State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • পুরুষত্বহীন হয়ে পড়ছে আরব তরুণরা, বাড়ছে যৌন শক্তি বর্ধক ঔষধের ব্যবহার
    • পডকাস্ট : দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদী বক্তব্যের পাঠক-শ্রোতা-দর্শক ক্রমশ বাড়ছে
    • সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ১৪ রাষ্ট্রদূতের, চাপে ইসি
    • যেখানে জীবিত আর মৃতরা বাস করে একসাথে, করে খেলাধুলাও
    • জলবায়ু বিপর্যয়ের পাশাপাশি নদী ধ্বংস করছে চীনের জলবিদ্যুৎ বাঁধ
    • মাস্ক পরার অনীহা ও উদাসীনতায় ভয়ংকর রূপ নেবে করোনার ৪র্থ ঢেউ
    • বন্যায় মৃত ৯৫ জন: ৬ বছরে বন্যায় যে ক্ষতি, তা দিয়ে ৩ টির বেশি পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্ভব
    • সৌদিতে ভেঙে পড়ছে ইসলামিক বিধিনিষেধ: সহজ হলো বিধর্মী নারীকে বিয়ে
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      জুন ২৯, ২০২২

      পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষককে জুতার মালা: যেভাবে দায় এড়াচ্ছে পুলিশ সদস্যরা

      Recent
      জুন ২৯, ২০২২

      পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষককে জুতার মালা: যেভাবে দায় এড়াচ্ছে পুলিশ সদস্যরা

      জুন ২৮, ২০২২

      ভবিষ্যতে র‍্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে না, এই নিশ্চয়তা চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

      জুন ২৮, ২০২২

      মহাসড়কে পুলিশের ‘চাঁদাবাজি’: সড়ক অবরোধ করে রিক্সাচালকদের বিক্ষোভ

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      জুলাই ২, ২০২২

      আ’লীগপন্থী গণমাধ্যম: বন্যার্তদের উপেক্ষা করে পদ্মাসেতু উদ্বোধন সরকারের

      Recent
      জুলাই ২, ২০২২

      ৬ মাসে সাম্প্রদায়িক হামলায় ৭৯ জনের মৃত্যু, ধর্ষণের শিকার ১৩ নারী

      জুলাই ২, ২০২২

      পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক আয়াজ আমিরের ওপর হামলা

      জুলাই ২, ২০২২

      আ’লীগপন্থী গণমাধ্যম: বন্যার্তদের উপেক্ষা করে পদ্মাসেতু উদ্বোধন সরকারের

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      জুলাই ১, ২০২২

      ৩৫টি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও ৩০০ আসনে ইভিএম চায় আ’লীগ— কেন?

      Recent
      জুলাই ৪, ২০২২

      পুরুষত্বহীন হয়ে পড়ছে আরব তরুণরা, বাড়ছে যৌন শক্তি বর্ধক ঔষধের ব্যবহার

      জুলাই ৩, ২০২২

      সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ১৪ রাষ্ট্রদূতের, চাপে ইসি

      জুলাই ৩, ২০২২

      জলবায়ু বিপর্যয়ের পাশাপাশি নদী ধ্বংস করছে চীনের জলবিদ্যুৎ বাঁধ

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      জুলাই ২, ২০২২

      কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে না সরকার, উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে

      Recent
      জুলাই ২, ২০২২

      ৬ মাসে সাম্প্রদায়িক হামলায় ৭৯ জনের মৃত্যু, ধর্ষণের শিকার ১৩ নারী

      জুলাই ২, ২০২২

      বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ঢাকার বস্তিবাসী

      জুলাই ২, ২০২২

      কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে না সরকার, উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      জুন ২৯, ২০২২

      ইউরোপে আশ্রয় প্রার্থনায় রেকর্ড, শীর্ষ ৫-এ বাংলাদেশ

      Recent
      জুলাই ২, ২০২২

      ৬ মাসে সাম্প্রদায়িক হামলায় ৭৯ জনের মৃত্যু, ধর্ষণের শিকার ১৩ নারী

      জুলাই ২, ২০২২

      বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ঢাকার বস্তিবাসী

      জুলাই ১, ২০২২

      নিরাপদ হয়নি কর্মক্ষেত্র, শ্রমিক মৃত্যু বাড়ছেই

    • আর্কাইভ
    State Watch
    বিশ্ব

    যেভাবে আমেরিকার আধিপত্যবাদের গতিকে থমকে দিল ইউক্রেন যুদ্ধ

    ডেস্ক রিপোর্টBy ডেস্ক রিপোর্টজুন ২৪, ২০২২No Comments7 Mins Read
    ছবি: নিকেই এশিয়া

