লে. কর্ণেল (অবঃ) মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান
জেনারেল আজিজ স্যারকে আমি চিনি যখন তিনি পিপিএন্ডএ ডিরেক্টরেটে জিএসও-১ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সঠিক সময়টা মনে না থাকলেও এটা মনে আছে যে, তখন তিনি লে: কর্ণেল পদে পার্মানেন্টলি সুপারসিডেড ছিলেন। পরবর্তীতে যাদুর কাঠির ছোঁয়াতে তিনি চার বছরে তিনটি প্রমোশন লাভ করেন। সম্প্রতি তিনি যেভাবে ডয়েচেভেলে’তে (DW) সেনাপ্রধান পদের জন্য নিজেকে যোগ্যতম বলে দাবী করছেন তা সামান্য সত্যের কাছাকাছি হলেও মেনে নিতাম। ৫ম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের লে: জেনারেল মাহফুজ স্যারকে তার নিজের যোগ্যতার কাছাকাছি বা তার ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট মাহফুজ স্যার থেকে ভাল এমন দাবী তাকে প্যাথলজিক্যাল লায়ার হিসেবে নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করে। ‘আপনা ঢোল আপনি বাজাই’ এর নির্লজ্জতম প্রকাশ ঘটেছে এই সাক্ষাৎকারে।
আমি জেনারেল আজিজ স্যারের সাম্প্রতিক ইন্টারভিউয়ের প্রেক্ষিতে আমার নিজস্ব মতামত তুলে ধরবো আজ।
এক
সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জেনারেল আজিজ নিজের রাজনৈতিক চেতনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তার ভিসা বাতিল করেছে এমন কোন চিঠি তিনি হাতে পাননি। তার ভিসা এখনও বলবৎ আছে বলে তিনি দাবী করেন। এ বিষয়টি আমাদের কাছে বিশ্বাসযাগ্য করার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল সংক্রান্ত নিয়মনীতির অযথা বিস্তারিত বর্ণনা করে তার স্বভাবজাত চাতুর্য আর সতর্কতার সাথে মূল প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান!
মিথ্যামিথ্যি সুদীর্ঘ গল্প বলাটা জেনারেলের জন্য নতুন কিছু নয়। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস্ ম্যান’ রিলিজের আগে আল-জাজিরা তাকে অফিশিয়াল পত্র পাঠালে পরবর্তীতে তিনি পত্রপ্রাপ্তির ঘটনা পুরা অস্বীকার করেন। এখানে তিনি ইমিডিয়েট ফলাফলের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ধরে নিয়েছেন যে, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র সরকার এখন এ বিষয়ে কোন প্রেস রিলিজ দেবেনা তাই এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। আর পরবর্তীতে এটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে তিনি কী বলবেন, সেটাও আমি অগ্রীম বলে দিচ্ছি। উনি তখন বলবেন যে, আমি কোন চিঠি পাইনি হাতে। আসল কথা হলো, দুর্জনের ছলের অভাব হয়না কখনোই!
দুই
ভারতের প্রভাবে তিনি সেনাপ্রধান হয়েছিলেন কিনা এই প্রশ্নের একটাই উত্তর হতে পারতো- বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ। এখানে সেনাপ্রধান নিয়োগে ভারত কিংবা অন্য কোন দেশের প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নই ওঠে না। জনাব খালেদ, আপনার এই প্রশ্ন মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীকে করা উচিত কারণ তিনি আমার নিয়োগদাতা। আমি তার হুকুমের দাস মাত্র!
জেনারেল আজিজ কার আশীর্বচন নিয়ে সেনাপ্রধান হয়েছেন তা নিয়ে বিস্তারিত বলার কিছু নেই-এটা ভোরের আলোর মতোই পরিষ্কার। ভদ্রলোক সুনিপুণ প্রফেশনাল পারদর্শিতায় যথাযথ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে মিথ্যাচার করে গেছেন। উল্লেখ্য যে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একশোর অধিক আর্টিলারী অফিসার পাওয়া যাবে যারা ইনফেন্ট্রী ব্রিগেডের বিএম ছিলেন/কিংবা আছেন।
দেশবাসী সবাই জানেন যে, জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধান হওয়ার পিছনে মূল রহস্য হলো, তার তিন খুনী ভাই আনিস, হারিস এবং যোসেফের প্রতি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতজ্ঞতা। দি এ্যান্ড!
