কোষাগারে অর্থাভাব। সরকারি সংস্থাগুলোও বিপর্যস্ত। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কাউকে টাকা দিতে পারছে না। অর্থের অভাবে সরকারও আমদানির বাজার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জ্বালানির সংস্থান করতে পারছে না। দুইদিন আগেই বাংলাদেশের ঋণমান অবনমন করেছে মার্কিন ঋণমান নির্ধারণকারী সংস্থা মুডি’স। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্যাকেজ গ্রহণও এ অবনমন ঠেকাতে পারেনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে গড় বাজেট বাস্তবায়নের হার ৮৬ শতাংশ। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও পূর্ণ বাস্তবায়নের সম্ভাবনা না থাকায় সংশোধন করে বাজেটের আকার কমিয়ে আনতে হয়েছে।
এর মধ্যেই জাতীয় সংসদে গতকাল আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ ও সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৫ শতাংশ বড় আয়তনের এ বাজেটের শিরোনাম ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদের লক্ষ্য হলেও আমরা একই সঙ্গে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করতে চাই। এরই মধ্যে আমাদের সরকারের সময়োপযোগী কৌশলের প্রভাবে লেনদেন ভারসাম্যের অস্থিতিশীলতা কমে এসেছে।’
যদিও বর্তমান পরিস্থিতি উচ্চপ্রবৃদ্ধি ও সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বরং অর্থের সুনির্দিষ্ট জোগান ছাড়া খরচ বৃদ্ধির এ ধরনের রূপকল্প পরিস্থিতিকে আরো বেহাল করে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ বিষয়ে তাদের ভাষ্য হলো উচ্চাভিলাষী এ বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান কীভাবে হবে, তা স্পষ্ট নয়। চলমান মূল্যস্ফীতি মোকাবেলা নিয়েও প্রয়োজনীয় কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এর মধ্যেই আবার বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে মুডি’স। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব দৃশ্যমান না হলেও অর্থবছরজুড়ে এর জন্য ভুগতে হবে। এরই মধ্যে আরব আমিরাতের একটি ব্যাংক বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত ঋণসীমা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী অন্য অনেক আর্থিক সংস্থা ও ব্যাংকের এ পদক্ষেপ অনুসরণ করার জোর আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে বিদেশী উৎস থেকে অর্থায়ন সংগ্রহ আগের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যে পরিমাণ নতুন টাকা ছাপাতে হবে, তাতে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি আরো মারাত্মক হয়ে দেখা দিতে পারে।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম (বাজেট) অধিবেশন শুরুর পর গতকাল বেলা ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর আগে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। সংশোধিত হয়ে এ বাজেটের আকার কমে হয় ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বাড়ছে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। মাথাপিছু আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ ডলার।
৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎস থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এনবিআর-বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরিত হবে আরো ৫০ হাজার কোটি টাকা।
গত কয়েক বছরে প্রাক্কলন বা লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সংগতি রেখে রাজস্ব আহরণ করতে পারেনি সরকার। প্রতি বছরই প্রস্তাবে উল্লিখিত লক্ষ্যের সঙ্গে বাস্তব রাজস্ব আহরণের বড় ব্যবধান থেকে যাচ্ছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণে ঘাটতি থেকে গেছে সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল এনবিআর। এর মধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে আহরণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী লক্ষ্য পূরণ করতে অর্থবছরের বাকি দুই মাসে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা আহরণ করতে হবে সংস্থাটিকে। এজন্য প্রতি মাসে গড়ে রাজস্ব আহরণ করতে হবে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। যদিও ২০২২-২৩ অর্থবছর শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজস্ব আয়ের এ ঘাটতি সামনের দিনগুলোয় বড় সংকটের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। বড় অংকের নতুন এ বাজেটে ঘাটতি পূরণের জন্য দেশী-বিদেশী উৎস থেকে নেয়া ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে সরকারকে। এ অর্থায়ন নিশ্চিত হোক না হোক, প্রয়োজনমাফিক রাজস্ব আহরণে ব্যর্থতা বড় ধরনের সংকটের উৎস হয়ে দেখা দিতে পারে। একদিকে তা সুদ বাবদ সরকারের প্রদেয় ব্যয়ের বোঝাকে আরো ভারী করে তুলতে পারে। এরই মধ্যে সরকারের পরিচালন ব্যয়ের বৃহৎ একটি ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধ। আবার মুডি’সের অবনমনও বাংলাদেশের ঋণপ্রাপ্যতাকে খর্ব করেছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার পরিচালন ব্যয়ের প্রাক্কলন করেছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এছাড়া উন্নয়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাজেটে অনুদান ব্যতীত মোট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। বৈদেশিক উৎস (অনুদানসহ) থেকে আসবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ব্যাংকগুলো নিজেরাই এখন তারল্য সংকটে ভুগছে। এ অবস্থায় সরকারের ঋণ চাহিদা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে টাকা ছাপাতে হচ্ছে। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরেও সরকারকে ঋণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ৭০ হাজার কোটি টাকা নতুন করে ছাপাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।
এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরে সরকারকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ দিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরো বেশি হারে টাকা ছাপাতে হবে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, সেক্ষেত্রে বাজারে অর্থের সরবরাহ বেড়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বাজেটে ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্যস্ফীতিকে ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হবে না। বরং তা বর্তমানের চেয়ে আরো মারাত্মক আকার নিতে পারে। তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, শ্রীলংকার মতো বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে মুদ্রা ছাপিয়ে বাজেট অর্থায়ন করতে গিয়ে বড় ধরনের অর্থনৈতিক দুর্বিপাকের শিকার হয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো অর্থনীতিতে আয়-ব্যয় কাঠামো সবসময় দুর্বল। বিশেষ করে কর আদায়। কিন্তু এবারের রাজস্ব আয়-ব্যয় কাঠামোটি মনে হচ্ছে একটু বেশিই দুর্বল। ২০২২-২৩ অর্থবছর তার আগের অর্থবছরের চেয়ে দুর্বলতর। গত দুই বছরের চেয়ে এবার প্রবৃদ্ধির হার পতন হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে পতন হয়েছে। আমরা যদি রাজস্ব কাঠামোর দিকে দেখি, তাহলে কিন্তু এসবের কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। এর মানে হলো রাজস্ব ব্যয়ের ক্ষেত্রেও, বিশেষ করে এডিপি ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। কিন্তু ২০২৪ সালের যে প্রাক্কলনগুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলো এ নিম্নগতির নতুন পরিস্থিতি, সেটাকে একদম বিবেচনা করে করা হয়নি। কিন্তু আগামী বছরের রাজস্ব ব্যয়ের যে কাঠামো, তা একেবারেই বাস্তবতাবিবর্জিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সমাপনী পরিসংখ্যানগুলো পাই, তাহলে বিষয়গুলো আরো পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি অর্জনের হিসাব মেলানোর জন্য ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ করে ফেলা হয়েছে। এটা পুরোপুরি গোঁজামিলের সংখ্যা। প্রবৃদ্ধির জন্য যে বিনিয়োগ দরকার, তার পুরোটা তো সরকারি খাত থেকে আনা যায় না। সরকারি খাতেরটা তো খুবই পরিমাপযোগ্য একট জিনিস। বিশেষ করে এডিপি। কিন্তু এটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুদ্রানীতি, বাণিজ্যনীতি, ব্যাংকিং ইত্যাদির সমন্বয় করা হয়নি। বাজেট প্রস্তুতকালে যে নীতি সমন্বয় দরকার, তা হয়নি।’
লেনদেন ভারসাম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সময়োপযোগী কৌশলের প্রভাবে লেনদেন ভারসাম্যের অস্থিতিশীলতা কমে এসেছে। আগামী অর্থবছরেও আমরা সতর্ক থাকব এবং সংকুলানমূলক নীতি গ্রহণ করব। মুদ্রা বিনিময় হার ক্রমান্বয়ে বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে বিদ্যমান একাধিক মুদ্রা বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য সঠিক মূল্যে পণ্য আমদানি নিশ্চিত করা এবং ঋণপত্র খোলা, নিষ্পত্তি ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে প্রক্রিয়াগত বিধিনিষেধ আরোপ, বাস্তবায়ন ও নজরদারি আগামীতেও চলমান থাকবে।’
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, আমদানি কমার প্রভাবে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ও চলতি হিসাবের ঘাটতি কমলেও লেনদেন ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বিওপি) ঘাটতি কমেনি। বরং অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বিওপির ঘাটতি অনেক বেশি স্ফীত হয়েছে। মার্চ শেষে বিওপির ঘাটতি ঠেকেছে ৮ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিওপির ঘাটতি ছিল প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির এ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশকের বড় ঘাটতি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বড় ধরনের চাপে পড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিওপির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বিওপির ঘাটতির পরিমাণ ৮ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
এবারের বাজেট সময়োপযোগী হয়নি বলে মনে করছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির সামষ্টিক দুটো চ্যালেঞ্জ—মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট এখানে অ্যাড্রেস হয়নি। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখা যে কঠিন হবে তা বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে। সেটার সঙ্গে বাজেটের সম্প্রসারণমূলক অবস্থান সংগতিপূর্ণ না। আমাদের যদি এখন ৫০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকত, মূল্যস্ফীতি যদি ৪-৫ শতাংশের মতো হতো তাহলে বলতাম যে একটা সম্প্রসারণমূলক বাজেট অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক। সে অবস্থা তো নেই। মঙ্গলজনক হওয়ার সুযোগটা এখন কম। বরং সম্প্রসারণমূলক হলেই মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি, বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যের ওপর যে চাপ, সেটা বেড়ে যাচ্ছে।’
এসডব্লিউ/এসএস/১২৩৫
আপনার মতামত জানানঃ