করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের বোঝা বেড়েছে। মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ওয়াশিংটন বেপরোয়াভাবে ব্যয় করেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ বেড়েছে প্রায় সাত লাখ কোটি ডলার। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে দুরবস্থা চলছে এখন। মোট সরকারি ঋণের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ৩০ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে দেশটিতে আটকে থাকা আফগানিস্তানের সম্পদের অর্ধেক ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নানা প্রশ্ন তুলছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন বুশ প্রশাসনের শক্তিধর সশস্ত্র বাহিনী আফগানিস্তানে আক্রমণ চালায়। ৭ অক্টোবর অভিযান শুরু করে মাত্র দুই মাসের মধ্যে তৎকালীন তালিবান সরকারের পতন ঘটিয়ে মার্কিনিরা আফগানিস্তান দখল করে নেয়। এরপর তারা সুদীর্ঘ ২০ বছর তাবেদার সরকারের মাধ্যমে এ দখলদারিত্ব কায়েম রাখে। এজন্য তারা অজস্র অর্থ-সম্পদ, অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি এবং জনবল ক্ষয় করে।
কিন্তু এই ব্যয়বহুল যুদ্ধে মার্কিনিরা চূড়ান্ত বিচারে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট ২০২১ আফগানিস্তান থেকে শেষ সৈন্যটি প্রত্যাহার করে নেয়ভতারা। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের চারজন প্রেসিডেন্ট দুই দশক ধরে রক্তক্ষয়ী এ ব্যয়বহুল যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে যত টাকা খরচ করেছে তার ৬০ শতাংশ বেশি খরচ করেছে আফগান সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে। গত ২০২০ সাল পর্যন্ত এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রের মোট খরচ ছিল প্রায় ৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। আফগানিস্তানের জব্দ সম্পদের অর্ধেক নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা অনেক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
জব্দকৃত আফগানদের অর্থের অর্ধেক ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে আটকে থাকা আফগানিস্তানের ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের (৫৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) সম্পদের অর্ধেক ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন।
বাকিটা খরচ হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে চরম আর্থিক সংকটে থাকা মানুষের সহায়তায়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশ ঘোষণা করবেন বলে গতকাল শুক্রবার দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। আর এর মাধ্যমে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল ব্যবহারের অনুমতি পাবে হামলার শিকার এবং ভুক্তভোগী পরিবারগুলো
আফগানদের ওই অর্থ স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রসঙ্গত, তালিবানের হাতে আফগানিস্তানের পতনের পর নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে জমা থাকা ওই অর্থ আটকে দেওয়া হয়। গত আগস্টে পশ্চিমা–সমর্থিত দুর্নীতিবাজ আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে রাজধানী কাবুল দখল করে তালিবান।
ওই মাসেই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায় দেশটিতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে অবস্থান করা মার্কিন সেনারা। এরপর তালিবান সরকার গঠন করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি।
বাইডেনের অর্থ জব্দের সিদ্ধান্তের বিষয়ে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, আফগানিস্তানের জব্দ করা অর্থের মধ্যে ৩৫০ কোটি ডলার আফগানদের মানবিক সহায়তার জন্য গঠন করা তহবিলে যুক্ত করার অনুমতি চাইবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাকি অর্থ ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাখা হবে। একই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসও।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলছে, জব্দ করা আফগান অর্থ নিয়ে মার্কিন আদালতে মামলা চলছে। ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ওই অর্থের দাবি করে মামলাটি করেছিলেন। এ কারণে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ যুক্তরাষ্ট্রেই রাখা হবে।
