ফ্যাসিবাদি শাসনে দেশের শাসনব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শাসকদের প্রতি জনসাধারণ গণ–অনাস্থা জানিয়ে দিচ্ছে। এখন ভোটের মাধ্যমে অনাস্থা জানানোর সুযোগ নেই। তাই শাসকগোষ্ঠীর বিভিন্ন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই গণ–অনাস্থাই নিরীহ মানুষের গণপ্রতিবাদের অংশ।
যেকোনো ঘটনার পরই আহত বা নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা প্রকাশ্যেই বলছেন, আমরা বিচার চাই না। কার কাছে বিচার চাইব। বিচার চেয়ে কী হবে। তারা সবাই বিচারের ভার আল্লাহ হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
অথচ সহিংসতা, সংঘাত, নির্লিপ্ততা, বিচ্ছিন্নতা ও বিভাজনের এক ভয়াবহ সময়ে উপনীত হয়েছি আমরা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনেকেই হয়তো অনুধাবন করতে পারছেন। বহুবিধ সংকট ও সমস্যার মধ্য দিয়ে দেশ চলছে। কোথায় কখন কী হবে, বলা মুশকিল। এক উন্মত্ত অবস্থা বিরাজ করছে। জেল, জুলুম, বিনা বিচারে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, কথায় কথায় মারপিট সংঘর্ষকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের বসবাস করতে হচ্ছে।
বিচার না চাওয়ার সংস্কৃতি
সর্বশেষ ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষ হলে গেল। সেখানে পিটিয়ে মারা হলো নাহিদ হাসান নামের এক পথচারীকে। নাহিদকে মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। গা শিউরে ওঠা ওই ভিত্তিতে দেখা গেল, আহত নাহিদকে লাঠি দিয়ে বারবার আঘাত করা হচ্ছে।
ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে নাহিদ হাসান ছাড়াও মুরসালিন নামের আরও একজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের স্বজনেরা বলেছেন, তারা বিচার চান না। তারা মনে করেন, দেশে এখন বিচার বলতে কিছু নেই।
এর আগে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি নিহত হন। প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন বিচার চান না বলে জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বিচার চাইতে গেলে নানা ধরনের হয়রানি শিকার হতে হয়। বিপুল অর্থ খরচ করতে হয়। আমাদের সেই সামর্থ্য নেই। আমরা নিরীহ মানুষ। আল্লাহর কাছে বিচার চাই।’
বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের অনাস্থার প্রকাশ কিন্তু এখানেই শুরু না। আরও আগে ২০১৫ সালে খুন হয়েছিলেন প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন। দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ছেলে–হত্যার বিচার চাননি।
আশির দশকের শুরুর দিকে আতিয়া বেগম তার একমাত্র সন্তানকে হারালেন। গ্রামের প্রভাবশালী এক ব্যক্তির সন্তান আতিয়া বেগমের ছেলে রুবেলকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ থাকলেও, এর কোনো বিচার হয়নি। কারণ রুবেল দরিদ্র ঘরের সন্তান। আর তাই রুবেলের মা আল্লাহর দরবারে বিচার চাইতে চাইতে প্রায় ১০ বছর পর মারা গেলেন।
কিশোরী মোমেনা সাহায্যকারী হিসেবে ঢাকায় কাজ করতো ২০-২৫ বছর আগে। হঠাৎ বাবা ওকে নিয়ে গেলেন বিয়ে দেবেন বলে। পরে জানা গেল, বিয়ে হওয়ার আগেই মেয়েটিকে কে বা কারা ধর্ষণের পর হত্যা করে কাদায় ডুবিয়ে রেখেছিল। গ্রামবাসী জানে আদতে কী হয়েছিল, কারা ধর্ষণের পর মেয়েটিকে মাটিচাপা দিয়েছিল। কিন্তু কেউ মুখ খোলেনি। কোনো বিচার পাননি মোমেনার বাবা। পরে তাকে বিশ্বাস করতে হয়েছে জিন বা ভূত মেয়েকে হত্যা করেছে। অনেকবার খোঁজ নিতে বলা হলেও মোমেনার পরিবার বার বার বলেছে, ‘আমরা বিচার চাই না। এতে অনেক ঝামেলা।’
আরও অতীতে গেলে এ রকম আরও উদাহরণ পাওয়া যাবে। সমসাময়িক কালে নিজস্ব অভিজ্ঞতার কারণেই জনসাধারণ বিচার চাইছে না। কারণ এই নাগরিকেরা দেখেছেন, সাংবাদিক সাগর–রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ৮৫ বারের মতো পিছিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যায় অভিযুক্তরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায় শহরজুড়ে। তনু হত্যার কোনো সুরাহা হয়নি। লেখক, ব্লগাররা নির্বিচারে হত্যার শিকার হয়েছেন। সাধারণ মানুষ বেডরুম থেকে রাজপথ—কোথাও শঙ্কামুক্ত নয়। জন্মের আগে মায়ের গর্ভেই গুলিবিদ্ধ হচ্ছে শিশু। বাবার কোলোই সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যাচ্ছে আরেক শিশু।
জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা, বিচার না চাওয়ার সংস্কৃতি আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি অকার্যকর হওয়ার কথাই বলে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে আমাদের রাষ্ট্র যখন আরও শক্তিশালী হওয়ার কথা, তখন সমস্বরে সবাই বলছে, এই রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের কোনো ভরসা নেই। আমরা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কোনো আস্থা রাখতে পারছি না।
বিগত সময়ে বিশেষ করে গত এক দশকে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। বিচারহীনতার এক ভয়ংকর সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। তাই দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্ক ক্রমেই ফিকে হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রকে নাগরিকেরা আর নিজেদের কর্তৃত্বের মধ্যে রাখতে পারছেন না। বরং রাষ্ট্রই দিন দিন কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে।
রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্কের ছিন্নতা সাধারণ নাগরিকের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। যে কারণে কাজী রওনাকুল ইসলাম আওয়ামী–সমর্থিত পরিবার থেকে বিএনপির ছাত্রসংগঠনের সভাপতি হয়েছেন বলে তার পরিবার রীতিমতো সম্পর্কই ছিন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছে।
রওনকের বাবা সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, ১৩ বছর ধরে রওনক বাড়ি যান না। কী ভয়াবহ একটা অবস্থা! ছেলে সঙ্গে সম্পর্কহীনতার কথা বাবা অবলীলায় সবাইকে বলে যাচ্ছেন। মতভিন্নতা ও মতান্তর থাকতেই পারে, তাই বলে ভিন্ন রাজনীতি করার কারণে বাবা-ছেলের সম্পর্কই থাকবে না, এমনটা কী করে সম্ভব!
এই যে রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকে অনাস্থা, বাবা-ছেলের সম্পর্কের ছিন্নতা, এসব খুব ভালো লক্ষণ না। এগুলো সমাজের ক্ষয়ে যাওয়ার সূচনাকে ইঙ্গিত করে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে, রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করে, সমাজে ব্যক্তি ও সামষ্টিক জনসাধারণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে অনেকেই হয়তো রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিচ্ছেন, কিন্তু দিন শেষে তা রাষ্ট্রের খুঁটিগুলোকে আলগা করে দেয়।
একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনের জন্য নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক মিত্রতা, সহমর্মিতা, বোঝাপড়ার সম্পর্ক সৃষ্টি করা যেমন জরুরি, তেমনি নাগরিক ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টি করাও আবশ্যক। এর কোনো বিকল্প নেই। যদি তা না হয়, তবে যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য সফলভাবে টিকে থাকা কষ্টকর।
কেন এই সংস্কৃতি?
আমাদের দেশে দরিদ্র ও ক্ষমতাহীন মানুষ বিচার পায় না, এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে। কারণ বিচার পেতে চাইলে অনেকটা সময় যেমন অপেক্ষা করতে হয়, তেমনি অনেক টাকাও খরচ হয়। অধিকাংশ পরিবারের পক্ষে এত টাকা ব্যয় করে মামলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর সবচেয়ে বড় কথা অপরাধী যদি ক্ষমতাবান হয়, তাহলে বিচার বা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করা তার জন্য কোনো ব্যাপারই না। তবে রাষ্ট্র বা কোনো মানবাধিকার সংগঠন মামলা চালালে কিছুটা আশা থাকে।
সিনিয়র ও আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু ‘মানুষ কেন বিচার চায় না’ সংক্রান্ত একটি লেখায় লিখেছেন, ‘তার মানে কি দেশে বিচার হচ্ছে না? বিচার চেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না? বিষয়টা কি সত্যি তাই? আমরা তো দেখছি গড়ে প্রতিদিন একজন করে মানুষের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হচ্ছে। এখনো কারাগারের কনডেম সেলে দুই হাজারেরও বেশি আসামি মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে বন্দি আছে। প্রতিদিন সারাদেশে বিচারকরা শত শত রায় দিচ্ছেন। তাহলে বিচারটা হচ্ছে না বা পাচ্ছি না বলছি কেন?
