বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি বৈঠক বা সাক্ষাৎকে রুটিন কর্মসূচি হিসেবে দেখা হয় রাজনীতিতে। নির্বাচনের বছর খানেক আগে এমন বৈঠক খুব স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে এ নিয়ে নানা রকম জল্পনা চলতে থাকে। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপির নেতাদের বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়াকে ভালো চোখে দেখেননি।
এবার যারা ক্ষমতায় থাকেন, তারা বিরোধী দলের ন্যায্য দাবিও আমলে নেন না। ফলে বিরোধী দলের কাছে দুটি বিকল্প থাকে। প্রথমত গণমাধ্যমের মাধ্যমে তাদের দাবিদাওয়ার কথা দেশবাসীকে জানানো; দ্বিতীয়ত বিদেশিদের কাছে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরে দাবি মানতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, চাপ দিয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু আদায় করা যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
সংবিধান অনুযায়ী ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও নির্বাচন হয়েছিল। সংবিধান অনুযায়ী ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতেও নির্বাচন হয়েছিল। প্রতিটি নির্বাচনের পর সংসদও গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তাতে নির্বাচন সমস্যার সমাধান হয়নি। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না বলে আমরা নির্দলীয় ব্যবস্থা কায়েম করলাম। আবার সেটি বাতিলও করলাম। কিন্তু নির্বাচনী সমস্যার সমাধান করতে পারলাম না। এর পুরো দায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির ওপর চাপালে হবে না। দায় আওয়ামী লীগকেও নিতে হবে।
‘কোনো ক্ষমতাধর দেশেরও কিছু করার নেই’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা তৎপরতা শুরু করেছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। সরকারের মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনসহ (ইসি) রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করছে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূতরা। তাদের আলোচনায় উঠে আসছে নির্বাচন প্রসঙ্গ।
এদিকে বিদেশি কূটনীতিকদের নড়াচড়ায় বক্তব্য রাখছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও। দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ‘বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া রাজনৈতিক দৈন্যতার বহিঃপ্রকাশ’ বলে তারা অভিযোগ করেছেন। এমনকি বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে ‘কোনো ক্ষমতাধর দেশেরও কিছু করার নেই’ বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মন্তব্য করেছেন।
অবশ্য বিদেশিদের এই তৎপরতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা পক্ষে-বিপক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশের গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, নির্বাচনের এক থেকে দেড় বছর আগে বিভিন্ন বিদেশি দূতরা নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারের নানা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করে নির্বাচন ইস্যুতে আলোচনা করে। রাজনীতিকদের সৌজন্যে ডিনারেরও আয়োজন করতে দেখা যায় প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের।
এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে সেই তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর কূটনীতিকদের তৎপরতা জোরদার হয়েছে।
বর্তমান কমিশন গঠনের পর গত ৮ জুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২৬ জুন সাক্ষাৎ করেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর। এরপর গত ৩ জুলাই একসঙ্গে ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত যান ইসিতে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ৩৮টি দেশের মধ্যে সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, তুরস্ক এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই তিনটি সাক্ষাতেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাতে তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় বলে জানিয়েছে। এজন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
এদিকে ৭ জুন ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী বছরের শেষে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিদিন খবর প্রচার করছে। নির্বাচনের ব্যাপারে আমি সরকারের দিক থেকে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি লক্ষ করেছি। আমি আশা করবো, গতবারের তুলনায় এবার ভালো, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার পদক্ষেপ নেবে।’ তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তারা উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
বিএনপির সঙ্গে সাক্ষাৎ
গত ১৩ জুলাই ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ১২ জুলাই জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে সাক্ষাৎ করেন। অবশ্য দুটি সাক্ষাতের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপরে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ মার্চ জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টারের সাথে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎ হয়। অবশ্য ওই সাক্ষাতের আলোচনা নিয়ে বিএনপি নেতারা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে অন্য একটি অনুষ্ঠানে জার্মান দূত বিরক্তি প্রকাশ করেন।
আ’লীগের প্রতিক্রিয়া
কূটনীতিকদের এ ধরনের তৎপরতার সমালোচনা করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘তারা আমাদের অতিথি। আমরা তাদের সম্মান দেখাই। কিন্তু অতিথিদেরও একটি সীমারেখা থাকা উচিত। বাউন্ডারি কতটা ক্রস করবে বা করবে না। এই বাউন্ডারি ক্রস করার সুযোগ কিন্তু তাদের আমরাই করে দিচ্ছি। নিজেদের ছোট করে তাদের কাছে উপস্থাপন করলে তারা তো মাথায় চড়তে চাইবে। তবে বাংলাদেশ এখন কারও মাতব্বরি নেওয়ার জায়গায় নেই। আমাদের কোনও দৈন্যতা নেই। কোন দুর্বলতা নেই।’
ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা অতিথি হিসেবে গিয়েছে। আর অতিথির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না, এটাই স্বাভাবিক। তাদের কাছে গেলে তারা তাদের কর্মকাণ্ড ব্যাখ্যা নিশ্চয় দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন কেন স্পষ্টভাবে বলতে পারেনি উই আর ইনডিপেনডেন্ট অরগানাইশেজন। আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে। এটা কেন পারেনি সেটার ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবে।’
এদিকে বিএনপির সাথে কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের বিষয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সবসময় বিদেশিদের কাছে ছুটে যায়। বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছে তাদের দৌড়ঝাঁপ। কিন্তু এ দেশের মালিক হচ্ছে দেশের জনগণ, তারাই প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। কোনও বিদেশি রাষ্ট্রদূত কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি কাউকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার রাখে না।
ড. হাছান বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানোও সমীচীন নয়। কিন্তু তারা নাক গলাতে না চাইলেও আমরা দেখি বিএনপি তাদের নাকটা নিয়ে ওদের কাছে যায়। এটি দেশকে ছোট করার শামিল। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ না করে জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য। সেটি বরং বিএনপির জন্য মঙ্গলকর হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি যতই বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলুক; এতে কোনও লাভ হবে না। যুক্তরাষ্ট্র যত বড় ক্ষমতাধর দেশই হোক না কেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে তাদের কোনও কিছু করার নেই।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিদেশিদের কাছে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা মোটেও কাম্য নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে যেকোনও সমস্যা আমরা নিজেরাই বসে সমাধান করতে পারি। আর যদি না পারি কোনও বিদেশি এসে তা সমাধান করতে পারবে না। বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া রাজনৈতিক দৈন্যতার বহিঃপ্রকাশ।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। একই দিন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাইরের কারোর কথা বলার কথা না। অন্য কোনও দেশের নির্বাচন নিয়ে যেমন আমার মন্তব্য করা দায়িত্ব নয়। আমরা হয়তো কোনও কোনও ব্যাপারে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি।’
বিশ্বের অনেক দেশেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশেও নির্বাচন বিতর্কের ঊর্ধ্বে না। যেসব দেশ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ করে দিচ্ছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে দেশের জনগণ কারও নাক গলানো পছন্দ করে না, করবেও না।
বিএনপির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা না থাকায় শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা নিজের দেশকে ছোট করছে। কোনও বিদেশি তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। সেই ক্ষমতাও তারা রাখে না।
তিনি বলেন, বিদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ একটি কূটনীতিক সম্পর্ক। এ সম্পর্ক আমাদের রাখতে হবে। কিন্তু তাদের কাছে যদি আমার বাড়ির কথা বলি তারা আমার সংসারে নাক গলাবেই। অর্থাৎ বিদেশিদের সুযোগটা আমরাই করে দিচ্ছি যে তুমি এসে আমার বাড়িতে মাতব্বরি করো।
ড. শাম্মী বলেন, অনেক দেশের নির্বাচন নিয়ে তো অনেক কথা শোনা যায় কিন্তু তা নিয়ে বাংলাদেশ কী কথা বলতে গেছে? তাহলে আমাদের দেশ নিয়ে কেন নাক গলায়। তারা কেন আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায় বা তৎপরতা দেখাতে চায়।
বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন ভিন্ন মত
নির্বাচন ইস্যুতে বিদেশিদের তৎপরতার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ উজ জামান বাংলা বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে বিদেশিদের এ ধরনের তৎপরতা সমর্থনযোগ্য ও কাম্য নয়। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এটাকে আমি ওয়েলকাম করি না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের চেয়ে বিভিন্ন দেশে অনেক বড় বড় সমস্যা রয়েছে। আমাদের নির্বাচন তো আইন ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই হয়। তারপরও কোন সমস্যা থাকলে সেটা দেশের জনগণই তা মিট করবে। আমি মনে করি বিদেশিদের এ ধরনের হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দেশের নাগরিক হিসেবে সকলের সচেতন থাকা উচিত। তাদের কোনও ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো উচিত নয়।
যদিও ‘ভোট এখনও দেড় বছর বাকি আছে’ উল্লেখ করে অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান বলেন, এরমধ্যে গঙ্গার জল অনেক দূর গড়াবে। কূটনীতিকদের এই তৎপরতা সবসময় দেখা যায় এবং তারা এটা করবেও। আমরা দেখতে পাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্র এখানে খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেখাচ্ছে, ভারতও হয়তো দেখাবে। আমাদের নির্বাচন ঠিকমতো হবে বলে বলা হয়, কিন্তু হয় না। আর উনারা না এলে তো আবারও আগের মতো অবস্থা হবে। আমাদের এখানে ফেয়ার ইলেকশনের জন্য ডিপলোম্যাটরা কোনও উদ্যোগ নিলে সেটা একটা গুড সাইন। অবশ্য সরকার খুব এটা পছন্দ করে বলে মনে হয় না।
এসডব্লিউ/এসএস/১৩৫০
আপনার মতামত জানানঃ