পৃথিবীর নরক হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান
এমনিতেই দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। গত আগস্টে তালিবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর থেকে সেই পরিস্থিতি দিনে দিনে কেবল খারাপই হয়েছে।
কাবুলের পতনের পর শুধু যুক্তরাষ্ট্রই আফগানদের অর্থ আটক করেনি; বিভিন্ন সংস্থা স্থগিত করে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তাও। এর মধ্যেই দেশটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। সব মিলিয়ে চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন আফগানরা।
দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। গত মাসে জাতিসংঘ জানায়, ৯৫ শতাংশ আফগানের খাওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য নেই। আফগানিস্তান বরাবরই গরিব দেশ। সেখানকার ৭০ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় দুই ডলারের কম। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, আগামী দিনে দেশটি আরও দরিদ্র হতে চলেছে।
আফগানিস্তানে প্রায় দুই কোটি ২৮ লাখ মানুষ চরম অনাহারে দিন পার করছে। দুই মাস আগে যে পরিমাণ মানুষ অনাহারে ছিলো তার পরিমাণ বেড়ে দুই গুণ হয়েছে। সময় মতো সঠিক পন্থায় সেখানে সহযোগিতা পাঠানো না হলে দেশটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এবারের শীতে কয়েক লাখ মানুষের পাশাপাশি শিশুরাও অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আফগানিস্তানের অসহায় মানুষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা পাঠানো দরকার।
কাজ হারিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে আফগানিস্তানে সাধারণ মানুষ। এখন দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটাতে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে শীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। সেখানে ৪ থেকে ৮ হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে একেকটি কিডনি।
খাদ্য সংকট কতটা চরমে পৌঁছালে একজন বাবা তার কন্যাসন্তানকে বিক্রি করতে বাধ্য হন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের ঘটনা। আজিজ গুল নামের এক নারীর স্বামী তাদের ১০ বছরের মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছেন। জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার তুলে দেওয়ার জন্য নিরুপায় ওই বাবা তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে কিছু অর্থ পেয়েছেন।
খুবই অল্পবয়সী মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করা পুরো অঞ্চল জুড়ে একটি নিয়মিত অভ্যাস। বিয়ের ব্যাপারে চুক্তি করার জন্য অর্থ প্রদান করে পুরুষেরা। কন্যাশিশুটি সাধারণত তার বাবা-মায়ের সাথে থাকে তার বয়স কমপক্ষে ১৫ বা ১৬ বছর না হওয়া পর্যন্ত। এমনকি মেয়ের বয়স ১৫ কিংবা ১৬ বছর হওয়া পর্যন্ত অনেক পরিবার অপেক্ষা করতে পারে না। কারণ, এতোদিন পর্যন্ত মেয়েকে বাড়িতে রেখে খাওয়ানোর মতো সামর্থ্য তাদের নেই।
এদিকে আফগানিস্তানের মাদক রিহ্যাব কেন্দ্রে আটকে রাখা হয়েছে শত শত মাদকাসক্তকে। চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রিহ্যাব কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও তারা এখন আফিম কিংবা হেরোইনের বদলে খাচ্ছে বিড়াল ও মানুষের মাংস।
ডেইলি মেল-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে ডেনমার্কের ওই সাংবাদিক রিহ্যাব কেন্দ্র থেকে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তালিবান পরিচালিত ওই রিহ্যাব সেন্টারের ভিতরের পরিবেশ ভয়ঙ্কর।
ঠিক মতো খেতে দেওয়া হয় না রোগীদের। বেশির ভাগ দিনই তাদের অভুক্ত অবস্থায় থাকতে হয়। রোগীদের স্বাস্থ্যের কোনও খেয়াল রাখা হয় না। খাবার, ঠিক মতো চিকিৎসা না পেয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। আব্দুল নামের ওই রোগীর দাবি, রিহ্যাব কেন্দ্রের পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। খাবার না পেয়ে ক্রমশ হিংস্র হয়ে উঠছেন রোগীরা।
আব্দুলের দাবি, সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে খুন করে তার মাংস খেয়েছেন কয়েক জন। এমনকি ওই কেন্দ্রের ভিতরে থাকা একটি পার্কে একটি বিড়ালকে ধরে তার কাঁচা মাংস পর্যন্ত নাকি খেয়েছেন রোগীরা।
