রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র বাহিনীটির নাম হারাকা ‘আল-ইয়াকিন’ কক্সবাজার জুড়ে গড়ে তুলেছে ভয় আর ত্রাসের সাম্রাজ্য। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর হামলা। ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। এখন তারা বাংলাদেশেও আধিপত্য বিস্তার করছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে মাদক বিক্রি, মানবপাচার, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, ডাকাতি ও মাদকের টাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের কাজ করছে ‘আল-ইয়াকিন’। এই বাহিনী বাংলাদেশিদের অপহরণ করে নির্জন পাহাড়ে নিয়ে যায়। এরপর হাত-পা ও চোখ বেঁধে চলে নির্মম নির্যাতন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবিকৃত টাকা পেলে ছেড়ে দেওয়া হয়, না হলে পাহাড়ে গর্ত করে পুঁতে ফেলে। কক্সবাজারে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামেও এরা পরিচিত। কক্সবাজারবাসী এদের ‘জঙ্গি বাহিনী’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
সূত্র মতে, বর্তমানে আল-ইয়াকিনের প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছে কক্সবাজারে। দেড়শ’র মতো নারী সদস্যও রয়েছে তাদের। কক্সবাজার ও টেকনাফের প্রতিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তারা। তবে কুতুপালং ও বালুখালিতে তাদের সদস্য সংখ্যা বেশি।
কক্সবাজার পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে আল-ইয়াকিনের হাতে কমপক্ষে ২৫ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিক খুন হয়েছেন। প্রায়ই স্থানীয়দের (বাংলাদেশি) অপহরণ করে তারা। নির্জন পাহাড়ে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের সংবাদও শোনা যায়। ভুক্তভোগী এমন বেশ কয়েকটি পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাহাড়ে অভিযান চালায়। তবে এখন পর্যন্ত এ চক্রের একজন সদস্যকেও গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে আল-ইয়াকিনের নেতারা দাবি করেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার আরাকানের অংশ। তারা এতদিন মিয়ানমারের রাখাইনে ছিলেন। এখন তাদের আরেক রাজ্য কক্সবাজারে এসেছেন। তারা এখানেই থাকবেন, রোহিঙ্গাদের দাবি আদায়ে কক্সবাজারের নিয়ন্ত্রণ নেবেন।
আল-ইয়াকিনের ভয়াবহতা
সূত্র মতে, শুধু বাংলাদেশি নয়, রোহিঙ্গারাও তাদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছেন। চলতি বছরের মার্চে উখিয়ার বালুখালি ক্যাম্পে ভয়াবহ যে আগুনের ঘটনা ঘটে তা ছিল আল-ইয়াকিনের কাজ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা রোহিঙ্গাদের ঘর পুড়িয়ে দেয়।
অপহরণের পরই ভুক্তভোগীদের চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে নির্জন পাহাড়ে নেওয়া হয়। পাহাড়ে ওঠার পর তাদের পাও বেঁধে ফেলা হয়। সেখানে তিন-চার ফিট গভীর গর্তে রাখা হয় তাদের। মাথার ওপরে খোলা আকাশ। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি যা-ই হোক না কেন সেখানেই থাকতে হয়। পাশের ঝুপড়ি ঘরে অবস্থান করতেন অপহরণকারীরা।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ইউনিয়ন শামলাপুর থেকে এখন পর্যন্ত অনেককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে এ বাহিনীর সদস্যরা। মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা এমন ভুক্তভোগীর একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ব্যবসায়ী জানান, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১৫ দিন পর মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনে পরিবার।
চলতি বছরের ১৯ মে টেকনাফ থেকে কামরুল হাসান নামের এক সিএনজিচালককে অপহরণ করে আল-ইয়াকিনের সদস্যরা। তিনি বলেন, ‘আমাকে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণ করা হয়। তারা আমার চোখ বেঁধে শালবন পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে দিনে দু-তিনবার মারধর করা হতো, পরনের কাপড় খুলে নির্মমভাবে পেটানো হতো।’
‘আমাকে দিয়ে বাবাকে প্রতিদিন ফোন দিত তারা। মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বাবাকে ফোন দিয়ে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে শব্দ শোনাত, যাতে তিনি ভয় পান। দ্রুত মুক্তিপণের টাকার ব্যবস্থা করেন। অপহরণের ১১ দিনের মাথায় পাঁচ লাখ টাকা দিলে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। ক্যাম্পের কাছে আমার সামনেই তারা টাকাগুলো ভাগ করে নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ের চূড়ায় থাকাবস্থায় মাঝেমধ্যে আমার চোখ খুলে দেয়া হতো। সেসময় দেখতাম, তারা সংখ্যায় ১২-১৪ জন। সবার কাছে নাইন এমএম পিস্তল। পর্যাপ্ত গুলিও থাকত তাদের সঙ্গে। চার/পাঁচজনের কাছে দুটা করে অস্ত্র থাকত।’
