নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি বরাবর ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের করা অভিযোগ অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন দাবি করেন।
সিইসি নূরুল হুদা বলেন, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে- তাই বিষয়টি স্পষ্ট করতে এ সংবাদ সম্মেলন। ইসিকে দায়ী করে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা অনভিপ্রেত ও আদৌ গ্রহণযোগ্য নেয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযোগগুলোর বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যয়ে আর্থিক অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যাবহারের অভিযোগও অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম ক্রয়ের সাথে সরাসরি নির্বাচন কমিশন যুক্ত নয়।… সুতরাং বিবৃতিতে যা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অসদাচরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা-ও অসত্য। ২০১৮ সালের নির্বাচন বিদেশি কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তোলেননি। গণমাধ্যমও কোনো অভিযোগ করেনি। বরং অনিয়মের কারণে বহু স্থানীয় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি পদে ২-৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট পড়েছে ৬০ থেকে ৮০ ভাগ।নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা চলে গেছে এ খবর ভিত্তিহীন।
এসডব্লিউ/নসদ/১৮১৫
আপনার মতামত জানানঃ