বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমানকে রাজধানীর রায়সাহেব বাজার এলাকা ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগরের কর্মী সজলকে আগাওগাঁও এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘তারেক গতকাল বিকেলে রায়সাহেব বাজার এলাকায় একজন আইনজীবীর চেম্বারে গিয়েছিলেন। পরে চেম্বারের নিচের দোকানে ফটোকপি করতে গেলে সেখান থেকে সাদা পোশাক পরিহিত ডিবি পুলিশের সদস্যরা তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যান। পরে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে গেলে তারা তারেককে আটক করেনি বলে জানানো হয়। যেহেতু এলাকাটি কোতোয়ালী থানার আওতাধীন, তাই আমরা সেখানেও গিয়েছিলাম। তারাও কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।’
সাদা পোশাক পরে ডিবি পুলিশের সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছেন, এটা বুঝলেন কীভাবে?, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফটোকপির দোকানে আইনজীবীর লোকেরা ছিলেন। তখন যারা তারেককে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন, তারা তাদের ডিবি পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেন বলে আইনজীবীর লোকেরা জানান। এ ছাড়া, এর আগেও এমনটাই দেখেছি।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী সজলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘গতকালই বিকেল ৫টার দিকে আগারগাঁও থেকে সজলকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারেক ও সজল একইসঙ্গে থাকতেন। সজলের বিষয়েও ডিবি পুলিশ আটক করেনি বলে জানিয়েছে।’
‘তারেক ও সজলকে যেই তুলে নেক না কেন, যেহেতু তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, তাই এ বিষয়ে আমরা কোতোয়ালী থানায় জিডি করতে চেয়েছি। কিন্তু, আমাদের জিডি নেওয়া হয়নি’, বলেন রাশেদ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তাদেরকে গ্রেপ্তার করার কোনো তথ্য নেই।’
জিডি না নেওয়ার বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কোথায় ঘটনা ঘটেছে, তারা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। আমাদের থানা এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটেনি। তাই জিডি নেওয়া হয়নি।’
ওই দুই জনকে র্যাব সদস্যরা আটক করেছেন কি না, জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো অভিযান পরিচালনা করিনি।’
ছড়িয়ে দিনঃ
আপনার মতামত জানানঃ
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আপনার মতামত জানানঃ