সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীতে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন। বিষয়টি এখন শুধু আলোচনার টেবিলেই সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন ছাড়িয়ে পড়েছে মাঠ-পর্যায়ে আন্দোলনের মতো।
বর্তমান সময়ে মনুষ্যজনিত গ্রিনহাউজ গ্যাসের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়নকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ ধরা হয়। যেটি কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিরতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সর্বোপরি জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। আর জলবায়ুর এহেন পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকিতে আফ্রিকার হতদরিদ্র মানুষ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জিম্বাবুয়েতে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এতটাই নেতিবাচক হয়ে ধরা পড়েছে যে, অনেক নারীই যৌনকর্মী হতে বাধ্য হচ্ছেন।
এমনই এক নারী তাওয়ান্ডা (ছদ্মনাম)। ১৬ বছরের এই কিশোরীর জীবনে আধার নেমে এসেছে। সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় শান্ত চোখে আকাশের দিকে চেয়ে থাকে তাওয়ান্ডা। কারণ রাত শুরু হওয়ার আগেই যে তাকে তৈরি হতে হবে। আকাশের দিকে চেয়ে হয়তো আনমনে সে কথাই ভাবছিল এই কিশোরী।
জিম্বাবুয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতাধিক নারী এই কাজে বাধ্য হয়েছেন। কয়েক বছর ধরে শহরের কেন্দ্রগুলোতে তারা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
তাওয়ান্ডা বলেন, সন্ধ্যা নামা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। কারণ আমাদের কাছে যারা আসেন তারা তাদের পরিচয় জানাতে চান না। এদের মধ্যে অনেকেই বিবাহিত আবার কেউ কেউ সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। তারা চান না যে, তাদের এ ধরনের কাজের কথা কেউ জেনে যাক। অন্যথায় আমরা হয়তো ২৪ ঘণ্টাই তাদের সেবা দিতে পারতাম।
বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তাওয়ান্ডার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। পড়াশোনার খরচ জোগানো তার দাদির পক্ষে সম্ভব ছিল না। কয়েক বছর ধরে চলা খরায় ফসল হচ্ছিল না। অভাবের তাড়নায় তখন দিশেহারা অবস্থা। গ্রামে নিজের ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছিল না তাওয়ান্ডা। অবশেষে ভালো কিছুর আশায় রাজধানী হারারেতে পাড়ি জমায় সে।
তাওয়ান্ডা জানায়, সেখানে সে একজন বেবিসিটার হিসেবে এসেছিল। পুরোনো স্মৃতিচারণ করে এই কিশোরী বলে, ছয় মাস আমি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেছি। আমি খুব সামান্যই বেতন পেতাম। কোভিড মহামারি শুরুর পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। আমি যে নারীর অধীনে কাজ করতাম তিনি আমার বেতন আরও কমিয়ে দেন। সে কারণে আমি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হই।
এখন আর নিজের বাড়িতে ফিরতে চায় না তাওয়ান্ডা। সেখানেই বন্ধু-বান্ধবের প্ররোচনায় যৌনকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে সে। বর্তমানে রাজধানী হারারে থেকে ১২ কিলোমিটার পূর্বের এপওয়ার্থে বসবাস করছে তাওয়ান্ডা।
সহিংসতা, পতিতাবৃত্তি এবং মাদকদ্রব্যের জন্য কুখ্যাত ওই শহরে জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। ‘বুস্টার’ নামে পরিচিত একটি এলাকায় তাওয়ান্ডা এবং অন্যান্য কিশোরীরা সমবেত হয়। দিনের বেলায় সেখানে খুব একটা লোকজনের আনাগোনা না থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে।
ইয়োথ টু ইয়োথ নামের একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ক্যাথেরিন মাসুন্ডা বলেন, যৌনকর্মে জড়িত তরুণী বা কিশোরীদের সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
অনেক নারীই বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই তারা এমন কাজে নামতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু খরা নয় বরং, বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ শস্য এবং সম্পদ নষ্ট করছে, মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।
