রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের ৭ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মসজিদটির ইমামকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, পরকীয়ার জেরে প্রেমিকার স্বামীকে খুন করে মসজিদের ইমাম।
আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটায় সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণখান থানার পুলিশ।
নিহতের নাম আজহারুল ইসলাম (৩০)। তিনি একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। তিনি দক্ষিণখানের মধুবাগ এলাকার ইউসুফ গাজীর ৩৯ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানায় ।
আব্দুর রহমান ওই মসজিদে ৩০ বছর ধরে ইমামতি করছেন। তাকে সোমবার রাতে আটক করে র্যাব। আসামির দেওয়া তথ্যমতে, তিনি ৩ দিন আগে ভিকটিমকে হত্যা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আজহারুল পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণখান এলাকায় থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার গভীর রাতে সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার ৭ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার থেকে আজহারুল নিখোঁজ ছিল। পরে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে র্যাব। একটি সূত্রে খবর পেয়ে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন আজহারুলের লাশ কেটে ৭ টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশের সহায়তায় মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজহারুলের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করছে পলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিনখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুর হক মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান ও আজাহারের মধ্যে আগে থেকেই ভালো যোগাযোগ ছিল। গত শুক্রবার থেকে আজহারুল নিখোঁজ ছিল। র্যাব একটি সোর্সের মাধ্যমে খবর পায়, ইমাম আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আজহারুলের সন্ধান মিলবে। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আজহারুলকে ৭ টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে সিমেন্ট ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। ইমামের তথ্য মতে ভোরে সেপটিক ট্যাংক থেকে তার টুকরা লাশ উদ্ধার শুরু করে পুলিশ। একে একে তার শরীরের বিভিন্ন টুকরা অংশ বের করে আনা হয়। পরে সেগুলো পুরাপুরি মিলে যায়।
এই হত্যাকাণ্ডে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান ৩০ বছর ধরে এখানে ইমামতির দায়িত্ব পালন করছেন। আসামি গতকাল রাতে আটক হন এবং বর্তমানে তিনি র্যাব হেফাজতে রয়েছেন।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১২৫৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