Author: ডেস্ক রিপোর্ট

৪০ বছরের ব্যবধানে পদ্মা নদীর আয়তন নেমেছে অর্ধেকে। এতে পানির গভীরতার পাশাপাশি কমেছে প্রবাহ। আবাসস্থল হারিয়ে বিলুপ্তির আশঙ্কায় বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ। হুমকিতে পড়েছে পদ্মার পুরো জীববৈচিত্র্য। ফারাক্কা বাঁধের কারণেই এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। স্প্রিংগার থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন’ ২০২৩ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন একদল গবেষক। পদ্মার আয়তন কমেছে অর্ধেক এতে বলা হয়, ১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রবাহ কমেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। আর মিঠা পানির সরবরাহ সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এছাড়া…

Read More

প্রতি মুহূর্তে কতশত চিন্তা আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কখনও হয়তো কোনো বিরস কৌতুক কিংবা কারো সম্পর্কে কোনো অব্যক্ত নেতিবাচক ভাব, যা হয়তো আপনি কখনোই প্রকাশ করতে চান না; রাখতে চান নিজের ভেতরেই। কিন্তু ভাবুন তো, কেউ আপনার মনের এই অব্যক্ত কথাগুলো জেনে যাচ্ছে। আপনি কী ভাবছেন, তা বলার আগেই কেউ শুনতে পাচ্ছে! দ্য নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে। সোমবার (১ মে) অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মানুষের মনের কথা বোঝা বা ‘মাইন্ড রিড’ করার প্রযুক্তি আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নেচার নিউরোসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এফএমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বিশ্লেষণ…

Read More

কল্পবিজ্ঞান বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছে বলে ঠাহর হয়। মাথার অংশ দেখতেও ছবিতে বর্ণিত ভিনগ্রহী যানের মতো। একঝলক দেখলে গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য। সমুদ্রের গভীরে এমনই ভয়াল, দৈত্যাকার জেলিফিশের দেখা মিলল। প্রথম দর্শনে ভিনগ্রহী প্রাণী বলেই ভ্রম হয়েছিল। গবেষণায় জানা গেল আসল পরিচয়। পোলার রিসার্চ জার্নালে ওই দৈত্যাকার জেলিফিশের (Stygiomedusa Gigantean) বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। সামনে আনা হয়েছে ছবিও। আন্টার্কটিকায় উপকূলের কাছে প্রথম সেটির দেখা পান ক্রুজের যাত্রীরা। ভয়াল এবং দৈত্যাকার ওই জেলিফিশ আসলে গভীর সমুদ্রের অন্যতম মেরুদণ্ডহীন শিকারি প্রাণী। ২০২২ সালে যখন প্রথম বার দেখা মেলে, জলের উপরিভাগে উঠে এসেছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই জেলিফিশটি ১৬ ফুটেরও বেশি দীর্ঘ। মাথার অংশ…

Read More

ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি, গুগলের বার্ড, মাইক্রোসফটের সিডনি মেশিন লার্নিংয়ের বিস্ময়কর রূপ। এসব এআই টুল প্রচুর পরিমাণ ডেটা থেকে নির্দিষ্ট ছন্দ তথা প্যাটার্ন খুঁজে বের করে। এভাবে পরিসংখ্যানগতভাবে সম্ভাব্য আউটপুট তৈরি করতে শেখে এগুলো। একটা সময় মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বহুদিন ধরেই এই ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। শুধু পরিমাণগত দিকেই নয়, গুণগত দিকেও উন্নত হবে এআই। ভবিষ্যতে বুদ্ধিগত অন্তর্দৃষ্টি, শৈল্পিক সৃজনশীলতা এবং অন্যান্য মানবিক স্বতন্ত্র স্থানগুলোতে মানুষের চেয়ে ভালো করবে যন্ত্র। এখন যে প্রোগ্রামগুলো আমাদের সামনে আসছে সেগুলো সেই অদূর ভবিষ্যতের দিগন্ত দেখতে পাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো সেই দিন আসলেই আসবে যেদিন যন্ত্র মানুষকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে এখনও সে দিন…

Read More

যুগ পরিবর্তনের হাওয়াতে সবকিছু বদলে গেলেও বাঙালি নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশের জায়গায় এখনও চিরায়ত বাংলার শাড়ি দখল করে আছে অদ্বিতীয় মাত্রায়। এখন মেয়েদের বয়স পাঁচ ছয় হলেই শাড়ি পরতে হয় না। তবে উৎসব আয়োজনে শাড়ি থাকে নারীদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় সবার প্রথমে। জীববৈচিত্র্যের মতো লক্ষ্য করা যায় বস্তু-বৈচিত্র্য। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলেই হারিয়ে যেতে হয় ইতিহাসের পাতায়। শাড়ি সেখানে ব্যতিক্রমী এক নাম। সেই পুরাকাল থেকে এখনও বজায় রেখেছে নিজের গরিমা। বাঙালি নারী দেহে এক অবিসংবাদী পরিধেয়। নারীর পরিধেয় বস্ত্র শাড়ির ইতিহাস কিন্তু আজকের নয়। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৩ হাজার বছর বা তারও আগে থেকে রয়েছে শাড়ির উল্লেখ। বিভিন্ন নারী মূর্তির…