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের আগে বেশ কিছু ভুল ধারণা করলেও, তার একটা ধারণা সঠিক ছিল। আর তা হলো ইউরোপ বাদে অন্যান্য দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করবে না। যেদিন যুদ্ধ শুরু হলো সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পুতিনকে ব্রাত্য ঘোষণা করবে। কিন্তু সত্য হলো এই যে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের কাছেই পুতিন ব্রাত্য নন।

    বিগত দশক থেকেই রাশিয়া ক্রমশ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, লাতিন আমেরিকা, ও আফ্রিকাতে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছিল। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পরে ক্রেমলিন আর বেইজিং-এর সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলো যখন রাশিয়াকে একঘরে রাখার চেষ্টা করছে, বেইজিং বরঞ্চ রাশিয়াকে আরও সাহায্য করছে, পাওয়ার অভ সাইবেরিয়া চুক্তি তারই প্রমাণ।

    যুদ্ধ শুরু হবার পর জাতিসংঘ তিনবার ভোটের আয়োজন করে। দুইবার রাশিয়াকে নিন্দা জানিয়ে আরেকবার রাশিয়াকে মানবাধিকার কমিশন থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে। এসব দাবি যদিও পাশ হয়ে গেছে। কিন্তু পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলো এসব দাবিতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

    মোদ্দা কথা রাশিয়ার এই ইউক্রেন আক্রমণ যে অন্যায় সে বিষয়ে পুরো বিশ্ব একমত নয়, রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারেও তারা উদাসীন। বস্তুত, কিছু রাষ্ট্র রাশিয়ার এই অবস্থা থেকে সুবিধা খোঁজার তালে আছে। রাশিয়া ইস্যুতে অ-পাশ্চাত্য দেশগুলোর এই নীরবতা পাশ্চাত্য ও তার সাথীদের ভাবাচ্ছে তা শুধু এখনকার জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্যও।

    রাশিয়াকে নিন্দাজ্ঞাপনে অস্বীকৃতি দানকারী দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। চীনের সমর্থন ছাড়া পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করতেন বলে মনে হয় না। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বেইজিং-এ শীতকালীন অলিম্পিক শুরুর প্রাক্কালে রাশিয়া-চীন যৌথ চুক্তি সাক্ষরিত হয়। পাশ্চাত্য দেশগুলোর দখলদারির বিরুদ্ধে ‘সীমাহীন’ চুক্তি সাক্ষরিত হয় বেইজিং ও মস্কোর মাঝে। যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত চাইনিজ অ্যাম্বাসেডরের মতে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং পুতিনের এই আক্রমণ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। পুতিন শি-কে চোখ টিপে ইশারা করেছিলেন নাকি বিস্তারিত বলেছেন তা আমরা কখনোই জানতে পারব না।

    কিন্তু একটা বিষয় তো সত্য আর চীন তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। তা হলো যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকেই রাশিয়াকে অকুণ্ঠ সমর্থন; বেইজিং জাতিসংঘে রাশিয়াকে নিন্দাজ্ঞাপনে ক্ষান্ত ছিল, আবার রাশিয়াকে মানবাধিকার পরিষদ থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারেও বিরুদ্ধে অবস্থান করে। চীনের সংবাদমাধ্যমগুলো রাশিয়ান প্রোপাগান্ডা, ইউক্রেনের সামরিক শক্তিক্ষয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কারণেই যুদ্ধ হয়েছে এমনটাই ফলাও করে প্রচার করছে। রাশিয়ান সৈন্যদের করা বুচা হত্যাকাণ্ডকে চীনের গষমাধ্যম স্বাধীন তদন্ত বলেই প্রচার করছে।

    কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান পরস্পরবিরোধী। প্রত্যেকটা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতায় বিশ্বাসী চীন, এমনকি ইউক্রেনেরও। চীন খুব শীঘ্রই এই যুদ্ধের অবসান চায়। এদিকে ইউক্রেন চীনের বড় বাণিজ্য সহযোগী, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রক্রিয়ার অংশ ইউক্রেন। তাই চীন চাইবে না ইউক্রেন আর্থিক সংকটে পড়ুক, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