তিন
জেনারেল তার পিএ’র বিরুদ্ধে দূর্নীতি প্রসংগে যথারীতি মিথ্যাচার করেছেন। জেনারেল আজিজের প্রভাবের কারণেই দূর্নীতিবাজ পিএ’র বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু অকালীন অবসর দেয়া হয়। জেনারেল আজিজের যে ভাল দিকটা আছে সেটা হচ্ছে তার অনুগত সবাইকে তিনি প্রোটেক্ট করেন, এবং তখন ন্যায়-অন্যায় থেকে তার প্রতি লয়ালটি হয় মূল বিবেচ্য। জ্বী ভাই, ঠিক ধরেছেন, মাফিয়া ডন কর্লিয়নের গুণাবলী ঠিক এমনই!
এ বিষয়টি পরিষ্কার করে বুঝার জন্য একটি ঘটনার উল্লেখ করি। জেনারেল ইকবাল করিম সেনাপ্রধাণ থাকাকালীন সময়ে একটি অসাধু চক্র ধরা পড়ে, যারা সেনাবাহিনী এবং বিজিবিতে অর্থের বিনিময়ে রিক্রুটিংয়ের সাথে জড়িত। তখন আমি গোয়েন্দা সংস্হায় চাকুরীর সুবাদে বিস্তারিত জানলাম । এই চক্রের একজন ছিল বিজিবিতে কর্মরত লে: কর্ণেল শাহজাহান সিরাজ। আমি সিরাজ স্যারকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি, তাই এ বিষয়ে তার সংশ্লিষ্টতা আছে জেনে বেদনাহত হই। তখন সিরাজ স্যারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিজিবি থেকে সেনাবাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করার জন্য আদেশজারী করলেও তৎকালীন ডিজি বিজিবি জেনারেল আজিজ এক প্রায় এক বছর তাকে সেনাবাহিনীতে ফেরত পাঠাননি। শুধু তাই নয়, তিনি সেনাপ্রধান হয়ে তাকে শাস্তি দূরে থাক তাকে কর্ণেল পদে পদোন্নতি দেন।
চার
আজিজ সাহেবের সুযোগ্য ভাইদের নাম পরিবর্তন বিষয়ে তার প্রভাব ছিলনা বলে তিনি দাবী করেছেন। আল-জাজিরা ইতোমধ্যে দেখিয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসনাত এবং মেজর সুজা তার ভাইয়ের নাম পরিবর্তনের ডকুমেন্টে সাইন করেছেন। জেনারেল তার ভাইদের নাম এবং পিতা মাতার নাম পরিবর্তনের সাফাই গেয়ে বলেছেন বিদেশে যারা যায় তাদের একাংশ নাকি এমন নাম পরিবর্তন করেই যায়।
রিয়েলি জেনারেল? আমরা তো পিতামাতার দেয়া মান্ধাতার আমলের নাম আর তাঁদের আদর্শ নিয়েই বিদেশে এসেছি। আমাদের মাথার ওপর ডনের আশীর্বাদ না থাকলেও সাধারণ জনের আশীর্বাদ যে ছিল এবং আছে তা বলাবাহুল্য!
পাঁচ
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অসত্য দাবী করে জেনারেল বলেন, আমেরিকা তাকে ১৯ গান সেল্যুটসহ অন্যান্য সম্মাননা দিয়েছে। কী হাস্যকর দাবী! বেহায়াপনার চুড়ান্ত! তিনি আমেরিকায় গেছেন আমেরিকার আমন্ত্রণে যা দুই দেশের মিলিটারী কো-অপারেশনের অংশ। তারা আল-জাজিরার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তাদের আমন্ত্রিত অতিথিকে অসম্মান/কিংবা বাতিল করতে পারেনা। এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। তিনি যুক্তি দিলেন যে, আমেরিকার যথেষ্ট সক্ষমতা আছে আল-জাজিরার প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করার- তবুও তারা যেহেতু তাকে প্রোটোকল দিয়েছে তার মানে আমেরিকা আল-জাজিরার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে! ভাবনার দীনতা বুঝি একেই বলে!