সূত্র মতে, দিনে একবেলা তাদের খাবার দেওয়া হতো। অধিকাংশ সময় মিলত চিড়া-মুড়ি আর পানি। অন্যদিকে, সারাদিন চলত পাশবিক নির্যাতন। পুরোপুরি উলঙ্গ করে লাঠি দিয়ে পেটানো হতো। গলায় ছুরি ধরা হতো, মাঝেমধ্যে হাতে পোঁচ দিয়ে রক্ত বের করে দিত। ঘাড়ে ও মাথায় পিস্তল ঠেকাত, বাট দিয়ে আঘাতও করত। ভয় দেখাতে আকাশে ফাঁকা গুলি ছুড়ত। এ সময় তারা বলত, মুক্তিপণের টাকা না দিলে এখনই মেরে ফেলবে। বাঁচার জন্য ভুক্তভোগী যখন কান্না শুরু করত তখনই তারা পরিবারের কাছে ফোন দিত।
অপহরণের শিকার এক ভুক্তভোগী জানান, আমার মুদি দোকান ছিল। তাদের বলেছিলাম, পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারব না। তারা আমাকে উলঙ্গ করে একদিন দাঁড় করিয়ে রাখে। মুক্তিপণের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তারা আমাকে প্রস্রাব-পায়খানা করতে বারণ করে। যখন চেপে ধরতে পারতাম না তখন লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে আমাকে পেটানো হতো।
গত কয়েক মাসে তাদের হাতে ধর্ষণের শিকার পাঁচ/ছয় জন নারীর সূত্র ধরে নাম প্রকাশ না করে এক পল্লীচিকিৎসক জানান, আল-ইয়াকিনের সদস্যরা তাদের সর্বনাশ করেছে। ক্যাম্পের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তেমন বিচরণ নেই। এ সুযোগে যা ইচ্ছা তা-ই করার সুযোগ পায় আল-ইয়াকিন। ইচ্ছা হলে তারা পরিবারের সদস্যদের সামনেই নারীদের ধর্ষণ করে। সর্বশেষ মে মাসে আল-ইয়াকিন সদস্যদের হাতে ধর্ষণের শিকার, পরে গর্ভবতী হওয়া এক রোহিঙ্গা নারী আমার কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং গর্ভপাত করিয়েছেন।
যেভাবে অপহরণ করা হয়
সূত্র মতে, আল-ইয়াকিন বর্তমানে নারী সদস্য নিয়োগ দিচ্ছে। ক্যাম্পের নানা তথ্য তারা সংগঠনের নেতাদের জানিয়ে দেয়। এছাড়া স্থানীয় বিত্তশালীদের (বাংলাদেশি) বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে আল-ইয়াকিনের সুন্দরী নারী সদস্যরা। পরে তাদের ক্যাম্প থেকে অপহরণ করা হয়। এ কাজের জন্য ১০ হাজার করে টাকা পায় তারা।
এভাবে অপহরণের শিকার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করে জানান, টেকনাফের শাল বাগান, শামলাপুর পাহাড়, জিমংখালি পাহাড়, পালংখালি, কুতুপালং ক্যাম্প ও মিনা বাজার সংলগ্ন নির্জন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হতো তাদের। এসব পাহাড় অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশ নির্জন, বন্য হাতি চলাফেরা করে। এ কারণে ভয়ে ওদিকে কেউ যায় না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সচরাচর এসব এলাকায় অভিযান চালাতে সাহস দেখায় না। গত পাঁচ বছরে র্যাব-পুলিশ মাত্র দু-একবার সেখানে যৌথ অভিযান চালায়। এ কারণে এসব পাহাড় নিরাপদ মনে করে আল-ইয়াকিনের সন্ত্রাসীরা।
সূত্র মতে, কক্সবাজারে আল-ইয়াকিন সদস্যদের নিজস্ব সোর্স থাকে। তারা বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নিয়ে যায়। পরে আল-ইয়াকিনের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। এ কাজে তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পায়। সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে অস্ত্রের মুখে নিয়ে যাওয়া হয় শালবনের নির্জন পাহাড়ে। ছেলেকে উদ্ধারে এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ অনেককে দিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তবে তারা কোনোভাবেই টাকা ছাড়া ছেলেকে ছাড়তে রাজি হয়নি। পাহাড়ের ওপরে তারা (আল-ইয়াকিন) কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করেছে, বড় বড় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থাকে। তাই পুলিশও সেখানে যেতে সাহস দেখায় না।
মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধান
