আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুর নমুনা পরীক্ষা করার পর তাতে শুধু জীবন সৃষ্টির প্রধান উপাদান লবণাক্ত পানির অস্তিত্ব শনাক্ত করেছেন। আর বিজ্ঞানীদের সাধারণ বিশ্বাস হচ্ছে, লবণ-পানিতেই প্রথম জীবনের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের এই বিশ্বাসের অর্থ হচ্ছে, পৃথিবীবাসী যেই এলিয়েনকে খুঁজছে, সেই এলিয়েন তো মানুষ নিজেই। কারণ মানবসৃষ্টি এই পৃথিবীতে হয়নি। অন্য কোনো গ্রহাণুর কারণেই মানুষ এই পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব পেয়েছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, গ্রহাণুর সাহায্যেই এই পৃথিবীতে জীবের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এটাও বলেছেন, পৃথিবীর সূচনাকালে পানিতে যেসব উপাদান মিশ্রিত ছিল, গ্রহাণু থেকে পাওয়া নমুনায়ও একই উপাদান পাওয়া গেছে। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন স্মিথসনিয়ান ইনস্টিটিউশনের বিজ্ঞানী টিম ম্যাক-কয়।
তিনি বলেন, ‘এটা তো সেই পরিবেশ, যে পরিবেশ জীবের সৃষ্টির পথ খুলে দেয়।’ উল্লেখ্য, নাসার ওসিরিস-রেক্স স্পেসক্রাফট পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণু ‘বিনু’ থেকে ১২২ গ্রাম (চার আউন্স) ওজনের ধুলা ও পাথরকণা নিয়ে সম্প্রতি পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। এর আগে জাপানের স্পেসক্রাফটও মহাকাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এনেছিল, তবে তাতে উপাদানের পরিমাণ ছিল খুবই কম।
বিজ্ঞানীরা বেনু গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করা নমুনাটি পরীক্ষার পর এতে সোডিয়ামসমৃদ্ধ খনিজ পদার্থের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
তারা নমুনাতে অ্যামাইনো এসিড ও নাইট্রোজেনও শনাক্ত করেন, যা অ্যামোনিয়া হিসেবে রয়েছে। তারা এতে জেনেটিক কোডের উপাদানও শনাক্ত করেছেন।
তারা গ্রহাণুর নমুনাতে এমন একটি লবণের সন্ধান পান, যা যাওয়া যায় ক্যালিফোর্নিয়ার মুজাবে মরুভূমি ও আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে। তারা মনে করেন, ভয়াবহ উল্কাপাতের কারণে এই বিশেষ লবণযুক্ত মরু মাটি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ছিটকে পড়েছিল।
আপনার মতামত জানানঃ