বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংসদ সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেছেন, মার্কিন পদক্ষেপের কারণে ইউরোপ ইউনিয়নসহ বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এয়ারবাস, পেজো এবং সিতেরোনের মতো বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইরানসহ বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যবসা করে থাকে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে সে ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় সমস্ত কোম্পানিকে বলেছে, যদি তারা ইরানসহ আমেরিকার শত্রু দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করে তাহলে আমেরিকার সঙ্গে তারা ব্যবসা করতে পারবে না।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইনস্টেক্স এবং ব্লকিং স্টাটিউটের মতো ব্যবস্থা অকার্যকর হয়েছে বলে সংসদ সদস্যরা ওই বিতর্কে মত প্রকাশ করেছেন।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে এবং যার খেসারত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে দিতে হচ্ছে। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বাইরে বেরিয়ে স্বাধীনভাবে পথচলা শুরু করতে পারে, তাহলে ২৭ জাতির এ জোটে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। রাশিয়া, ইরান এবং কিউবার মতো দেশে ইউরোপ ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য রয়েছে বিশাল বাজার।
আপনার মতামত জানানঃ