স্থানীয় থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের এপ্রিলে টেকনাফের জীমংখালি থেকে এক দিনমজুর ও দুই কৃষককে (জুমচাষি) তুলে নিয়ে যায় আল-ইয়াকিনের সশস্ত্র সদস্যরা। তারা তাদের পরিবারের কাছে মোট ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ওই সময় তাদের উদ্ধারে টেকনাফের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস উনচিপ্রাং, মিনাবাজার, জীমংখালিসহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ে অভিযান চালান। তবে তাদের উদ্ধার করা যায়নি। পরে তিন লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দিয়ে দুজন কৃষক ফিরে আসেন। তবে দিনমজুরের পরিবার টাকা দিতে না পারায় তাকে হত্যা করা হয়। পরে তার মাটিচাপা মরদেহ মেলে জীমংখালির পাহাড়ে।
স্থানীয় পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন জানায়, টেকনাফ ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসবিবিএল (একনলা বন্দুক), নাইন এমএম পিস্তল, থ্রি নট থ্রি রাইফেল, ওয়ান শুটারগান, এমনকি একে-৪৭ এর মতো মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। মাঝেমধ্যে কিছু অস্ত্র ধরাও পড়ে।
কক্সবাজারের স্থানীয়রা (বাংলাদেশি) বলছেন, তারা কক্সবাজার ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখেছেন। এগুলো অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে আনা। বিষয়টি স্থানীয় থানা পুলিশও স্বীকার করেছে। তবে সীমান্ত দিয়ে কীভাবে অস্ত্র প্রবেশ করছে— এ প্রশ্নের উত্তর মেলেনি কারও কাছে।
টেকনাফ থানা পুলিশ জানায়, তাদের সঙ্গে প্রায়ই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রায়ই পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে।
পুলিশের ব্যর্থতা
কক্সবাজারের স্থায়ী বাসিন্দাদের দাবি, আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাত সশস্ত্র সংগঠন আল-ইয়াকিন পরিচালনা করছেন। তাকে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও ধরতে পারেনি পুলিশ
বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মোট ১২টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তাদের মধ্যে মুন্না গ্রুপ, আনাস গ্রুপ, মাহাদ গ্রুপ, সালমান শাহ গ্রুপ, হাফেজ আহমদ গ্রুপ, হাকিম ডাকাত গ্রুপ, নুরে আলম বাহিনী, জকির ডাকাত গ্রুপকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা জানান, সেখানে বর্তমানে আতাউল্লাহর বাহিনী, আরএসও, আরআরএসও নামের কয়েকটি সংগঠন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
যদিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক আল-ইয়াকিন কিংবা আরসার মতো উগ্রবাদী সংগঠনের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
আল-ইয়াকিনের প্রধান কে?
কক্সবাজারবাসীর দাবি, সশস্ত্র সংগঠন আল-ইয়াকিন পরিচালনা করছেন আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাত। গরু চোরাকারবারির মাধ্যমে তার বেড়ে ওঠা। মিয়ানমার থেকে গরুর চালান আনতেন বাংলাদেশে। মিয়ানমারে ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ও অস্ত্রকারবারে। কক্সবাজার অঞ্চলের বিশেষ মহলের আশীর্বাদে এক সময় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে গড়ে তোলেন ডাকাত বাহিনী। কক্সবাজারের সীমান্ত জনপদ টেকনাফের পাহাড়ি অঞ্চল ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আবদুল হাকিম।
মিয়ানমারের রাশিদং থানার বড়ছড়া গ্রামের জানি আলীর ছেলে তিনি। দুই যুগ আগে হাকিম মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে খুন করে দেশ ছাড়েন, পালিয়ে আশ্রয় নেন টেকনাফে। সঙ্গে নিয়ে আসেন স্ত্রী-সন্তান ও পাঁচ ভাইকে।
অভিযোগ আছে, কুতুবদিয়া দ্বীপে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মনিবন্ধনসহ ভোটার আইডি তৈরি করে নেন হাকিম ও তার পরিবারের সদস্যরা।
গত বছরের ২৬ জুন পুলিশ তাদের আস্তানায় অভিযান চালালে হাকিম ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ওই সময় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তার দুই ভাই বশির আহমেদ ও আবদুল হামিদসহ চারজন। এর আগে তার আরেক ভাই, শ্যালক ও স্ত্রী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।
অভিযোগ রয়েছে, ডাকাত হাকিম ২০১৫ সালের ১২ জুন সেলিম ওরফে মুন্ডি সেলিমকে হত্যা করেন। নুরুল কবির নামে একজনকেও খুন করেন তার বাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের মংডুর বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে নুর হাফেজ ও নাইট্যংপাড়ার মৃত মোহাম্মদ কাশিমের ছেলে তোফায়েলকেও অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ রয়েছে এ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। রয়েছে অসংখ্য ধর্ষণের অভিযোগও।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৮২০
আপনার মতামত জানানঃ