State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ, উত্তাল পাকিস্তান
    • সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম সমলিঙ্গের বিয়ে
    • মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি ও মোদির ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি নিয়ে যা বললেন অরুন্ধতী
    • এক দিনে শনাক্ত প্রায় ২ হাজার: করোনার নতুন উপধরণ কি টিকাকে অকার্যকর করতে সক্ষম?
    • পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক আয়াজ আমিরের ওপর হামলা
    • কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে না সরকার, উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে
    • আ’লীগপন্থী গণমাধ্যম: বন্যার্তদের উপেক্ষা করে পদ্মাসেতু উদ্বোধন সরকারের
    • দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের করের টাকা নেয়ার ইতিহাস
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      জুন ২৯, ২০২২

      পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষককে জুতার মালা: যেভাবে দায় এড়াচ্ছে পুলিশ সদস্যরা

      Recent
      জুন ২৯, ২০২২

      পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষককে জুতার মালা: যেভাবে দায় এড়াচ্ছে পুলিশ সদস্যরা

      জুন ২৮, ২০২২

      ভবিষ্যতে র‍্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে না, এই নিশ্চয়তা চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

      জুন ২৮, ২০২২

      মহাসড়কে পুলিশের ‘চাঁদাবাজি’: সড়ক অবরোধ করে রিক্সাচালকদের বিক্ষোভ

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      জুলাই ২, ২০২২

      আ’লীগপন্থী গণমাধ্যম: বন্যার্তদের উপেক্ষা করে পদ্মাসেতু উদ্বোধন সরকারের

      Recent
      জুলাই ২, ২০২২

      পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক আয়াজ আমিরের ওপর হামলা

      জুলাই ২, ২০২২

      আ’লীগপন্থী গণমাধ্যম: বন্যার্তদের উপেক্ষা করে পদ্মাসেতু উদ্বোধন সরকারের

      জুলাই ১, ২০২২

      ‘ নাস্তিক, হিন্দু বলে মুসল্লিরা বাসায় হামলা করে’

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      জুলাই ১, ২০২২

      ৩৫টি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও ৩০০ আসনে ইভিএম চায় আ’লীগ— কেন?

      Recent
      জুলাই ২, ২০২২

      স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ, উত্তাল পাকিস্তান

      জুলাই ২, ২০২২

      সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম সমলিঙ্গের বিয়ে

      জুলাই ২, ২০২২

      মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি ও মোদির ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি নিয়ে যা বললেন অরুন্ধতী

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      জুলাই ২, ২০২২

      কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে না সরকার, উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে

      Recent
      জুলাই ২, ২০২২

      কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে না সরকার, উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে

      জুলাই ২, ২০২২

      আ’লীগপন্থী গণমাধ্যম: বন্যার্তদের উপেক্ষা করে পদ্মাসেতু উদ্বোধন সরকারের

      জুলাই ১, ২০২২

      ‘ নাস্তিক, হিন্দু বলে মুসল্লিরা বাসায় হামলা করে’

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      জুন ২৯, ২০২২

      ইউরোপে আশ্রয় প্রার্থনায় রেকর্ড, শীর্ষ ৫-এ বাংলাদেশ

      Recent
      জুলাই ১, ২০২২

      নিরাপদ হয়নি কর্মক্ষেত্র, শ্রমিক মৃত্যু বাড়ছেই

      জুলাই ১, ২০২২

      শিক্ষক লাঞ্ছনার ধরন পূর্বপরিকল্পিত ও পদ্ধতিগত নিপীড়ন

      জুলাই ১, ২০২২

      গত মাসে ৯ শিশু ও ১০ নারীসহ ১৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার

    • আর্কাইভ
    State Watch
    ইতিহাস

    রঘু ডাকাত: কেন ডাকাত হয়েও জনপ্রিয় ছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে?

