স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৭ ডিসেম্বর ২০২০, সোমবার, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
ভোররাতে শিক্ষক-শ্রমিকদের উঠিয়ে দিল পুলিশ, লাঠিপেটার অভিযোগ
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শ্রমিকদের উঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোররাত সাড়ে তিনটা থেকে চারটার দিকে তাদের উঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় ঘুমন্ত শিক্ষক ও শ্রমিকদের লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দীন মুন্সী বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আন্দোলনরত ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার নেই। এর চেয়ে বেশি তথ্য তার হাতে নেই। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া ও জনসংযোগ) ওয়ালিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২২ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একজন কাজী মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাতে প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনস্থলে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ সেখানে পুলিশ এসে তাঁদের গায়ে পানি মারে। এরপর লাঠিপেটা করতে থাকে। কেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি পুলিশ। প্রায় একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করে আসা তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের আহত শ্রমিকদের কাছ থেকে।
গৃহবধূকে হেনস্তা, পুলিশ কনস্টেবলসহ ৩ জন আটক
সমকাল
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বগুড়ার শেরপুরে এক গৃহবধূকে অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ (সাময়িক বরখাস্ত) তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ ডিসেম্বর, শনিবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলার আগেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদে আটক করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মহিপুর গ্রামের মো. সোহেল রানার স্ত্রী কয়েকদিন আগে বেড়ানোর জন্য ঢাকার গাজীপুর সাইনবোর্ড এলাকায় মামার বাসায় যান। পরে গত ৪ ডিসেম্বর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। ওইদিন রাত ১২টার দিকে মহিপুর বাজার এলাকায় বাস থেকে নামেন তিনি। এসময় অভিযুক্তরা ওই গৃহবধূর পথরোধ করেন। পরে বাজারের একটি মুদি দোকানের মধ্যে অবরুদ্ধ করে তার ব্যাগে তল্লাশি চালান। এভাবে প্রায় দুই ঘণ্টা হয়রানি ও হেনস্থা করা হয় ওই গৃবধূকে। একপর্যায়ে খবর পেয়ে তার মা থানায় সংবাদ দেন। পরে পুলিশ এসে এই নারীকে উদ্ধারসহ ওই তিন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। পরে আটকদের রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারীকে আটকে হয়রানি
বগুড়ায় বরখাস্ত পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বগুড়ার শেরপুরে নারীকে আটকে রেখে হয়রানির অভিযোগে হওয়া মামলায় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে জেলা পুলিশ লাইনসের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল শিলু মিয়াও আছেন। ৬ ডিসেম্বর ২০২০, রবিবার আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার থানায় মামলাটি করা হয়।
শিলু উপজেলার মহিপুর গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। ছয় মাস আগে তাঁর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুক মামলা করেন স্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক মাস আগে শিলুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
সিলেটে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
সিলেটের আঞ্চলিক দৈনিক একাত্তরের কথা’র সম্পাদক চৌধুরী মুমতাজ আহমদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ‘হয়রানিমূলক’ মামলা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা।
৬ ডিসেম্বর ২০২০, রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আহমেদ সেলিম গত শনিবার চৌধুরী মুমতাজ আহমদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
Editor, publisher of local daily sued under DSA
Sylhet city councillor files the case for ‘defamation’
The Daily Star
Category: Digital Security Act
A Sylhet city councillor sued 18 people, including the editor of a local daily, its publisher and reporters, under the controversial Digital Security Act for publishing “a fake report” and sharing it on social media.
Saleh Ahmed Selim, councillor of ward-22 of the city corporation and also a ruling Awami League leader, filed the case with Shahporan Police Station on Friday night. The newspaper recently published a report on his illegal activities, including attempting to grab the land of a government primary school, and extorting money from landlords and land owners in his area.
Editor of Ekattorer Kotha Chowdhury Mumtaz Ahmed, publisher Md Nazrul Islam, reporters Sayeed Chowdhury Tipu, Jikrul Islam, Md Muhit, Sujan Chandra Anup and administrative officer Ahmed Maruf are among the accused. The 11 others are not associated with the newspaper.
In the case statement, the plaintiff said the accused published a fake news and shared it on social media, which is defamatory.
It is also mentioned that the newspaper published the report and uploaded it on its online version on November 28.
The newspaper editor, publisher and five other employees were sued for publishing the report and 11 other people for sharing it on Facebook.
এসডাব্লিউ/আরএন/ফাআ/আরা/২১৫০
আপনার মতামত জানানঃ