খুব শীঘ্রই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড় আকারের গ্রহাণু ৩৮৮৯৪৫ । সতর্কবার্তা দিয়ে এমনটাই জানাল নাসা। নাসা-র তরফে জানানো হয়েছে, ১৬ মে রাত ২টো ৪৮ নাগাদ এই গ্রহাণু পৃথিবীর সব থেকে কাছাকাছি আসবে।
এই গ্রহাণু পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। প্যারিসের আইফেল টাওয়ার এবং স্ট্যাচু অব লিবার্টির থেকেও বড় ১,৬০৮ ফুটের এই গ্রহাণু ।
নাসা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এই গ্রহাণু যদি পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করে, তা হলে তা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীদের হিসেব বলছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ মাইল দূর দিয়ে এই গ্রহাণু বেরিয়ে যাবে।
এই বেশি দূরত্ব দেখে মনে হতেই পারে যে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু মহাকাশের হিসেবে এই দূরত্ব খুবই কম। তাই এই ঘটনাকে সামান্যের জন্য বেঁচে যাওয়ারই তকমা দিচ্ছেন বি়জ্ঞানীরা।
গ্রহাণু-৩৮৮৯৪৫ এর আগে ২০২০ সালের মে মাসেও পৃথিবীর একদম গা ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছিল। তখন পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ছিল ১৭ লক্ষ মাইল।
গ্রহাণু-৩৮৮৯৪৫ প্রতি দু’বছর অন্তর পৃথিবীর কাছ দিয়ে চলে যায়। আবার ২০২৪ সালে এই গ্রহাণুর পৃথিবীর কাছে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তখন পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে প্রায় ৬৯ লক্ষ মাইল।
গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কতটা?
সৌরজগতের সৃষ্টির সময়েই এসব গ্রহাণু তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরকম গ্রহাণুর সংখ্যা কতো সেটা সুনির্দিষ্ট করে জানা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণুর সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে।
এসব গ্রহাণুর বেশিরভাগই আকারে ছোট। মঙ্গল আর বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যে কয়েক কোটি গ্রহাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে ধারণা করা হয়।
ধারণা করা হয় যে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল মঙ্গলের মতো একটি বস্তুর সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলেই। পৃথিবী ভেঙে তার টুকরো দিয়েই চাঁদের জন্ম হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর সঙ্গে এসব গ্রহাণুর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কতোখানি – সেটা বলা খুব কঠিন। তবে এধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটছে।
গত শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়াতে একটি গ্রহাণু পড়েছিল যা পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতো আঘাত হেনেছিল, যার ফলে একটি বন ধ্বংস হয়ে যায়।
আর এটা তো সবারই জানা যে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে বড় আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল। এর ফলে সারা পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই প্রাণীটি কোটি কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে মহা-দাপটের সঙ্গে বিচরণ করতো।
নাসার বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ বলছেন, পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুর আবার এধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা কতো তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
কিন্তু এরকম জিনিস ঘটে এবং ঘটছে। আগামী ১০ বছরে, কী ১০০ বছরে, কী ১০০০ বছরে এরকম আরো একটি ঘটনা ঘটবে কি না, ঘটলে কখন ঘটবে-সেসব বলা খুবই শক্ত।
গত শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়াতে একটি গ্রহাণু পড়েছিল যা পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতো আঘাত হেনেছিল, যার ফলে একটি বন ধ্বংস হয়ে যায়।
আর এটা তো সবারই জানা যে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে বড় আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল। এর ফলে সারা পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই প্রাণীটি কোটি কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে মহা-দাপটের সঙ্গে বিচরণ করতো।
নাসার বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ বলছেন, পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুর আবার এধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা কতো তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
“কিন্তু এরকম জিনিস ঘটে এবং ঘটছে। আগামী ১০ বছরে, কী ১০০ বছরে, কী ১০০০ বছরে এরকম আরো একটি ঘটনা ঘটবে কি না, ঘটলে কখন ঘটবে-সেসব বলা খুবই শক্ত।”
এসডব্লিউ/এসএস/১৯২৫
আপনার মতামত জানানঃ