    এসব স্বত্ত্বেও শি পুতিনকেই সমর্থন করছেন। পুতিন আর শি দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার ঘোরবিরোধী। তাই তারা দুজনেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরি করতে।

    চীনের জন্য এই নতুন বিশ্বব্যবস্থা হবে নিয়মতান্ত্রিক। অন্যদিকে পুতিনের বিশ্বব্যবস্থায় নিয়ম-নীতির বালাই থাকবে না। দুই দেশেরই অভ্যন্তরীণ ও মানবাধিকার বিষয়ে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর নাক গলানো ভালো ভাবে নেয়না। চীন আর রাশিয়া দুই দেশেরই নিজেদের টিকিয়ে রাখতে কর্তৃত্ববাদী বিশ্বব্যবস্থা দরকার। ফলে ইউক্রেনের ক্ষতি হলেও চীন চুপ থাকবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

    চীনের অনেক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ইউরোপে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে। রাশিয়ার চাইতেও চীন অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে বেশি পড়বে যদি আমেরিকা চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাইওয়ানের উপর যদি চীন এই আগ্রাসন চালাতো তাহলে কি হতো চীন এটা নিয়ে ভাবছে। চীন খুব ভালোভাবে এই নিষেধাজ্ঞা থেকে শিক্ষা নিচ্ছে।

    রাশিয়ার পক্ষের শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক এ দেশ কোয়াডের সদস্য। জাতিসংঘের তিন দাবির বিপক্ষে ছিল ভারত ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা জানানো হয় ভারত এখানেও ভোট দানে বিরত ছিল। বুচায় ঘটে যাওয়া সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ডকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘উদ্বেগজনক’ বলেছেন এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় অ্যাম্বাসেডর ফের বলেছেন তারা একটি ‘স্বাধীন তদন্তের’ আহ্বান জানান। তবে কেউই এর জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করেননি।

    ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর রাশিয়াকে বিভিন্ন কারণে ভালো বন্ধু বলে স্বীকার করেছেন। আর ভারত রাশিয়া থেকে ক্রমাগত অস্ত্র ও তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। বস্তুত ভারত মস্কোর অস্ত্র কেনাবেচায় অন্যতম গ্রাহক, ভারতের দুই তৃতীয়াংশ অস্ত্র তাদের থেকেই কেনা। যুক্তরাষ্ট্রের উপ স্টেট সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নালান্ড মনে করেন, ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি অনিচ্ছায় রাশিয়ার প্রতি অস্ত্র নির্ভরতা বাড়িয়েছে ভারতের। স্নায়ুযুদ্ধকালীন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল এই ভারতই।

    রাশিয়ার প্রতি নিন্দাজ্ঞাপনে অস্বীকৃতি জানানোর কিছু কারণ তো মোদির অবশ্যই আছে। চীন এখানে বড় খেলোয়াড়। ভারত রাশিয়াকে নির্ভরযোগ্য সমতারক্ষাকারী মিত্র ভাবছে চীনের বিপক্ষে। ২০২০ সালে সীমানাযুদ্ধে রাশিয়া মধ্যস্থতাকারী ছিল। তার ওপর স্নায়ুযুদ্ধকালীন নিরপেক্ষতা নীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সন্দেহবাতিকতা রাশিয়ার প্রতি সহমর্মিতা বাড়িয়েছে। এছাড়া ভারতকে এখন সমন্বয় করে চলা লাগবে কোয়াডের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও।

    বিগত দশকে পুতিনের কূটনৈতিক সাফল্যের একটা হলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে পুনরায় সম্পর্কোন্নয়ন। সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকার সময় যে রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক ছিলনা সেসব রাষ্ট্রগুলোর দিকেও নজর দিয়েছে পুতিন। রাশিয়াই একমাত্র ক্ষমতাশালী দেশ যে মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছে। সৌদি আরব তো বটেই, ইরান, সিরিয়া ও ইসরায়েলের সাথেও সুসম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে খাদ্য সরবরাহ সেটারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    যদিও বেশিরভাগ আরব দেশগুলো রাশিয়াকে নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের প্রথম ভোটে। আরব লীগের ২২টি রাষ্ট্র নিজেদের বিরত রেখেছিল নিন্দাজ্ঞাপনে। কিছু রাষ্ট্র মানবাধিকার কমিশন থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারেও অপারগ ছিল। আমেরিকার কথিত অন্ধ অনুগত রাষ্ট্র যেমন সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশর ও ইসরায়েল এখনো রাশিয়ার বিপক্ষে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। উপরন্তু পুতিন ও সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দুইবার ফোনে কথা বলেছেন যুদ্ধ শুরুর পর।

