স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার, ২৭ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
পরিবারের মামলা নিচ্ছে না পুলিশ, চলছে হুমকি
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
স্বাস্থ্যসেবা সচিবের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল শেষে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করছেন সাংসদের অনুগত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল পাকুন্দিয়া ঈদগাহের সামনে
স্বাস্থ্যসেবা সচিবের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল শেষে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করছেন সাংসদের অনুগত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালানোর পর পরিবারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগটি এখন পর্যন্ত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। উল্টো পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা সচিবের বিরুদ্ধে প্রতিদিন হয় কটিয়াদী, না হয় পার্শ্ববর্তী উপজেলা পাকুন্দিয়ায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। যতই দিন গড়াচ্ছে, প্রতিবাদের ভাষা হচ্ছে অশালীন।
গতকাল বুধবার দুপুরে পাকুন্দিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা সচিবের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। বরাবরের মতোই কর্মসূচির আয়োজক ক্ষমতাসীন দল। কটিয়াদীর ঘটনার সূত্র ধরে এ নিয়ে পাকুন্দিয়ায় স্বাস্থ্যসচিববিরোধী দ্বিতীয় দফা কর্মসূচি পালিত হলো। কটিয়াদীতেও দুই দফা অনুরূপ কর্মসূচি হয়। মানববন্ধন হয় পাকুন্দিয়া-কিশোরগঞ্জ সড়কে। প্রতিবাদ সভাটি হয় পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহ মাঠে।
ঢাকাকে নিরাপদে পুলিশের ‘সেফ সিটি’ প্রকল্প
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রাজধানী ঢাকাকে নিরাপদ করতে ‘সেফ সিটি’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পুলিশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পুলিশ সদর দফতর কাজ করছে। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ঢাকায় অনেকগুলো উন্নয়ন কাজ হচ্ছে, এতে কিছু গোপন পকেট তৈরি হয়েছে। অপরাধীরা সেসব জায়গা দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এসব জায়গায় পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় আলাদা পুলিশ ইউনিট করা হয়েছে। সবগুলো যখন ফরম করবে তখন নিরাপত্তার আরও শক্তিশালী হবে। সেফ সিট প্রকল্পে থাকবে সিসি ক্যামেরা, সড়কের গাড়ি শনাক্ত প্রক্রিয়া এবং ব্যক্তির মুখমণ্ডল চিহ্নিতকরণ ক্যামেরা। যাতে অপরাধীরা কোনও অপরাধ করলে তার ছবি সিসি ক্যামেরায় ধরা পরবে এবং এনআইডির ছবির মাধ্যমে অটো চিহ্নিত হবে। নগরে এরকম অন্তত বিশ হাজার ক্যামেরা থাকবে।
বিএনপির মশাল মিছিলে পুলিশের হামলা
নয়াদিগন্ত
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সন্মানসূচক (বীর উত্তম)খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াপল্টনে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
বুধবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টন মোড় থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল বের করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। একপর্যায় পুলিশের সাথে হাটাহাতি হলে পুলিশের হামলা ও লাঠি পেটায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল সাধারন সম্পাদক গোলাম মওলা শাহীন, কাউসার, সোহেলসহ ৫-৬জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ যুবদল নেতা শরীফসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও মিছিলে অংশ নেন নির্বাহী কমটিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়, আসাদুল করিম শাহীন সহ শতাধিক নেতাকর্মী।
সাগর-রুনি হত্যা মামলা: ৯ বছরে ৭৮ বার সময় নিয়েছে তদন্তসংস্থা
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: গণমাধ্যম
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ৯ বছর পার হলেও এখনও হত্যারহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। ৯ বছরে আদালত থেকে ৭৮ বার সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। আদৌ বিচার পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন এ সাংবাদিক দম্পতির পরিবার।
পুত্র ও পুত্রবধুর হত্যার বিচার নিয়ে সাগরের মা সালেহা মনির বলেন, ‘বাংলাদেশে সকল হত্যার বিচার হচ্ছে। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। আশা করি একদিন বিচার হবে। হয়ত আমি দেখব না। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যেহেতু হয়েছে, সাগর-রুনি হত্যার বিচারও একদিন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত যেন মামলাটির বিচারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আমার আবেদন মুজিববর্ষেই যেন সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।’
ডিজিটাল আইনের মামলায় তিন সাংবাদিকের জামিন
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: গণমাধ্যম
সংবাদ প্রকাশের জেরে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিমের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় উচ্চ আদালতের পর এবার নিম্ন আদালত থেকেও জামিন পেয়েছেন সিলেটের তিন সাংবাদিক। জামিনপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হচ্ছেন- দৈনিক একাত্তরের কথা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী টিপু, চিফ ফটো জার্নালিস্ট এস এম সুজন ও স্টাফ রিপোর্টার জিকরুল ইসলাম।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্ধারিত কার্যদিবসে শুনানিকালে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জামিন দেন। বিবাদী পক্ষে মামলা পরিচালনায় ছিলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমেদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট শিপা বেগম। আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
Bangladesh Police force to get two state-of-art choppers
The Daily Star
Category: State Force
Two state-of-the-art helicopters are being added to the Bangladesh Police for further enhancement of the force’s efficiency and capability to provide service to the people, police said.
The long-awaited dream of launching an air wing of police is going to be realised through the addition of helicopters, Inspector General of Police Benazir Ahmed said today after signing a memorandum of understanding with a Russian company.
The move came after police officers have been demanding during their yearly police week to launch an air wing with a fleet of ten choppers. Now only Rapid Action Battalion, a special unit of Bangladesh Police, has two helicopters.
Sagar-Runi Murder
No clue yet, 9 years on
New Age
Category: Media
Family members and journalist community are frustrated as Rapid Action Battalion failed to submit the charge sheet in the sensational double murder case of journalist couple Sagar Sarowar and Meherun Runi in nine years of their murder.
Sagar, the then news editor of Maasranga TV, and his wife Runi, senior reporter of ATN Bangla, were murdered at their rented apartment at Paschim Razabazar in the capital in the presence of their minor son Mahir Sarowar Megh on February 11, 2012.
RAB investigators repeatedly said that the ‘investigation was on’ and it ‘would take appropriate legal steps’ though the investigators sought time on dates one after another and the Dhaka Metropolitan Magistrate court have so far deferred dates of submitting the probe report in the case for 78 times.
The victims’ family members termed the ongoing investigation an eyewash while journalist leaders termed it a continuation of the country’s culture of impunity.
‘The dates of submitting the probe report were deferred for 78 times. I will say that it is part of a drama, it is nothing but a eyewash and a mockery of the system,’ said Runi’s brother Nowsher Alam Roman, who filed the murder case with Sher-e-Bangla Nagar police station as the complainant.
আপনার মতামত জানানঃ