কোভিড আক্রান্তদের বিছানার চাদর, বালিশ করোনাভাইরাসে ভর্তি থাকে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের যে ঘরে কোভিড আক্রান্তেরা থাকেন, সেখানকার মেঝেও কোভিডের জীবাণুতে ভর্তি হয়ে থাকে। কিন্তু তা থেকে সংক্রমণ ছড়ায় না। হালের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান দিয়েগো স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা করোনার সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তা থেকেই উঠে এসেছে নতুন কিছু তথ্য। তার মধ্যে অন্যতম হল স্পর্শ বা কোনো তল থেকে এই ভাইরাসে বিপুল পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে না। মুখ থেকে বেরিয়ে আসা বাষ্পের মাধ্যমেই এর সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যথাযথভাবে সাবধান হয়ে যে সব স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড রোগীদের পরিচর্যা করেছেন, তাদের শরীরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণের পরিমাণ অত্যন্ত কম।
স্পর্শ বা কোনো তল থেকে কোভিডের জীবাণু ছড়িয়ে না পড়লে, হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার প্রয়োজন কি কমে যাবে? এখনই এর উত্তর দিচ্ছেন না গবেষকরা। বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। তবে গত বছরে যে সব গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, স্পর্শ বা তল থেকে এই ভাইরাস ব্যাপক পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে, সেই তত্ত্বকে কিছুটা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে হালের এই গবেষণাটি।
করোনায় আরো ৯ হাজার প্রাণহানি
মহামারী করোনাভাইরাসের তাণ্ডব যেন থামছেই না। দিন যতই যাচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে মহামারী এ ভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৮ লাখ ১৯ হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ৬৭ লাখেরও বেশি মানুষ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরো ৯ হাজার ৯০ জন জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০৭ জন।
এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৭০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ৬৯ জন।
করোনাভাইরাস ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়। বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস মহামারি ঘোষণা করে। এই ভাইরাস বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কাড়ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও প্রায় এক বছর কঠোর সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও গণসচেতনতার ফলে করোনাভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে এবং বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ//১৪১২
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