    ইসরায়েলের অবস্থান নির্ভর করছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ওপর রাশিয়ার সমর্থনের প্রতি। এখানে শুধু রাশিয়া নয়, ইরানেরও উপস্থিতি আছে। সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি সৈন্যদের নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে চুক্তি হয় ইসরায়েলের সাথে। এ চুক্তি সফল হতে সাহায্য করে রাশিয়া। ইসরায়েলের ভয় এই যে রাশিয়াকে চটানোর ফলে উত্তর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ইসরায়েল ইউক্রেনে মেডিকেল ও মানবিক সাহায্য পাঠালেও অস্ত্র দেয়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফাতালি বেনেট রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন, যদিও তা ফলপ্রসূ হয়নি।

    মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের রাশিয়া সমর্থনের পেছনে কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সন্দেহ ও এসব অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সমালোচনা করার জন্য। এই অঞ্চলে একমাত্র সিরিয়া শক্ত রাশিয়াপন্থী কেননা রাশিয়ার সেনাসমর্থন ছাড়া আসাদের মসনদ বেশিদিন টিকত না।

    সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার চোখ আফ্রিকাতেও নিবন্ধ ছিল। রাশিয়ান ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপ আফ্রিকাতে অনেক সচল। বেশিরভাগ আফ্রিকান দেশ রশিয়ান আগ্রাসনের নিন্দাজ্ঞাপনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে, আবার মানবাধিকার কমিশন থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এমনকি ব্রিকস-এর সদস্য দক্ষিণ আফ্রিকাও নীরব।

    অনেক আফ্রিকান রাষ্ট্র রাশিয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরসূরি ভাবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন উপনিবেশবিদ্বেষী ছিল। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের বড় সমর্থক ছিল। যে কারনে বর্তমান আফ্রিকান নেতারা এখনো কৃতজ্ঞবোধ করেন। আমেরিকা-বিদ্বেষী মনোভাব এখানেও কাজ করেছে, মধ্যপ্রাচ্যের মতো।

    শুধু আমেরিকা নয় রাশিয়ারও কিছু অনুগত রাষ্ট্র আছে। নিশ্চিতভাবে কিউবা, ভেনিজুয়েল ও নিকারুগুয়া মস্কো সমর্থন করছে, কিন্তু আরও কিছু লাতিন আমেরিকার দেশ রাশিয়াকে সমর্থন করছে। ব্রিকস-এর সদস্যরাষ্ট্র ব্রাজিলও নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করছে এবং প্রেসিডেন্ট জাইর বলসনারি রাশিয়া সফর করে গিয়েছেন আক্রমণের কিছুদিন আগে। ব্রাজিল রাশিয়ার ‌ওপর কৃষি স্যারের জন্য অনেক নির্ভরশীল।

    উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোও নিন্দাজ্ঞাপনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল একটি পার্টিরও আয়োজন করেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাশিয়ান অ্যাম্বাসেডরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে। ১৯৭০ সালের দিকের ঐতিহ্যবাহী বাম আন্দোলনের বীজই একমাত্র ব্যাখ্যা করতে পারে মেক্সিকোর এই আমেরিকাবিদ্বেষী মনোভাব আর সেই সঙ্গে রাশিয়াকে সমর্থনের মাধ্যমে পাশ্চাত্যকে চ্যালেঞ্জ জানানো।

    বাকি দেশগুলো পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যারও বেশি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু বাকি নিন্দা না জানানো বা রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়া দেশগুলোর চাইতে পাশ্চাত্যের মিলিত জিডিপি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা, ভূরাজনৈতিক শক্তিমত্তা বেশি।

