করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মোকাবিলার জন্য তথ্য ভাগাভাগি এবং নীতি ও কাজের সমন্বয়কে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ, চীন, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। হেমন্ত এবং শীত মৌসুম কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’, এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে এই পাঁচ দেশ।
চীন বলছে যে তারা অন্য চারটি দেশের সাথে পরীক্ষা, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও ওষুধের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এছাড়া, এ চারটি দেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ইতিবাচকভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার বিষয়েও প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে চীন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, যৌথভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে জনগণের জীবন, সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি উন্নয়নের গতি বাড়ানোর জন্য, চীন, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা গত ১০ নভেম্বর এ সম্পর্কিত একটি উপমন্ত্রী পর্যায়ের ভিডিও সম্মেলন করেছে।
এ সময় তারা একমত হন যে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংহতি ও সহযোগিতা সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক, পেশাদার মতবিনিময় গুরুত্বপূর্ণ এবং ভাইরাসের বিবর্তন ও বিকাশের বিষয়টি নিরপেক্ষতা ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতেই বিচার করা উচিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাঁচটি দেশ একমত হয়েছে যে করোনা সংক্রমণ রোধে স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে যুক্ত দেশগুলোর সীমান্ত অঞ্চলে যৌথ সাড়াদান ব্যবস্থা স্থাপন করা উচিত।
বড় সহযোগিতা প্রকল্পগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পুনরায় শুরু এবং শিল্প ও সরবরাহ চেইনগুলো স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছে চীন। পাঁচটি দেশ করোনা মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য অপ্রচলিত সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একান্ত ভিত্তিতে পরামর্শ করতে এবং প্রাসঙ্গিক কার্যনির্বাহী গ্রুপ প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে।
ইউএনবি’র খবর
Available for everyone, funded by readers. Every contribution, however big or small, makes a real difference for our future. Support to State Watch a little amount. Thank you.
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