউ হয়ে উঠেছেন প্রবল পরাক্রমশালী। আদিকাল থেকেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীকে সংসারের গন্ডিতে আবদ্ধ করে গৌরবের সকল ক্ষেত্রে একাই আধিপত্য করে গেছে। বিশেষ করে প্রাচীন যুদ্ধকলায় যোগ্যতা, সামর্থ্য, বীরত্ব ছিল পৌরুষের অপর নাম। নারীদের নমনীয় শারীরিক গঠন ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিকাংশ সময়ই তাদেরকে দুর্বল প্রতিপন্ন করা হয়। অথচ তলোয়ার চালানো বা তীর-ধনুকে লক্ষ্যভেদ করার কথা কল্পনা করতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ইতিহাসের বইয়ে দেখা কোনো বীরের ছবি। তারপরও যুগে যুগে এমন কিছু সাহসী…

Read More