জিম্বাবুয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতাধিক নারী এই কাজে বাধ্য হয়েছেন। কয়েক বছর ধরে শহরের কেন্দ্রগুলোতে তারা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
শিপো নামের অপর এক কিশোরী বলেন, ২০২০ সালে আমি স্কুলের পড়াশোনা শেষ করি। আমি সয়াবিন চাষ করতে চেয়েছিলাম। এতে পরিশ্রম কম কিন্তু লাভ বেশি। এ থেকেই আমি আমার পড়ার খরচ এবং বাসা ভাড়া দেব ভেবেছি। কিন্তু সে সময় প্রচুর বৃষ্টি হলো এবং বন্যায় সব ভেসে গেল। আমার প্রজেক্টও মুখ থুবড়ে পড়ল।
জিম্বাবুয়ে ইয়োথ কাউন্সিল হারারের প্রাদেশিক পরিচালক মেমোরি কেনিয়াতি বলেন, যৌনকর্মী হিসেবে কম বয়সী নারীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এই বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। জিম্বাবুয়ের অনেক অঞ্চলে দাবদাহ, কম বৃষ্টিপাত আবার কিছু অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
রাজধানী হারারে থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণের মাশোনাল্যান্ড প্রদেশের মারাম্বা গ্রামের প্রধান ডেভিড মারেকেরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু আমাদের সম্প্রদায়ে অভাব ডেকে আনছে না বরং আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতও নষ্ট করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতি উচ্চ এবং অন্তত আপাতত অপরিবর্তনীয়। কিশোর ছেলেরা মাজোই বাঁধের কারিগর খনির জন্য স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে। ক্ষুধার কারণে কিশোরী মেয়েরা বাল্যবিবাহ এবং শিশু পতিতাবৃত্তিতে যাচ্ছে’।
জিম্বাবুয়ের জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া কৌশল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি’।
এটি অনুমান করা হয় যে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ জিম্বাবুয়েতে গড় তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বৃদ্ধি পাবে। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৫-১৮ শতাংশ কমতে পারে, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণে।
জিম্বাবুয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হাওয়াঙ্গে জেলার ওনিতা সিবান্দা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাঁচতে তার বয়সী বেশিরভাগ মেয়েই শহরাঞ্চলে চলে গেছে।
তিনি আল জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘হোয়াঙ্গের গ্রামগুলো থেকে আসা সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন। তবে আমাদের ক্ষেতগুলি বিগত বছরগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে উত্পাদন করছে না’।
‘সাধারণত আবহাওয়া খারাপ থাকে। এখানে হোয়াঙ্গে, আমরা গত তিন বছর ধরে প্রায় প্রতি বছর আকস্মিক বন্যা এবং ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছি। মেয়েরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে বা কাজ শেষ করার পরেই শহরে যাচ্ছে, কিন্তু পরে পতিতাবৃত্তির দিকে ঝুঁকছে,’ বলছেন ওনিতা৷
ড্যানিয়েল সিথোল – জলবায়ু বিশ্লেষক এবং গ্রিন শ্যাঙ্গো ট্রাস্টের পরিচালক, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি অলাভজনক সংস্থা– বলেছেন যে জিম্বাবুয়ের মহিলারা গ্লোবাল ওয়ার্মিং দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত৷
‘মহিলারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, যা পরিবর্তে বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে,’ সিথোল বলেছেন।
এদিকে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার কিছু এলাকার ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ চরম ক্ষুধার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এসব তথ্য জানায়।
ডব্লিউএফপি জানায়, ‘হর্ন অব আফ্রিকা’ হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলে পরপর তিনটি বর্ষা মৌসুম অনাবৃষ্টিতে গেছে। এর ফলে এখানে ১৯৮১ সালের পর থেকে সবচেয়ে শুষ্ক অবস্থা বিরাজ করছে।
চরম এই খরার ফলে ফসল বিনাশ ও ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বহু গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে পশুপালন ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল গ্রামীণ পরিবারগুলো তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