    ডেস্ক রিপোর্টBy ডেস্ক রিপোর্টমে ১৫, ২০২২No Comments6 Mins Read
    ছবি: সংগৃহীত

    ইতিহাসের তথ্যপ্রমাণ বলে, রঘু ডাকাত জন্মেছিলেন অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে, অবিভক্ত বাংলার এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। জন্মসূত্রে তার নাম রঘু ঘোষ। সে প্রায় দুশো বছর আগের কথা। সুতানুটি, গোবিন্দপুর, কলিকাতায় তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবপ্রভুরা। আর বাংলার গ্রামদেশে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে নীলকর সাহেবদের দল।

    নীল চাষে জমির উর্বরতা নষ্ট হতো। অন্য ফসল ফলত না আর। কিন্তু সেসব কথা লালমুখোরা শুনবে কেন! যেসব চাষিরা নিজেদের জমিতে নীল চাষে আপত্তি জানাত, তাদের পেয়াদা দিয়ে তুলে আনত তারা। চলত মারধর, অত্যাচার। বাদ যেত না চাষিদের পরিবার পরিজনেরাও।

    শোনা যায়, রঘু ডাকাতের বাবাও ছিলেন এমনই একজন সাধারণ কৃষক। নীল চাষে রাজি না হওয়ায় নীলকরের পেয়াদা এক রাতে তাকে তুলে নিয়ে যায়। সাহেবকুঠিতে ভয়ংকর অত্যাচারে অসহায়ভাবে মারা যান রঘুর বাবা। বাবার এই নির্যাতন আর অন্যায় মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তরুণ রঘু। এই হত্যার বদলা নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই লাঠি খেলায় বেশ পোক্ত ছিলেন রঘু। নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের সামনে সেই লাঠিকেই অস্ত্র হিসেবে তুলে নিলেন তিনি। তার পাশে এসে দাঁড়াল একরোখা আরো একদল মানুষ। গড়ে উঠল লাঠিয়াল বাহিনী। যাদের প্রথম কাজই ছিল নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

    দলবল নিয়ে একের পর এক নীলকুঠিতে চড়াও হন রঘু ঘোষ। লুটপাট চালান, জ্বালিয়ে দেন নীলকরদের ঘরবাড়ি। ধীরে ধীরে এলাকার অত্যাচারী জমিদার-মহাজনদের ত্রাস হয়ে ওঠেন রঘু।

    শুধু নীলকরদের অত্যাচারের প্রতিশোধ নেওয়াই নয়, ছোটবড় যেকোনো শোষণযন্ত্রের কাছেই রঘু ডাকাত ছিল মূর্তিমান যম। সদলবলে বড়লোকদের বাড়িঘর টাকাপয়সা লুঠ করা শুরু করেছিল তারা। সে সময় যারাই সাধারণ মানুষের সম্পদ কুক্ষিগত করত, তাদের বাড়িতেই হানা দিত রঘু ঘোষের দল। জ্বালিয়ে দেওয়া হতো জমির বেনামি দলিল, পুড়িয়ে দেওয়া হতো অন্যায়ভাবে হস্তগত করা গরিবের ধন-সম্পদের খতিয়ান। প্রায় কপর্দকশূন্য করে ছেড়ে দেওয়া হতো তাদের। কখনো কখনো পিটিয়ে মারা হতো অত্যাচারী শোষক জমিদার জোতদারদের। আর লুণ্ঠিত টাকা পয়সার সবটাই ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়া হতো সাধারণ গরিব প্রজাদের মধ্যে।

    সাধারণ মানুষের মধ্যে দিন দিন বাড়ছিল রঘু ডাকাতের জনপ্রিয়তা। বাড়ছিল শক্তিও। প্রায় এক অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল তারা অত্যাচারী জমিদারদের বিরুদ্ধে। আত্মবিশ্বাস এতটাই বেশি ছিল এই ডাকাতদলের যে ডাকাতির আগে অগ্রিম চিঠি দিয়ে অপরপক্ষকে জানিয়ে লুঠতরাজে আসত। রীতিমতো বলে-কয়ে ডাকাতি আর কী! সেই চিঠি যারা পেত তাদের মনের অবস্থা কেমন হতো কল্পনা করা যায়? গ্রামের বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থাও এক্ষেত্রে সহায় হতো ডাকাতদলের। থানায় যোগাযোগ করে পুলিশ পেয়াদার ব্যবস্থা করতে করতেই ডাকাতির দিন এসে যেত।

