সিলেটের বন্দরবাজার কাষ্টঘর এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে দীর্ঘ তদন্ত শেষে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বুধবার(৫ মে) আলোচিত এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই সিলেট বিভাগ এই কথা জানায়। তবে রায়হান হত্যা মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্রে ‘অসন্তুষ্ট’ হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন তার মা সালমা বেগম। একইসাথে ইয়াবাকে কেন্দ্র করে রায়হান হত্যা হয়েছে বলে পিবিআইয়ের এই তথ্যকে বানোয়াট বলে দাবি করেছেন তিনি।
রায়হান হত্যাকাণ্ডে এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত বহুল আলোচিত রায়হান আহমদ(৩৪) হত্যা মামলায় ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ বুধবার দুপুরে আদালত পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।
অভিযুক্তরা হলেন— প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে এসআই মো. আকবর হোসেন ভূইঁয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও এএসআই আশেক এলাহী।
আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
চার্জশিট দাখিলের পর বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন পিবিআই’র বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। এ সময় পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ্জামান ও তদন্ত কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পিবিআই’র বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, পিবিআই গত বছরের ১৩ অক্টোবর রায়হান হত্যা মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব নেয়। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা, তত্ব-উপাত্ত বিশ্লেষণ, ৬৯ জনের সাক্ষ্য, রায়হানের সাথে পরের বিরোধ আছে কি-না নানা বিষয়ে তদন্ত করে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে রয়েছেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রায় এক হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এখন যেহেতু করোনার কারণে কোর্ট বন্ধ, ভার্চুয়াল আদালতে সীমিত কার্যক্রম চলছে। আদালত পুরোদমে চালু হলে তা আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
প্রদীপ কুমার দাস বলেন, তবে এর ভেতরে পিবিআই দেওয়া অভিযোগপত্রে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনও অসঙ্গতি পেলে তা পিবিআইকে জানানো হবে সংশোধন করার জন্য।
সিলেট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান জানান, দীর্ঘ ছয় মাসেরও বেশি সময় তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। আলোচিত এ মামলাটির আসামি পুলিশ হওয়ায় একটি নির্ভুল, ত্রুটিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য চার্জশিট তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে।
তবে আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন পিবিআইপ্রধান।
রায়হান হত্যার কেন্দ্রে ইয়াবা
আলোচিত এই হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিলের পর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পিবিআই সিলেট বিভাগ। দীর্ঘ ৭ মাস তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে, সিলেটের বন্দরবাজার কাষ্টঘর এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে। ইয়াবা আসল কিনা তা নিয়ে ইয়াবা বিক্রেতা সাইদুল শেখ ও রনি শেখকে মারধর করে তাদের টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা রায়হানকে আটক করে। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিসহ খারাপ ব্যবহার করেন রায়হান। এ ঘটনার জেরেই পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়।
পিবিআই সিলেট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কবীর জানান, গত ১১ অক্টোবর পৌনে ২টার দিকে সাইদুল শেখ ও রনি শেখ নামে দুই ব্যক্তি কাষ্টঘরে সুইপার কলোনিতে গিয়ে ৬০০ টাকায় ৪ পিস ইয়াবা কেনেন। এ সময় সুইপার কলোনিতে অবস্থান করছিলেন রায়হান। বিক্রি করা ইয়াবা আসল নয়— এ অভিযোগে সাইদুল শেখের কাছ থেকে একটি মোবাইল ও ৯ হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় রায়হান।
এ ঘটনার পর সাইদুল শেখ বন্দরবাজার এলাকার মাশরাফিয়া রেস্টুরেন্টের সামনে বন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। সাইদুল শেখ অভিযোগে বলেন, পুলিশ সদস্য পরিচয়ে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে রায়হান।
পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কবীর বলেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুইপার কলোনির চুলাই লালের ঘর থেকে ভিকটিম রায়হানকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন রায়হান। পরে বাসা থেকে টাকা এনে সাইদুল শেখের টাকা ফেরত দিতে এবং ছিনতাই ও পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় ফাঁড়িতে তাকে মারপিট করেন পুলিশ সদস্যরা। এরপর ভোরে আহতাবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মো. হুমায়ন কবীর বলেন, রায়হানের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা ছিল। পরবর্তীতে সেটির বিচার কাজ শেষ হয়। এরপর ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়। সেটি বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, রায়হান মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কাষ্টঘর এলাকায় তার সব সময় আসা যাওয়া ছিল। ঘটনার দিন রাতেও তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।
অভিযোগপত্র নিয়ে রায়হানের মায়ের অভিযোগ
সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে (৩৪) হত্যা মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্রে ‘অসন্তুষ্ট’ হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন তার মা সালমা বেগম।
তিনি অভিযোগ করেন, অভিযোগপত্রে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত আরও কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে রায়হানের নামে আরও কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো বানোয়াট এবং সাজানো বলে মনে হয়েছে। তবে অভিযোগপত্র আদালত থেকে উঠিয়ে পর্যালোচনার পর আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগপত্রে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা প্রসঙ্গে সালমা বেগম বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) তৌহিদ মিয়ার মুঠোফোন থেকে ফোন দিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রায়হান। কিন্তু অভিযোগপত্রে তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। সে সঙ্গে কুতুব আলী নামের এক পুলিশ সদস্যকেও অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়নি। ঘটনায় অভিযোগকারী হিসেবে সাইদুল শেখ ও রনি শেখকেও অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়নি।
পিবিআইয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে রায়হানের বিরুদ্ধে দুটি মামলার কথা উল্লেখ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দুটি ভাড়া বাসা ছিল। সেখানে ভাড়া আনতে গিয়ে রায়হানকে সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সে সময় ভাড়াটেরা পালিয়ে গেলে ভাড়া আনতে যাওয়া রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যারা ভাড়া ছিল তারা মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তবে রায়হানকে কোনো সময় মাদক সেবন করতে দেখেননি কিংবা শোনেননি বলে জানান তিনি। যা পোস্টমর্টেমের প্রতিবেদনেও আসেনি।’
রায়হানের মা সালমা বেগম প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, অন্য কারো ইন্ধনে পূর্ব পরিকল্পনার জেরে রায়হানকে তুলে এনে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে বুধবার সালমা বেগম বলেন, ‘পূর্ব বিরোধ না থাকলেও আমার ছেলেকে ধরে নির্যাতন করার অধিকার কারো নাই। সে অন্যায় করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ মারধর করবে কেন?’