ছয়
ইউএন সদর দপ্তরের মিটিংয়ের সফলতার সাথে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোন সম্পর্ক নাই। এ ধরনের দাবীদাওয়া সাধারণত: বাইলেটারালি আগেই সমাধান হয়ে যায় এবং বাংলাদেশের দাবীগুলো যৌক্তিক ছিল। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ইউএন যেহেতু তার সাথে মিটিং করে আমাদের দাবীগুলো মেনে নিয়েছে তার মানে তারা আল-জাজিরার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। স্যরি জেনারেল, আমাদের পাপীতাপী মন আপনার অতি সরলীকৃত যুক্তিতর্ক কিছুতেই মানতে পারছে না।
সাত
জেনারেল আজিজ ইউএন সদর দপ্তর থেকে লে: জেনারেল মাকসুদের বরাত দিয়ে ইউএন আমাদের কাছে পিক্স-৬ এর মত ফোন ইন্টারসেক্ট ডাটা এ্যানালিসিস এর মত সক্ষমতা ইউএন ডেপ্লয়মেন্টের জন্য চেয়েছিল এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। আমি যত দূর জানি বেশ কয়েকটি দেশ এবং হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন এইসব মানুষের ব্যক্তিগত ফোন টেপিং/হিউম্যান রাইটসের ভায়োলেশন উল্লেখ করে নিষিদ্ধকরণের দাবী জানিয়েছে সেখানে ইউএন লিখিতভাবে বাংলাদেশের কাছে এমন সক্ষমতা সহ সিগন্যাল ইন্টালিজেন্স ইউনিট চেয়েছে তা হতেই পারেনা। ইউএন সদর আল-জাজিরার রিপোর্ট এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের এই ইকুইপমেন্ট ইউএনের জন্য কেনা হয়েছে বলার পর তারা ক্লিয়ার করেছিল যে ইউএন কখনো এমন ইকুইপমেন্টের ডিমান্ড করেনি বা বর্তমানে ইউএন এর কোন ইউনিটে এর অস্তিত্ব নাই।
আট
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জেনারেলের ভাইদের দূর্নীতি, লুটতরাজ আর সামির ইনভলভমেন্টের জবাবে তিনি সামিকে (আল-জাজিরার জুলকারনাইন সায়ার) তার এডিসি সামি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ইচ্ছাপূর্বক মূল প্রশ্নটি এড়িয়ে গেছেন। ঠিক এইখানে খালেদ মহিউদ্দিনের বলা উচিত ছিল, এই সামি আল- জাজিরার সামি, নট হিজ এডিসি। আমার ধারণা, খালেদ মহিউদ্দিন ইচ্ছাপূর্বক ছাড় দিয়েছেন জেনারেল আজিজকে।
নয়
২০০৭ সালে জেনারেল আজিজের ভাই মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম করেছে বাংলাদেশ থেকে টাকা না নিয়ে! আচ্ছা, তাকে কী জিজ্ঞাসা করা যেত না যে হারিস ও আনিস মালয়েশিয়াতে নিজের যোগ্যতায় কী এমন চাকুরী বা ব্যবসা করে যে এমন আলিশান বাড়ীর মালিক হয়েছে? আল-জাজিরার প্রতিবেদনে দেখানো হাংগেরী এবং ফ্রান্সে হারিস যে ব্যবসাগুলো কিনেছে তার টাকা কোথা থেকে এলো? এই টাকা যে গৌরী সেনের টাকা তা অবুঝ শিশুও জানে!
বাংলাদেশের জনগণের ট্যাক্সের এই শত কোটি টাকা যে আজিজ-হারিস-যোসেফদের আনুগত্যের পুরষ্কার ছিল তা বুঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয়না!
দশ
বিগত প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে জেনারেলের মিথ্যাচার ছিল মাদার অফ অল লাইস! তার নির্লজ্জ
মিথ্যাচরণ বুঝার জন্য কোন যুক্তি উপস্হাপনেরও প্রয়োজন নাই! মাননীয় জেনারেল, আপনার কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সাধারণ মানুষের সম্মান আর আস্থা হারাতে বসেছে সেনাবাহিনী। এর দায়ভার আপনি কিছুতেই এড়াতে পারেন না।
এগারো
কর্ণেল শহিদউদ্দিন খানের সাথে তার অডিও টেপের বিষয়ে তার বক্তব্য ছিল গ্রাম্য শালিসে যুক্তি দেওয়ার মত। জেনারেল একবার স্পষ্ট বললেন যে, তিনি কর্ণেল খানের সাথে কথা বলেছেন। আবার খানিক পরেই বলছেন যে, যন্ত্রপ্রকৌশল ব্যবহার করে তার ভয়েস ক্লোন করা সম্ভব। এক পর্যায়ে তিনি আবার নিজেই নিশ্চিত করছেন যে এটা তার ভয়েস ছিল! সেলুকাস, স্যারজি!