    ডাকাতির ব্যাপারে রঘুর দল ছিল অপ্রতিরোধ্য আর নিষ্ঠুরও। এক্ষেত্রে তাদের ভাগ্যকেও বেশ সুপ্রসন্নই বলতে হয়। বহু চেষ্টা করেও পুলিশের জালে একবারের জন্যও ধরা পড়েননি রঘু ডাকাত। উপরন্তু তার ডাকাতি করার অভিনব কায়দাকানুন লোকের মুখে মুখে আরো পল্লবিত হয়ে এক আশ্চর্য রোম্যান্টিসিজমের জন্ম দিয়েছিল।

    কীভাবে শ্বেতাঙ্গ পুলিশদের নাকাল হতে হতো রঘুর চালাকির কাছে, তা নিয়ে বেশ মজার মজার গল্পও। এই জনপ্রিয়তা, সাধারণের ঘরের লোক হয়ে ওঠা, এটাই ছিল রঘু ডাকাতের ক্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। ডাকাত নয়, সাধারণ মানুষের চোখে তারা প্রায় বিপ্লবীর মর্যাদা পেতে শুরু করেছিল সেসময়।

    বাংলার ডাকাতদের অধিকাংশই মা কালীর পরম ভক্ত ছিলেন। অমাবস্যার রাতে ভক্তি সহকারে কালী পুজো করে, সিঁদুর আর বলির রক্ত মেশা তিলক পরে তবেই লুঠপাটের বের হতেন তারা। আর রঘু ডাকাতের কালীভক্তির গল্প! সে তো প্রায় মিথ হয়ে গেছে।

    কলাকাতার যে সাতটা গ্রাম নিয়ে সপ্তগ্রাম বন্দর, তার অন্যতম গ্রাম বাসুদেবপুর। সপ্তগ্রাম থেকে পাণ্ডুয়ার দিকে যেতে পূর্ব দিকে নেমে গেছে এক পায়ে চলা পথ, জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এই পথ এঁকেবেঁকে গিয়ে মিশেছে সুদূর গঙ্গাতীরে, ত্রিবেণীতে। এটা সেই সময়ের কথা যখন গরুর গাড়ি ভিন্ন যানবাহন ছিল না। সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিত ক্রোশের পর ক্রোশ পথ। ত্রিবেণীতে গঙ্গাচানের সংকল্প নিয়ে সে সময় বহু পুণ্যার্থী মানুষের যাতায়াত ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা এই সুঁড়িপথে।

    আপাতদৃষ্টিতে ছায়াসুনিবিড় শান্ত হলেও, ভুক্তভোগীরা জানতেন এ পথ কতো ভয়ঙ্কর! এ পথের উত্তর পাড়ে বাঘটি গ্রাম, এই বাঘটি জয়পুর গ্রামেই সে সময় আস্তানা গেড়েছিল রঘু ডাকাতের দল। তারা দিনের বেলা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো ক্ষেতমজুরের কাজ করত, আর সূর্যাস্তের পর রাতে এলাকার ধনী ও প্রভাবশালীদের বাড়িতে ডাকাতি করতে বেরোত।

    যদিও অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, রঘু ডাকাত খাস কলকাতার মানুষ। কিন্তু তার কাজের জায়গা ছিল হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া এই তিন জেলা। বাংলার অর্ধেকই তখন ঘন জঙ্গল। গহন নদীপথ, আর পায়ে চলা পথে ঠ্যাঙাড়ে, ডাকাত আর জলদস্যুদের বাড়বাড়ন্ত। তাদের উৎপাতে দেশিয় জমিদারদের পাশাপাশি ইংরেজপ্রভুদেরও নাভিশ্বাস উঠেছে তদ্দিনে। নড়ে বসেছে প্রশাসনও। উঁচুতলার আদেশে প্রতিটি থানায় সেসময় খোলা হয়েছিল ডাকাত ধরার আলাদা দফতর। ডাকাতদের গতিবিধি জানার জন্য গুপ্তচর নিয়োগ করেন পুলিশকর্তারা। থানায় থানায় জারি হয় রেড এলার্ট। পুলিশদের চোখে ধুলো দিতে গা ঢাকা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে ডাকাতদেরও। একটা নির্দিষ্ট এলাকায় থিতু না হয়ে তারাও ছড়িয়ে পড়ে জেলায় জেলায়, বাংলার বিস্তৃত প্রান্তরে। রঘু ডাকাতের ক্ষেত্রেও সম্ভবত তেমনটাই ঘটেছিল।