Read More

প্রাণীজগতে কুমিরের পরিচয় দুর্ধর্ষ শিকারি হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই যেসব নদী, লেক কিংবা পুকুরে কুমির থাকে, মানুষ সেগুলো এড়িয়ে চলে। তবে বুরকিনা ফাসোর ছোট্ট এক গ্রামে ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। এখানে মানুষ আর কুমিরে দারুণ সুসম্পর্ক। এমনকি সেখানে গিয়ে কোনো গ্রামবাসীকে বিশালাকার এসব সরীসৃপের কোনো একটির পিঠে চড়ে বসে থাকতে দেখে চমকে উঠতে পারেন। বুরকিনা ফাসোতে শুষ্ক সাভানা অঞ্চল আর সবুজ অরণ্য দুটিই পাবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির পাশাপাশি বাজৌলি গ্রামটি টানছে পর্যটকদেরও। বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগুদুগু থেকে বাজৌলি নামের গ্রামটির দূরত্ব মাইল বিশেক। সেখানে বেশ বড়সড় এক পুকুরে শ দুয়েক কুমিরের বাস। ওই পুকুরই ব্যবহার করে গ্রামবাসী। হঠাৎ বাইরে থেকে…

Read More

ডলারের তুলনায় টাকার মান কমে যাওয়ার প্রভাব এবার বাজেটেও পড়ছে। বাড়তি সুদ পরিশোধে বাড়তি বরাদ্দ রাখতে হবে। চলতি অর্থবছর থেকেই এই চাপ তৈরি হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এই চাপ আরো বাড়বে। আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই অর্থের মধ্যে সুদ ব্যয় বাবদই বরাদ্দ রাখতে হবে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। পাঁচ বছর আগের তুলনায় এ সুদ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ। ডলারের তুলনায় টাকার মান কমে যাওয়ায় সুদের পরিমাণের ওপর প্রভাব পড়েছে, বিশেষ করে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে। অবশ্য সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াও এর একটি কারণ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়,…

Read More

ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রকাশিত ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে’ এ বছর আরও এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ৩৫.৩১ স্কোর নিয়ে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩। দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সবগুলো দেশের অবস্থাই বাংলাদেশের থেকে ভাল। বুধবার প্রকাশিত ওই সূচকে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে ভুটান। দেশটির অবস্থান ৯০তম। দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের অবস্থান ৯৫তম। মালদ্বীপের অবস্থান ১০০তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩৫তম, পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম, আফাগানিস্তানের অবস্থান ১৫২তম ও ভারতের অবস্থান ১৬১তম। এর আগে ২০২২ সালে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬২তম। সেসময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬.৬৩। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে রিপোর্টার্স…

Read More

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাংবাদিকরা ততটুকুই প্রতিবাদ করেন, যতটুকু পর্যন্ত সরকার ক্ষিপ্ত হবে না৷ বিএনপি আমলে হলে বিষয়টি ভিন্ন হতো৷ নানা নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের সাংবাদিকরা৷ প্রশাসন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন৷ আরও আছে মামলার ভয়৷ সবসময় পাশে থাকে না প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো৷ এরই মধ্যে চার সপ্তাহ আগে, বাংলাদেশের এক সাংবাদিককে নিজ কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে বাজেভাবে মারধর করা হয় এবং তার ভবনের ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তার পিঠে জখম হয়, পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙ্গে যায়৷ তার মাথায়ও ছুরির ক্ষত…

Read More

গুবরে পোকা ড্রাগন বা ইউনিকর্নের মতো ডাইনোসর রূপকথার রঙিন জগত থেকে উঠে আসা কোনো প্রাণী নয়। আজ থেকে চব্বিশ কোটি বছর পূর্বে আবির্ভূত হওয়া দৈত্যাকৃতির এই জীব প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীকে একচ্ছত্রভাবে চার কোটি বছর যাবত শাসন করেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের কারসাজিতে সেলুলয়েডের পর্দায় ডাইনোসরের অনুমিত প্রতিচ্ছবি দেখলে যারপরনাই অবাক হতে হয়। অনেক প্রজাতির ডাইনোসর লম্বায় ৪০ ফুট এবং ওজনে প্রায় ৯ টন পর্যন্ত হতো। তাদেরকে টেক্কা দেওয়ার সাধ্য কার? তবে আদিম পৃথিবীতে ডাইনোসর বাদেও এমন কিছু প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল, যারা ডাইনোসরকে খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখত। প্রাগৈতিহাসিক কালের এমন কিছু বিচিত্র সব প্রাণী নিয়েই আজকের এই আয়োজন। পাশাপাশি এই প্রাণীগুলো যে ডাইনোসরকে খেয়ে…

Read More