স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১০ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ২৬ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রচেষ্টা সত্যিই বিরল: আইজিপি
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসকসহ সবার এক মহাকাব্যিক প্রচেষ্টা ছিল। তিনি বলেন, ‘এ মহাকাব্যিক প্রচেষ্টায় সবাই যে দুর্দমনীয় সাহস দেখিয়েছেন, ঝুঁকি নিয়েছেন, পেশাগত মমত্ববোধ দেখিয়েছেন— তা এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে, যা সত্যিই বিরল।’ রবিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি এসব কথা বলেন।
ড.বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘করোনা অতিমারিকালে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি সমগ্র দেশ দিয়েছে। দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকায় কর্মরত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং হাসপাতালের সব পর্যায়ের করোনাযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আইজিপি বলেন, ‘সারা বিশ্বের মতো আমাদের জন্যও করোনা ছিল একটি সম্পূর্ন নতুন অভিজ্ঞতা। সঙ্গত কারণেই করোনার জন্য আমাদের কোনেও পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু আমাদের বুক ভরা সাহস ছিল। পরাভব না মানার প্রবল প্রত্যয় ছিল। আমরা হতবিহ্বল না হয়ে দুর্দমনীয় প্রত্যয় নিয়ে করোনা মোকাবিলা করেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশের মানুষ, বাঙালি জাতি কখনও পরাভব মানে না।’ তিনি বলেন, ‘শুরুতেই করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পুলিশের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের উপযোগী করে করোনা মোকাবিলায় গাইড লাইন তৈরি করেছি। আমাদের গাইডলাইনটি বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল, যাতে করে অন্যান্য দেশ আমাদের অভিজ্ঞতা ও আয়োজন থেকে উপকৃত হতে পারে।’
তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির অভিযোগ
জাগো নিউজ
বিভাগ: গণমাধ্যম
তথ্য জানতে চাওয়ায় এক সাংবাদিকের নামে মামলা করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষারের বিরুদ্ধে।
রেলওয়ের টিকিট বিক্রির প্রায় ৯৪ হাজার টাকা ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে শনিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জমির উদ্দিন নামে ওই সাংবাদিককে এ হুমকি দেন। জমির অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী রুটের ছয়টি স্টেশনের মধ্যে তিনটি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭০০ টাকার হদিস না পাওয়ার বিষয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সর্বশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সামছ তুষার ক্ষিপ্ত হন। এর এক পর্যায়ে এই রেল কর্মকর্তা আমাকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারি’ বলে হুমকি দেন। ফোনালাপের রেকর্ড রয়েছে উল্লেখ করে জমির উদ্দিন দাবি করেন, ফোনালাপের শুরুতে তিনি সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি টিকিট বিক্রির টাকা খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইতেই সামছ তুষার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর এক পর্যায়ে সাংবাদিক জমির তদন্ত রিপোর্টের সময়সীমার বিষয়ে জানতে চাইলে আরও রুঢ় ব্যবহার শুরু করেন ওই রেল কর্মকর্তা।
সাংবাদিক জমিরের ভাষ্যমতে, এরপর তিনি (সামছ তুষার) বলেন, ‘এটা কি আপনাদের? আপনি দুই দিন পরপর ফোন করতেছেন। আপনি কিভাবে জানেন এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে? আমার ভেতরের জিনিস আপনি কীভাবে জানলেন? কে দিয়েছে এই তথ্য ? এই যে শোনেন, আপনি যে এই তথ্যটা ইয়ে করছেন, আমি কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে ডিজিটাল অ্যাক্টে অ্যাকশন নিতে পারি।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি হুমকি দেইনি, আমার কাছে কল রেকর্ড আছে।’
ওসির অপসারণ দাবি, পুলিশের তদন্ত কমিটি
সমকাল
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গালাগাল ও লাঠিপেটার ঘটনায় ফরিদপুরের সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ আলটিমেটাম দেন তারা। এদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শাহদাৎ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, আতিকুর রহমান, রতন মাতুব্বর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি মাহাবুব হোসেন, সদস্য সচিব কাজী এরশাদ প্রমুখ।
তারা বলেন, ৮ জানুয়ারি উপজেলার মাঝারদিয়া এলাকায় স্থানীয় দু’পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি সেখানে ছুটে যান। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে তারা ফিরে আসতে উদ্যত হন। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে পড়েন তারা। তখন মোশাররফ হোসেন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে পরনের কোর্টে থাকা মুক্তিযোদ্ধার নেমপ্লেট দেখান। তার পরও এক কনস্টেবল গিয়ে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ওসি নিজে গিয়ে লাঠিচার্জ ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। লাঠিচার্জের কারণে আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, এই ঘটনায় আমরা বিচার চাই না। আমরা ওসির অপসারণ চাই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসিকে অপসারণ না করলে আমরা আবার রাজপথে নামব।
A leading figure in promoting ethical journalism
The Daily Star
Category: Media
Acting editor of the Daily Sangbad Khandaker Muniruzzaman will remain an inspiration for the next generation for his devotion to living a life upholding progressive ideology, values, secular politics, democracy and freedom of speech.
This ever smiling, always warm and unrelentingly optimistic man was a firm believer of an exploitation-free society and democracy.
His lifelong involvement with progressive ideals, upholding of the values of the Liberation War and his unrelenting commitment to secular politics and cultural values made him a leading figure in promoting ethical journalism in the profession and democratic values in the society.
This was how his friends, colleagues, and fellow editors of newspapers remembered him while attending a virtual memorial meeting yesterday. A dedicated and honest journalist, Muniruzzaman always called a spade a spade, they said. Sampadak Parishad (Editors’ Council) organised the event, recalling the contribution of one of its founding members.
Muniruzzaman died on November 24 last year at the age of 71, while undergoing treatment at his Shantinagar home in the capital after he tested positive for Covid-19.
আপনার মতামত জানানঃ