২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের কনস্যুলেটে সৌদি এজেন্টদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও রাজতন্ত্রের নীতির কট্টর সমালোচক খাশোগজি। এ নিয়ে গোপনে বিস্তর তদন্ত করছে ইয়াহুর সংবাদমাধ্যম। এ সংক্রান্ত একটি ধারাবাহিক অডিও সম্প্রচার বা পডকাস্ট প্রচার করছে ইয়াহু।
ইয়াহুর অনুসন্ধানভিত্তিক পডকাস্টে বলা হয়, ২০১৮ সালের গাল্ফস্টিম জেটে করে ইস্তাম্বুল আসে হত্যাকারীরা। এর আগে মিশরের কায়রোতে ক্ষণিকের জন্য অবতরণ করে জেটটি, সেখান থেকেই এই অবৈধ ড্রাগ নেওয়া হয়, যা দিয়েই মূলত খাশোগজিতে প্রাণে মেরে ফেলে হত্যাকারীরা। তবে এই প্রতিবেদনে এটি স্পষ্ট করা হয়নি, কারা এ ড্রাগ তাদেরকে সরবরাহ করেছিলো।
পডকাস্টে খাশোগজির হত্যার বিবরণ দিয়েছে ইয়াহু। সেখানে বলা হয়, হত্যার দিন নিজের বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন খাশোগজি। সেখানে প্রবেশ করেই বিপদ আঁচ করতে পারেন এই সাংবাদিক, পালানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
খাশোগজিকে জোর করে কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসরুমে একটি চেয়ারে বসানো হয়। ঐ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেনসিক চিকিৎসক সালাহ তুবাগি। তিনিই এই ড্রাগ ইনজেক্ট করেন খাশোগজির শরীরে। ইনজেক্ট করা ড্রাগের পরিমাণ তাকে হত্যা করতে যথেষ্ট ছিলো।
এই প্রতিবেদনে খাশোগজি হত্যায় মিসর কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার সরাসরি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট অন্তত ৪ জন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার এ তথ্য জানিয়েছিলো।
পুলিশের ধারণা, ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো। যদিও সৌদি সরকার বরাবরই এ হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ/২০১২
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