বিচার বিভাগ যে বছর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয় সে বছর অর্থাৎ ২০০৭ সালে দেশে বিচারাধীন মামলা ছিল ১৫ লাখের একটু বেশি। আর বর্তমানে দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪০ লাখের কাছাকাছি। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২ লাখ অনিষ্পন্ন মামলা যুক্ত হচ্ছে। এভাবে জমতে জমতে ১৫ বছরে ২৫ লাখ মামলা যুক্ত হয়ে এখন ৪০ লাখ হয়েছে।’
শুধু তাই নয়, এক গবেষণায় দেখা গেছে ‘ভুক্তভোগী ও সাক্ষীকে সুরক্ষা দেওয়ার মতো কোনো আইন’ বাংলাদেশে নেই। আর তাই কোনো মামলা দায়ের করার পর নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি বা ভুক্তভোগীরা সাধারণত অসহায় হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার কাছ থেকেও হুমকির সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
এ ছাড়া, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ভুক্তভোগীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা তো করেনই না, উপরন্তু ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়ে থাকেন। তাছাড়া ভুক্তভোগীরা তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কেও জানেন না।
বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি এবং সাক্ষীর সুরক্ষা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং এর ওপর ভিত্তি করে একটি ‘ভিকটিম অ্যান্ড উইটনেস প্রটেকশন অ্যাক্ট’ প্রণয়নে সহায়তা করার জন্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যে গবেষণা করিয়েছিল ২০২০ সালে, সেখান থেকেই এই তথ্য জানা গেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা সবচেয়ে বেশি দরকার। কারণ অধিকাংশ ভুক্তভোগী দরিদ্র এবং দিনমজুর। কাজেই তাদের পক্ষে আদালতে উপস্থিত থাকার মতো যাতায়াত খরচ ও খাবার কিনে খাওয়ার টাকা থাকে না। ভুক্তভোগীরা সামাজিক নিরাপত্তা চান। যাতে তারা স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন।
কেন বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও সাক্ষীর সুরক্ষা আইন দরকার? কারণ বাংলাদেশে এখন এমন কোনো আইন নেই, যা দিয়ে ভুক্তভোগী অথবা সাক্ষীকে রক্ষা করা যায়। এমনকি ভুক্তভোগী এবং সাক্ষী কী বা কারা? এ সম্বন্ধে আইনে কোনো সংজ্ঞাও নেই।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়েরকৃত ২৫টি ধর্ষণ মামলার মধ্যে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টা হতে ১৫ দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত ২৫ জন আসামি জামিন পেয়েছেন। ২০২১ সালে এসে দেখা গেছে, ধর্ষণ মামলায় ২০ জন অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত অবস্থায় রয়েছেন, ৩ অভিযুক্ত কারাগারে রয়েছেন এবং ২ জন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এমনকি তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়নি। আর বিচার না পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা।
কোন পরিণতির দিকে এগোচ্ছি আমরা
আশির দশকের শুরু থেকে ২০২২ পর্যন্ত রুবেল, মোমেনা, নাদিম, প্রীতি, দীপন ও অভিজিৎ সবার মৃত্যু এক সুতোয় গাঁথা। এদের সবার পরিবার রাষ্ট্রব্যবস্থাকে, বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন।
একটা সময় শোনা যেতো ‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’। কারণ চাইলেও বিচার পাওয়া নাও যেতে পারে। অনেক নিপীড়ন, নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েও পাওয়া যায়নি। আর এখন বলা হচ্ছে, ‘আমরা বিচার চাই না” বা ‘আল্লাহর কাছে বিচার চাই’।
এই বিচার না চাওয়াটা কিন্তু অপরাধীদের নিষ্কৃতি পাওয়ার সংস্কৃতি চালু করেছে বা করবে। অপরাধী ভালোভাবেই বুঝে যাচ্ছে, যাই করি না কেন, আমার কোন বিচার হবে না।
অন্যদিকে, যারা ভুক্তভোগী তারাই ভয়ের মধ্যে থাকেন। আর সাধারণ মানুষের মনে এই ভয় ও বঞ্চনা যে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি করছে, সেই থেকেই মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়েছেন। এই ট্রেন্ড কিন্তু ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
এই কারণে দেশের মানুষের অনেকেই ক্রসফায়ারের পক্ষে। তাদের ধারণা হলো, যাক বিচার তো আর হবে না, অপরাধী শাস্তিও পাবে না। কাজেই অপরাধী যদি এইভাবে মরে মরুক। যার অর্থ হলো- তাদের বিচারে আস্থা নেই। এই আস্থাহীনতা একটা সময় অরাজকর পরিস্থিতির জন্ম দেবে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ জীবনটা সিনেমা নয়।
এসডব্লিউ/এসএস/১৩২৫
আপনার মতামত জানানঃ