তিনি বলেন, ‘রায়হানকে রাত একটার দিকে তুলে নেয় বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। সকাল ৭টার দিকে সে মারা যায়। এই ৬ ঘণ্টা ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে তাকে নির্মম ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এখানে পূর্ব বিরোধ বা তাৎক্ষণিক বিরোধ মুখ্য বিষয় নয়।’
কথা বলতে গিয়ে একসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সালমা বেগম। তিনি বলেন, ‘রায়হান অপরাধ করে থাকলে তাকে আটকের পর পুলিশ আমাদের অবহিত করবে। কিন্তু তা না করে শেষরাতে টাকা চেয়ে ফোন করানো হলো। আর রায়হানের মৃত্যুর পর নিজেদের এক দালালের মাধ্যমে আমাদের কাছে খবর পাঠায় পুলিশ। এসব কেন করা হলো?’
সালমা বেগম আরও বলেন, ‘ইয়াবা-ছিনতাইসহ এখন নানা বিষয়কে রায়হানের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। রায়হান যেহেতু নেই, তাই এমন বিষয়ের সত্য-মিথ্যা যাচাই করা সম্ভব নয়। এখন তো সে আর এসবের প্রতিবাদ করতে পারবে না। ফলে আমাদের দাবি একটাই, রায়হান হত্যার বিচার চাই।’
রায়হান হত্যাকাণ্ড
নগরীর আখালিয়ার নেহারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে গত বছরের ১১ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে যায় পুলিশের একটি দল। এরপর টাকার দাবিতে তাকের রাতভর ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে দিকে তাকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হান হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে অজ্ঞাত পুলিশ সদস্যদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে তান্নি উল্লেখ করেন, ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে তার স্বামী রায়হান আহমদ কর্মস্থল নগরের স্টেডিয়াম মার্কেটস্থ ডা. গোলাম কিবরিয়া ও ডা. শান্তা রাণীর চেম্বারে যান। পরদিন ১১ অক্টোবর ভোর ৪টা ৩৩ মিনিটে ০১৭৮৩৫৬১১১১ মোবাইল নম্বর থেকে (কনস্টেবল তৌহিদের নম্বর) তার শাশুড়ির (রায়হানের মা সালমা বেগম) মোবাইল ফোনে কল দেয়া হয়। ফোন রিসিভ করেন রায়হানের চাচা (সৎ বাবা) হাবিবুল্লাহ।
ফোনে রায়হান আর্তনাদ করে জানান, তিনি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আছেন এবং তাকে বাঁচাতে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে যেতে বলেন। এরপর হাবিবুল্লাহ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে রায়হান কোথায় জানতে চাইলে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, সে ঘুমিয়ে গেছে। আর যে পুলিশ রায়হানকে ধরেছে, তিনিও চলে গেছেন। এরপর তাকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাঁড়িতে আসতে বলেন ওই পুলিশ সদস্য।
হাবিুল্লাহ সকাল পৌনে ১০টার দিকে আবার ফাঁড়িতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য জানান, রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রায়হানের চাচা ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, রায়হানকে সকাল ৬ টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। মর্গে হাবিবুল্লাহসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা গিয়ে রায়হানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে পান।
এজাহারে তান্নি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমার স্বামীকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে পুলিশি হেফাজতে রেখে হাত-পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করা এবং হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ ফাঁড়িতে রাতভর নির্যাতনের ফলে আমার স্বামী মারা গেছে।’
এদিকে সুরতহাল রিপোর্টেও নখ, ডান হাত ও ডান পায়ে আঘাতের উল্লেখ ছিল।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৮১২
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