বগুড়া: আলোচিত সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ সংগঠনের অন্যতম সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়াকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া পুলিশ। পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করাসহ মানসিক ও শারীরীক নির্যাতন করার অভিযোগে দিদারের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। বগুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা গণমাধ্যমকে জানান, জাতিসংঘের অধীনস্থ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত এক নারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় দিদারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই রায়হান সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে ঢাকার বাড্ডায় দিদারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বগুড়ায় আনা হয়েছে। পরে রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
দিদারের দ্বিতীয় স্ত্রী একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, দিদার তার সাথে প্রতারণার মাধ্যমে তার পূর্বের বিয়ে এবং সন্তানের তথ্য গোপন করে ২০১৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর তাঁকে বিয়ে করেন।
এদিকে মামালার বাদী দিদারের দ্বিতীয় স্ত্রী একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, দিদার তার সাথে প্রতারণার মাধ্যমে তার পূর্বের বিয়ে এবং সন্তানের তথ্য গোপন করে ২০১৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর তাঁকে বিয়ে করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দিদার বাদীকে নানাভাবে নির্যাতন চালায়। দিদারের প্রথম স্ত্রী বিষয়টি জানার পর থেকে বাদীকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এক পর্যায়ে দিদার বাদীকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য চাপ দেয়। বাদী ডিভোর্স দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁর উপর শারীরীক নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত দিদার। বাধ্য হয়ে মামলার বাদী চলতি বছরের মে মাসের ২৫ তারিখে বগুড়া সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
গণমাধ্যমকে মামলার বাদী দিদারের দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন, মামলার পর থেকে দিদার তার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মামলা তুলে নেয়ার জন্যও তিনি চাপ দিয়ে আসছিলেন। দিদার প্রতারণা করে আমার জীবনটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসছেন। আমি তার উপযুক্ত শাস্তি চাই।
উল্লেখ্য, দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া আলোচিত সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তা দলের অন্যতম সদস্য। গত বছরের ৫ মে র্যাবের হাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মালায় আটক হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় জামিনে আছেন।
আপনার মতামত জানানঃ