    বাগহাটির জয়পুরের বাসিন্দা বিধুভূষণ ঘোষ সম্পর্কে রঘু ডাকাতের ভাই। দুই ভাই মিলেই দল চালাত সেসময়। পুলিশের ভয়ে সেসময় দুভাই গা ঢাকা দিয়েছিল দেবীপুরের ঘন জঙ্গলে। সেই বনের মধ্যেই তারা প্রতিষ্ঠা করেন আরাধ্যা মা কালীর মন্দির। রঘু ডাকাতের দলবল জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া আসা করা ধনী মানুষজনদের টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে তাদের বেঁধে নিয়ে যেত মায়ের মন্দিরে। এরপর অমাবস্যা বা বিশেষ যোগের দিনে পুণ্যতিথি দেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে পুরোহিত ডেকে হতো নরবলি। এতেই না কি তুষ্ট হতেন করালবদনা মা কালী। এক চূড়াবিশিষ্ট সেই ডাকাত কালীমন্দির আজও আছে।

    লোকশ্রুতি বলে, স্বপ্নাদেশ পেয়ে রঘু এই কালীমূর্তি খুঁজে বের করেছিল এক পুকুরের তলা থেকে। দেবী নিজেই রঘুর পুজো চেয়েছিলেন। এই কালীই বর্তমানে রঘু ডাকাতের কালী নামে জনপ্রিয় ও সিদ্ধেশ্বরী কালী হিসেবে এখনও ভক্তদের পূজা পান। ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীর পুজো করতেন রঘু। আজও দেবীর প্রসাদে একইরকমভাবে ব্যবহার করা হয় পোড়া ল্যাটামাছ।

    ডাকাতদের এই আশ্চর্য দেবীভক্তি দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কালী তো আদতে শক্তিদেবী। গায়ের জোরে লুঠতরাজ করাই যাদের পেশা, তারা কালীপুজো করবে না তো কে করবে? তাছাড়া অনেকে যে বলে, কালী মূলে অন্ত্যজ, সেজন্যই কালো এবং রক্তলোভী- সেটাও এই ডাকাতদের কালীপুজোর রীতিকে সমর্থন করে।

    রবীন্দ্রনাথের ‘বাল্মীকি প্রতিভা’-তেও তো দস্যু রত্নাকরের কালীপুজো ও নরবলির প্রসঙ্গ এসেছে। যেমন রঘু ডাকাতের নরবলির গল্পের সঙ্গে অবলীলায় জড়িয়ে গেছে সাধক কবি রামপ্রসাদের কাহিনি।

    কার্তিকের অমাবস্যা তিথি। কিন্তু সেদিনই পথঘাট আশ্চর্য নিঝুম, জনমানবশূন্য। রঘু পড়লেন মহা বিপাকে। মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে, এদিকে বলির দেখা নেই। ঠিক সেদিনই নিজের বাড়ি হালিশহরে ফিরছিলেন সাধকশ্রেষ্ঠ রামপ্রসাদ। তাড়াতাড়ি ত্রিবেণীর গঙ্গাঘাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দৈবদুর্বিপাকে রঘু ডাকাতের কুখ্যাত জঙ্গলে পা রাখেন তিনি। আর যাবে কোথায়! বলি দেবার উদ্দেশ্যে তাকেই বেঁধে মন্দিরপ্রাঙ্গনে নিয়ে আসে রঘু ডাকাতের স্যাঙ্গাতেরা। মায়ের সামনে বলি জন্য প্রস্তুত করা হয় রামপ্রসাদকে। হাসিমুখে মায়ের ইচ্ছে জ্ঞান করে ডাকাতদলের সব অত্যাচার সহ্য করেন তিনিও। সামনে রক্তজবায় সাজানো হাড়িকাঠ, খাঁড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জল্লাদ… কিন্তু মরে গেলে মাকে তো আর গান শোনানো হবে না। তাই মৃত্যুর আগে মা কালীর সামনে একটি গান গাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন রামপ্রসাদ। অনুমতি দেন রঘু। উদাত্ত কণ্ঠে মায়ের কৃষ্ণবর্ণা মূর্তির দিকে তাকিয়ে গেয়ে ওঠেন রামপ্রসাদ ‘তিলেক দাঁড়া ওরে শমন বদন ভরে মাকে ডাকি’।

