নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় নুর হোসেন খান সাহাব (৪০) নামে কাদের মির্জার এক অনুসারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৫এপ্রিল) রাতে স্থানীয় সাংবাদিক প্রশান্ত সুভাষ চন্দ মামলাটি দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি।
নুর হোসেন খান সাহাব উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত নুরনবী কমান্ডারের ছেলে। তিনি কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওসি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(ক)/২৮(১)/২৯/৩১(১) ধারায় আক্রমণাত্মক ভীতি প্রদর্শক তথ্য প্রেরণ, ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করা, মানহানিকরসহ সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও শত্রুতা সৃষ্টি করার অপরাধে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি খান সাহাব গত ৪ এপ্রিল রাত ৮টায় নিজের ফেসবুক লাইভে এসে কোম্পানীগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি প্রশান্ত সুভাষ চন্দকে উদ্দেশ করে নানা ধরনের মানহানিকর, আক্রমণাত্মক ও ভীতিকর হুমকিসহ ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে অকথ্য ভাষায় মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক প্রশান্ত সুভাষ চন্দ বলেন, এই ব্যক্তি কোম্পানীগঞ্জের অসংখ্য সম্মানী ব্যক্তিকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সে আমার বিরুদ্ধেও অসত্য বানোয়াট মন্তব্য করায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মিডিয়া ওয়াচডগ বডি আর্টিকেল ১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৯৮টি মামলায় ৪৫৭ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে ও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ৪৫৭ জনের মধ্যে ৭৫ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
ঘটনাক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সম্প্রতি বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আইনটি পর্যালোচনা করা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে তদন্তের আগেই যেন গ্রেফতার করা না হয়, এমন ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা— এটা আমাদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। যে অধিকার আইন করেও খর্ব করা যায় না। দুর্ভাগ্যবশত আজকে স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী উদযাপন করতে গিয়ে এই স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়াই করছি।
সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আইনটি নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তির ওপর দেশে ও বিদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/২০০৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