দেশে সাংবিধানিক রাজনীতির সব পথ এখন রুদ্ধ। বর্তমান সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অবক্ষয় হয়েছে। তাই উদার ও গণতান্ত্রিক একটা কালচার দেশে ফেরত আনতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে পরিবর্তনের জন্য দরকার সাহস। আজ রোববার সকালে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এমনটাই বলছিলেন।
রাজধানীর বিজয়নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।
‘পরিবর্তনের জন্য দরকার সাহস’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই অন্যায়, অবিচারকারী, ফ্যাসিস্ট সরকারের কি এতগুলো বুলেট আছে যে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে!
কিছু লোক মারতে পারবে, আমাদের কিছু লোকের আত্মত্যাগে যদি দেশে পরিবর্তন হয় এর চেয়ে বড় সফলতা আর কী হতে পারে? জয় আমাদের হবেই। পরিবর্তন চাই, পরিবর্তনের জন্য সবাইকে সাহস সঞ্চয় করা দরকার।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এই সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অবক্ষয় হয়েছে। উদার ও গণতান্ত্রিক একটা কালচার বাংলাদেশে ফেরত আনতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবি পার্টি গত এক বছর লাগাতার কাজ করেছে। দেশের আপামর মানুষের জন্য, গণতন্ত্র, তাদের মৌলিক অধিকার এক কথায় মানুষের কল্যাণের স্ব-পক্ষে তারা লড়াই করেছে। এবি পার্টি একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করছে।
এবি পার্টির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র
এবি পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, যখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে সাংবিধানিক রাজনীতির সব পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনের নামে আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও তামাশার উৎসব চালু করা হয়েছে।
যখন রাজনীতি নিয়ে মানুষের মাঝে ভয়, শংকা ও চরম অনীহা বিরাজমান তখন স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দেশ, জাতি ও নতুন প্রজন্মকে কল্যাণ রাষ্ট্র ও রাজনীতির নতুন অভিমুখ দেখানোর দুঃসাহসিক লক্ষ্যেই গত বছর এই দিনে এবি পার্টি তার আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেয়।
এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের যে প্রতিশ্রুতি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে দেওয়া হয়েছে, জনগণের জন্য তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের মাধ্যমে এবি পার্টির যাত্রা শুরু। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলামে এই তিনটি অধিকারের সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।
বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, আমার এবি পার্টিকে দেখে মনে হয়েছে যে তারা নরডিক দেশগুলোর আদলে দেশকে একটা উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এবং এই উদ্যোগ যদি সফল হয় তাহলে তা এদেশের জন্য এক যুগান্তকারী ঘটনা হবে।
‘তরুণদের রাজনীতিমনস্ক করুন’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, এবি পার্টি নতুন দল হলেও নেতৃত্ব ও ব্যক্তিগুলো নতুন নয়, তারা প্রবীণ ও অভিজ্ঞ। আমি আবেদন করব- তরুণদের ধরে রাখুন, তরুণ পেশাজীবীদের রাজনীতিমনস্ক করুন, তাদেরকে রাজপথে আনুন। কারণ তারাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, আমি আশা করি- এবি পার্টি বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের পাশে, গণতন্ত্রের পাশে, নারী জাগরণের পাশে হাজার বছর ধরে থাকুক।
এবি পার্টির জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভার্চুয়ালি আরও বক্তব্য দেন সাবেক উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার মিলন, লেখক ও কলামিস্ট শ্রী গৌতম দাস, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব মাওলানা ড. মো. নজরুল ইসলাম আল মারুফ, শিক্ষাবিদ ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৯৪০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