আফগান খাদ্য সংকট পশ্চিমাদের চাপানো
আফগানিস্তানের খাদ্যসংকট কৃত্রিম এবং আরোপিত। তালিবানদের শায়েস্তা করার একটি কৌশলমাত্র। একইভাবে আফ্রিকানদের শায়েস্তা করা হয়েছিল গত শতকে। আফ্রিকা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এখনো দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও খাদ্যসংকটে ডুবে আছে আফ্রিকানরা।
খাদ্যের কৃত্রিম সংকট গত শতকে ৬০ ও ৭০-এর দশকে আফ্রিকায় শুরু হয়েছিল। বিশেষ করে আফ্রিকার সাব সাহারা ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। ওদের জমি ছিল, কৃষি ছিল, কিন্তু উৎপাদন ছিল না। যদিও ওই সময় বিশ্বে খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিল।
ভূরাজনীতি ও বিশ্বরাজনীতির জটিল ও কুটিল কৌশলের কারণে আফ্রিকানদের খাদ্য দেওয়া হয়নি। খাদ্যসংকট ও সংঘাত থেকে আর বের হতে পারেনি আফ্রিকা। জাতিগত সংঘাত, সম্পদ নিয়ে হানাহানির শেষে এখন ধর্মীয় উগ্রবাদ আফ্রিকাতে বিস্তার লাভ করছে।
ভিন্ন ভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণ থাকলেও খাদ্যসংকট এখনো বিদ্যমান আফ্রিকার জনসাধারণের মধ্যে। এ মুহূর্তে পূর্ব আফ্রিকার দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া ও কেনিয়ার ২১ মিলিয়ন মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা দরকার। আফ্রিকার দেশগুলোতে বিদেশি শক্তির আগ্রাসনের প্রয়োজন হয়নি। মানব সৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্যসংকটে তারা এখনো বিপর্যস্ত।
তবে তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের অবস্থা আফ্রিকার মতো না-ও হতে পারে। মিত্র রাষ্ট্রগুলো থেকে কিছু খাদ্য সহায়তা পাবে তালিবানরা। আর উইঘুরদের উসকানি না দিলে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে চীন। অন্যথায় এই সংকট দীর্ঘায়িত হবে। খাদ্যসংকট সৃষ্টি করে শায়েস্তা করার কৌশল আবার ফিরে আসবে।
আফগানিস্তানে কমপক্ষে ২২ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যের সংকটের মুখে আছে। ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। ভয়াবহ এক মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে দেশটি।
অথচ আফগান অর্থনীতি পুরোপুরি বিদেশি সহায়তানির্ভর। আফগান জিডিপির ৪০ শতাংশ বিদেশি সহায়তা থেকে আসে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, কোনো দেশের জিডিপির ১০ শতাংশ বিদেশি সহায়তা থেকে এলে সেটি ‘দাতানির্ভর দেশ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
খাদ্যসংকট তৈরি করে প্রতিপক্ষকে দমানো অনেক পুরোনো কৌশল। যুদ্ধের ময়দানে কুলিয়ে উঠতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার করলেও শেষ অস্ত্র হিসেবে নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি প্রয়োগ করেছে তালিবান সরকারের ওপর। আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভয়াবহ খাদ্যসংকট হওয়ার কথা নয়।
যুদ্ধ ছাড়া ওই অঞ্চলে এমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি যে খাবার নিয়ে চারদিকে হাহাকার শুরু হবে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন স্থগিত রেখেছে। এ কারণে আফগান মুদ্রা ও ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। আফগান ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের নগদ অর্থ দিতে পারছে না। আমদানি মূল্যও পরিশোধ করতে পারছে না। এমনকি অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করা হলেও নগদ মুদ্রা দিতে পারছে না।
আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল আটকে দিয়ে আমদানির পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশে রক্ষিত তহবিলের ওপর তালিবান সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় খাদ্য আমদানির মূল্য ডলারে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্য আমদানি কমে আসায় বাজারে খাদ্যসংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বরং চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আফগানদের অধিক মূল্যে খাদ্য কিনতে হচ্ছে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৩৫৫
আপনার মতামত জানানঃ