    সেদিন সাধক কবি রামপ্রসাদের গলায় এ গান শুনে ঠিক কী ভাবান্তর হয়েছিল কালান্তক রঘু ডাকাতের তা বলা মুশকিল। সে কি নিছকই বিভৎসরস ছাপিয়ে ভক্তিরসের জয় ছিল! জনশ্রুতি মতে, সেদিন যূপকাষ্ঠে রামপ্রসাদের বদলে আরাধ্যা দেবী কালীকেই দেখেছিলেন রঘু। তক্ষুনি রামপ্রসাদকে সসম্মানে মুক্তি দেন তিনি। ক্ষমা চান কবির কাছে। আর এরপর থেকেই মা সিদ্ধেশ্বরীর সামনে নরবলি দেওয়ার প্রথা এক্কেবারে বন্ধ করে দেন রঘু ডাকাত। চালু হয় পাঁঠাবলির রীতি।

    এসডব্লিউ/এসএস/১৯০৫

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    ইতিহাস

    Related Posts

    দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের করের টাকা নেয়ার ইতিহাস

    গলায় দড়ি বেঁধে ইংরেজদের বউ বিক্রির নির্মম ইতিহাস

    দিল্লির একদিনের সুলতান: যে ভিস্তিওয়ালার কপালে জুটেছিল নির্মম মৃত্যু

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    জুলাই ২, ২০২২

    স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ, উত্তাল পাকিস্তান

    জুলাই ২, ২০২২

    সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম সমলিঙ্গের বিয়ে

    জুলাই ২, ২০২২

    মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি ও মোদির ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি নিয়ে যা বললেন অরুন্ধতী

    জুলাই ২, ২০২২

    এক দিনে শনাক্ত প্রায় ২ হাজার: করোনার নতুন উপধরণ কি টিকাকে অকার্যকর করতে সক্ষম?

    জুলাই ২, ২০২২

    পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক আয়াজ আমিরের ওপর হামলা

    সর্বাধিক পঠিত
    • আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকছে জামায়াত!
      জুন ২৯, ২০২২
      By নিজস্ব প্রতিবেদক
      জোট গড়ে, জোট ভাঙে এবং নির্বাচন এগিয়ে এলে জোট গঠন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। চিত্রটা মোটামুটি এমনই বাংলাদেশে। আগামী জাতীয়...
    • কুসিক নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের প্রশ্ন এবং আমাদের মাজাভাঙা নির্বাচন ব্যবস্থা
      জুন ২৬, ২০২২
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার কুমিল্লার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কিছু হয়েছিল কি না, এমনটাই প্রশ্ন তুলেছেন...
    • দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদী বক্তব্যের পাঠক-শ্রোতা-দর্শক ক্রমশ বাড়ছে
      জুলাই ১, ২০২২
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      আমাদের বই পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। যেসব পরিবর্তন এসেছে, তার অনেকগুলোই...
    • মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি: ভারতে হিন্দু দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করল দুই মুসলিম
      জুন ২৯, ২০২২
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      ভারতের রাজস্থানে এক দর্জিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুই দুর্বৃত্ত। মঙ্গলবার ক্রেতা সেজে দর্জির দোকানে...
    • গলায় জুতোর মালা কিংবা ছাত্রের হাতে নির্যাতন যখন শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
      জুন ২৮, ২০২২
      By বিশেষ প্রতিবেদক
      সাভারের আশুলিয়ায় এক ছাত্র তার শিক্ষককে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে৷ আহত শিক্ষক দুদিন পর গতকাল সোমবার চিকিৎসাধীন...
    আলোচিত ভিডিও
    https://www.youtube.com/watch?v=W7Wq7xdUWkI
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২২ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.