রংপুরের তারাগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুকে মসজিদের ভেতরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারাগঞ্জ উপজেলার আতিকুর রহমান (২৯) নামের এক ইমামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজিত জনতা ওই ইমামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই শিশুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ওই শিশুর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আতিকুর সকালে শিশুদের আরবি শেখান। ভুক্তভোগী শিশুটি এক বছর ধরে তাঁর কাছে আরবি শিখছে। গতকাল বুধবার সকাল আটটার দিকে অন্য শিশুদের সঙ্গে ওই শিশুও আরবি শিখতে যায়। ইমাম অন্য শিশুদের ছুটি দিলেও ওই শিশুকে আরও পড়াবেন বলে জানান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মক্তব শেষে মসজিদের ভিতর শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ঘটনাটি কাউকে জানালে মেরে ফেলা হবে বলে ওই শিশুকে হুমকি দেন আতিকুর। ভয়ে শিশুটি বাড়ির কাউকে কিছু বলেনি। বিকেল চারটার দিকে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাকে বিষয়টি জানায়। শিশুটিকে প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা আতিকুরকে আটক করে পুলিশে দেন। শিশুর বাবা বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ইমামের বিরুদ্ধে গতকাল রাত ১০টায় মামলা করেন। বর্তমানে শিশুটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় করা মামলায় আতিকুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
খবর : প্রথম আলো
আপনার মতামত জানানঃ