    তবুও পাশ্চাত্য ও বাকি দেশগুলোর মাঝে যে বিভাজন দেখা গেল তা যুদ্ধ শেষ হলেও থেকে যাবে। ভারত ও চীন গুরুত্বপূর্ণ দুই দেশ যারা পুতিনকে ব্রাত্য ঘোষণা করবে না, এমনকি যুদ্ধ শেষ হলেও। নভেম্বরে হতে যাওয়া পরবর্তী জি-২০ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে তারা পুতিনের উপস্থিতি কামনা করছে।

    প্রাণঘাতী এ যুদ্ধ শেষে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর মাধ্যমে আমেরিকা তার সামরিক শক্তি আরও বাড়াবে। পুতিনের স্বপ্ন যদি ন্যাটোর ক্ষমতা কমানো হয়, তাহলে পুতিন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা লাভ করলেন বলা যায়। ইউক্রেন আক্রমণের ফলে ন্যাটোর মিত্রদের মাঝে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত তো হলোই, সেই সঙ্গে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যুক্ত হয়ে ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্র বাড়াল। পুতিন যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন বা পুতিনের পর যিনি থাকবেন, ততদিন ন্যাটো আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবে।

    এসডব্লিউ/এসএস/১৯২০

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    চীন-রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-ইউক্রেন

    Related Posts

    মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যেভাবে সৌদিকে পেছনে ফেলে চীনের সর্ববৃহৎ জ্বালানি তেল সরবরাহক রাশিয়া 

    যুদ্ধে ইউক্রেনে ৬৮২ শিশু নিহত বা আহত: কতটা দায় পশ্চিমাদের?

    রাশিয়ান সীমান্তের কাছে ন্যাটোর সামরিক মহড়া: চীন-তুরস্ক-রাশিয়ার হুমকি

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    জুলাই ৪, ২০২২

    পুরুষত্বহীন হয়ে পড়ছে আরব তরুণরা, বাড়ছে যৌন শক্তি বর্ধক ঔষধের ব্যবহার

    জুলাই ৩, ২০২২

    পডকাস্ট : দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদী বক্তব্যের পাঠক-শ্রোতা-দর্শক ক্রমশ বাড়ছে

    জুলাই ৩, ২০২২

    সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ১৪ রাষ্ট্রদূতের, চাপে ইসি

    জুলাই ৩, ২০২২

    যেখানে জীবিত আর মৃতরা বাস করে একসাথে, করে খেলাধুলাও

    জুলাই ৩, ২০২২

    জলবায়ু বিপর্যয়ের পাশাপাশি নদী ধ্বংস করছে চীনের জলবিদ্যুৎ বাঁধ

    সর্বাধিক পঠিত
    • দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদী বক্তব্যের পাঠক-শ্রোতা-দর্শক ক্রমশ বাড়ছে
      জুলাই ১, ২০২২
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      আমাদের বই পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। যেসব পরিবর্তন এসেছে, তার অনেকগুলোই...
    • আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকছে জামায়াত!
      জুন ২৯, ২০২২
      By নিজস্ব প্রতিবেদক
      জোট গড়ে, জোট ভাঙে এবং নির্বাচন এগিয়ে এলে জোট গঠন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। চিত্রটা মোটামুটি এমনই বাংলাদেশে। আগামী জাতীয়...
    • পডকাস্ট : দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদী বক্তব্যের পাঠক-শ্রোতা-দর্শক ক্রমশ বাড়ছে
      জুলাই ৩, ২০২২
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক যে দেশ গড়ার কথা ছিল, সে দেশটি আসলে গড়ে তোলা যায়নি। বরং, ধর্মব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে গেছে দেশ।...
    • মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি: ভারতে হিন্দু দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করল দুই মুসলিম
      জুন ২৯, ২০২২
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      ভারতের রাজস্থানে এক দর্জিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুই দুর্বৃত্ত। মঙ্গলবার ক্রেতা সেজে দর্জির দোকানে...
    • ‘ নাস্তিক, হিন্দু বলে মুসল্লিরা বাসায় হামলা করে’
      জুলাই ১, ২০২২
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও গবেষক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে।এ সময় এই অধ্যাপক ও তার গাড়িচালককে লাঞ্ছিত...
    আলোচিত ভিডিও
    https://www.youtube.com/watch?v=W7Wq7xdUWkI
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২২ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.