হর্ন অব আফ্রিকার বাসিন্দা মোহামেদ আদেম রয়টার্সকে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা আগে কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। বৃষ্টির কোনো আভাস নেই, কেবল ধুলো ঝড় হয় এই অঞ্চলে। আমাদের ভয় হচ্ছে— দ্রুতই হয়ত এই পুরো এলাকা একটি সমাধিক্ষেত্রে পরিণত হবে।’
জিবুতি, ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ড- এই ৫ দেশের ভূখণ্ডের কিছু কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হর্ন অব আফ্রিকা নামের এই ভৌগলিক অঞ্চলটি। ইথিওপিয়া সরকারের মুখপাত্র লেগেসে তুলু, ‘যদিও এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি, কিন্তু দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে এখানকার খরা পরিস্থিতি। ডব্লিউএফপি যে সতর্কবার্তা দিয়েছে, তাতে কোনো ভুল নেই।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা সময়ের একটি সংজ্ঞায়িত সমস্যা। পৃথিবী হুমকির সম্মুখীন এবং মানুষ অদৃশ্য হওয়ার বিপদে! জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দেশ, ধর্ম এবং মতপার্থক্য যাই হোক না কেন লড়াই করার জন্য সবাই একসঙ্গে থাকা আবশ্যক। জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিনিয়তই ঘটছে, এমনকি কপ২৫-এ জলবায়ু আলোচনার জন্য বিশ্ব নেতারা বৈঠক করে জানিয়েছেন, ‘আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা থামানোর জন্য যথেষ্ট কিছু করছি না।’ আসলে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।
জাতিসংঘ বলছে, আমাদের বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই পৃথিবী ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি উষ্ণ হওয়ার পথে। পরিবেশদূষণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেরু অঞ্চলে বরফ গলে যাচ্ছে। সমুদ্র ও নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। নিম্নভূমি ডুবে যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টি, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বিপর্যয় শুরু হবে ২০৩০ সালে। এটি ২০৫০ সালে ভয়াবহ আকার নেবে। সেই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চার কোটি মানুষ অভিবাসী হবে। যার অর্ধেক হবে বাংলাদেশি।
আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, বিমান ভ্রমণ পরবর্তী ২০ বছরে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ আরো ২ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে। ফলস্বরূপ, দুর্যোগ আরো দ্রুত তরান্বিত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী তিন দশকে ২১৭ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হবে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং বিশ্বজুড়ে সম্পদের বৈষম্য কমাতে জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না। প্রতিবেদনে সংকট মোকাবিলায় ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন কমাতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ, অভিবাসনের হার পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা সমাধানযোগ্য। আমাদের কাছে প্রযুক্তি আছে। বিজ্ঞান আছে। প্রয়োজন নেতৃত্ব এবং পথ পরিবর্তন করার সাহস। দূষণ রোধ করার জন্য শক্তির সুব্যবহার জরুরি। আমাদের ২০৫০ সালের মধ্যে বা শিগগিরই ‘নিট জিরো’ কার্বন নির্গমকে নিশ্চিত করতে হবে। নিট জিরো মানে— ক্রমান্বয়ে কার্বনের ভারসাম্যে, বায়ুমণ্ডলে কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনা। নিট শূন্য নির্গমন অর্জনের জন্য, আমরা যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি এবং ব্যবহার করি তার ব্যাপক পরিবর্তন আনা দরকার। আমাদের একটি নতুন, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা দরকার। বনভূমি উজাড় বন্ধ করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। উডল্যান্ড ট্রাস্ট আগামী ১০ বছরে ৬৪ মিলিয়ন গাছ লাগানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাকে অনুসরণ করাই হতে পারে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার একটি বিকল্প পথ।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৪২২
আপনার মতামত জানানঃ