বারো
জেনারেল আজিজকে তার ভাইদের দোষে দোষী করা যেত না যদি না তিনি একজন অতি সাধারণ মানের অফিসার হয়ে ভাইদের প্রভাব ব্যবহার করে সেনাপ্রধান হয়ে তার ভাইদের অনৈতিক সাহায্য না করতেন। তিনি অধিনায়ক ৩০ ফিল্ড রেজিমেন্ট থাকাকালীন ইউনিট এ্যামুনিশন ডিপো থেকে কিছু এ্যামুনিশন চুরি যায়। এবং একারণেই তিনি লে: কর্নেল র্যাংকে পারমানেন্টলি সুপারসিডেড হন বলে আমাদের ধারণা ছিল। সেই পর্যায় থেকে নিজেকে সেনাপ্রধানের জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি বলে দাবী করে তিনি নিজেকে নিজেই হাস্যকর করে তুলেছেন।
আমার ধারণা এটি একটি সেটআপ ইন্টারভিউ যার প্রশ্ন আগেই খালেদ মহিউদ্দিন দিয়েছিলেন জেনারেলকে। জেনারেল সেই মোতাবেক লিখিত নকলপত্র নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।
জেনারেল আজিজ এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নিজের স্ট্যান্ডার্ড তুলে ধরেছেন। তার পরিবারের যাবতীয় কুকীর্তি আর এই খোঁড়া যুক্তির ইন্টারভিউয়ের কারণে বাংলাদেশের সকল সেনাপ্রধানদের পাশে তিনি আজীবন মিসফিট হিসাবেই বিবেচিত হবেন। এই সাক্ষাৎকার যত জায়গায় শেয়ার করা হয়েছে সেখানে কমেন্টগুলো পড়লে তার সম্পর্কে সাধারণ জনগণের ধারণা জলবৎ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আমি বেশ কয়েকবার মনোযোগ দিয়ে সাক্ষাৎকারটি শুনেছি উপস্হাপক খালেদ মহিউদ্দিনকে বুঝার জন্য। আমার ধারণা এটি একটি সেটআপ ইন্টারভিউ যার প্রশ্ন আগেই খালেদ মহিউদ্দিন দিয়েছিলেন জেনারেলকে। জেনারেল সেই মোতাবেক লিখিত নকলপত্র নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। প্রশ্ন করার সাথে সাথেই জেনারেল লুকানো নকল পাঠ করছিলেন। কিন্তু হায়! জেনারেল কিংবা খালেদ কী জানেন না যে, ফাঁস হয়ে যাওয়া পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনভিজিলেটরের দায়িত্বপালন করছেন বাংলাদেশের আপামর জনগণ!
ইতোপূর্বে খালেদ মহিউদ্দিনের বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন বা অতিথির উত্তরের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন আমাকে চমৎকৃত করেছে কিন্ত জেনারেলের সাথে খালেদ ছিলেন নিষ্প্রভ, নিষ্প্রাণ। অতি সাধারণ মানের হোস্টও যদি খানিক হোমওয়ার্ক করে আসেন তবে একজন অসৎ, দূর্নীতিবাজ জেনারেলকে ঘাম ঝড়িয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট!
জনাব খালেদ মহিউদ্দিন, আপনি আমাদের আশাহত করেছেন। ‘অনেকেই বলে থাকেন’ কিংবা ‘কেউ কেউ বলে থাকেন’ বলে লঘুতর উচ্চারণে প্রশ্ন না করে খালেদ আপনি সরাসরি প্রশ্ন করতে পারতেন। সাংবাদিকতার নীতিমালায় অতিথিকে অসম্মান না করেও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রশ্ন করে জেনারেলকে ঘায়েল করা যেতো অনায়াসেই। এতে করে মিস্টার খালেদ আপনি নিজেই আরো সম্মানীত হতেন সাধারণ মানুষের কাছ।
সবশেষে, ধিক্কার জানাই মাননীয় প্রাক্তন চিফ অব আর্মি স্টাফকে যিনি জনগণের টাকায় ৩৯ বছর বেতন পকেটস্থ করে সরকারের লিখিত বক্তব্য পাঠ করার জন্য। ডিয়ার স্যার, আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা আগেও ছিলনা আর এখন নিজের কিংবা সরকারের ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে গিয়ে আরো ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছেন। এযুগের নাটকের স্ক্রিপ্ট আরো একটু প্রফেশনাল না হলে চলে? প্রাক্তন জেনারেল জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন পুরাপুরি। তার ধারাবাহিক মিথ্যাচার, কুযুক্তি, প্রশ্ন এড়িয়ে নানা গল্প বানানোর কূটকৌশল বাংলাদেশের সনাতন রাজনীতিজ্ঞদের কথা স্মরণ করায়।
আপনার মতামত জানানঃ