এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে মানুষের অদম্য কৌতূহল বহু বছর ধরেই। আমরা বাদে মহাবিশ্বে অন্য কোন প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর আমাদের কাছে নেই। কিন্তু সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এলিয়েনরা পৃথিবীতে গোপনে মানুষের ছদ্মবেশ নিয়ে আমাদের মাঝে বসবাস করতে পারে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রামের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, পৃথিবীতে এলিয়েনের অস্তিত্ব থাকতে পারে এবং তারা ভূগর্ভে, চাঁদে বা মানুষের আশেপাশেই থাকতে পারে। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ইউএফও কিংবা আনআইডেন্টিফাইড এরিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি) পৃথিবীর এলিয়েন সঙ্গীদের কাছে ঘুরতে আসা অন্য গ্রহের এলিয়েনদের স্পেসশিপ হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য প্রমাণ এবং তত্ত্ব রয়েছে যা এলিয়েন থাকার সম্ভাবনার কথা বলে। লেখক এটিকে “ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল” হাইপোথিসিস (সিটিএইচ) নামে অভিহিত করেছেন। এই ধারণাটি প্রস্তাব করে, ইউএপি পৃথিবীতে লুকিয়ে থাকা অ-মানব বুদ্ধিমত্তার (এনআইএইচএস) ক্রিয়া হতে পারে।
গবেষণাটি তথাকথিত ‘ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস’-এর ধারণা নিয়ে আরও তদন্ত করেছে। ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস বলতে এমন প্রাণীদের কথা বলা হয়েছে যারা হয়ত মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মধ্যে বসবাস করছে, ভবিষ্যৎ পৃথিবী থেকে এসেছে অথবা বুদ্ধিমান ডাইনোসর থেকে এসেছে।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চার রকমের ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল এর উপস্থিতি থাকতে পারে।
প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্রাচীন মানব সভ্যতা যা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ সভ্যতার কিছু অবশিষ্ট এখনও বিদ্যমান আছে।
প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত অ-মানব সভ্যতা যা কিছু স্থলজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত এবং গোপনে বসবাস করার জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। এরা বানরের মতো হোমিনিড বংশধর বা “অজানা ও বুদ্ধিমান ডাইনোসরদের” বংশধর হতে পারে।
এই প্রাণীগুলো মহাজগতের অন্য কোথাও থেকে বা মানব ভবিষ্যৎ থেকে পৃথিবীতে এসেছে বলে ধারণা করা হয়। এরা চাঁদেও লুকিয়ে থাকতে পারে।
এমন সত্তা যা অন্য এলিয়েনদের মতো না হয় পরি বা জ্বীনের মতো। এই এলিয়েন এর ধারণা মানবজাতির পরি বা জ্বীন নিয়ে যে ধারণা তার সাথে মিলে যায়।
গবেষকরা স্বীকার করেছেন, তাদের গবেষণা “অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।” কিন্তু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের দাবিকে “জ্ঞানগত শ্রদ্ধা এবং খোলামেলা মনোভাবের সাথে” বিবেচনা করার আহ্বান জানান। গবেষণাপত্রটি এখনও পিয়ার-রিভিউ করা হয়নি।
এর আগে একজন সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, মার্কিন সরকার “ফুটবল মাঠের আকৃতির” একটি অজানা উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও) লুকিয়ে রেখেছে।
আপনার মতামত জানানঃ