চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভৈরব নদ খননের সময় শত বছরের পুরোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার(০৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন ভৈরব নদ খননের সময় এগুলো দেখতে পান শ্রমিকরা।
ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও হাড় ২০০ বছরের বেশি পুরোনো। বিট্রিশ আমলে ভৈরব নদ দিয়ে ভারতের কলকাতায় বাণিজ্য করার সময় জাহাজটি ডুবে যায়। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও হাড় দেখতে ভিড় জমান কৌতুহলী লোকজন।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বরে উপজেলার সুবলপুর ভৈরব নদ খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়।
ভৈরব নদী খননের এক পর্যায়ে কার্পাসডাঙ্গা-বাঘাডাঙ্গার নীল কুঠিরের নিচে মাটি কাটা ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি খননের সময় রাতে ব্রিটিশদের পণ্যবাহী শত বছরের উপরের পুরোন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়।
জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও হাড় ২০০ বছরের বেশি পুরোনো। বিট্রিশ আমলে ভৈরব নদ দিয়ে ভারতের কলকাতায় বাণিজ্য করার সময় জাহাজটি ডুবে যায়।
স্থানীয়রা বলছে, দামুড়হুদা উপজেলার সুবুলপুরে গত ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বরে ভৈরব নদ খননের কাজের উদ্বোধন হয়। সকালে কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন নীল কুঠিরের নিচে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভৈরব নদ খননের সময় ব্রিটিশদের পণ্যবাহী কয়েকশ বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড় দেখতে পান চালক।
ভৈরব নদ দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা থেকে কলকাতায় বাণিজ্য করত ব্রিটিশরা। এখানে নীল কুঠি ছিল। সেই সময় প্রাকৃতির দুর্যোগ বা কোন দুর্ঘটনায় ডুবে যেতে পারে জাহাজটি। জাহাজটির মালামাল ২০০ বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম জানান, ব্রিটিশরা ভৈরব নদ দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা থেকে কলকাতায় বাণিজ্য করত। এখানে নীলকুঠি ছিল। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো দুর্ঘটনায় জাহাজটি ডুবে যেতে পারে। জাহাজে মূল্যবান সম্পদ থাকতে পারে। মাটি খনন করলে হয়তো আরও মূল্যবান সম্পদ পাওয়া যেতে পারে।
কোমরপুর গ্রামের প্রবীণ মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমার বাবার কাছে শুনেছি, এখানে সাহেবদের একটি জাহাজ ঝড়ে ডুবে গিয়েছিল। আমার দাদা সাহেবদের কর্মচারী ছিলেন। পরে জাহাজটি আর উদ্ধার করা যায়নি।’
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, জাহাজের মালামাল ২০০ বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ ও হাড় উদ্ধার করে আপাতত ইউনিয়ন পরিষদে রাখার জন্য ইউএনও নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউএনও তাছলিমা বলেন, ‘নদ খননের সময় পাওয়া মালামালের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। এগুলো আপাতত সাবধানে ও যত্ন করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখতে বলা হয়েছে।’
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৯৫৫
আপনার মতামত জানানঃ